বাইক আরোহীদের ধাক্কা দেন কনস্টেবল, পরিচয় মেলেনি আরেকজনের
Published: 24th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি হাজি রাস্তার মাথায় মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দেন কনস্টেবল মো. মনসুর। তিনি লোহাগাড়া থানায় কর্মরত। তার ধাক্কায় মোটরসাইকেলের আরোহীরা আহত না হলেও পা হারিয়েছেন মো. আলাউদ্দিন নামের আরেক কনস্টেবল।
তবে, ভিডিওতে কনস্টেবল মনসুরের সঙ্গে আরেকজনকেও ধাক্কা দিতে দেখা গেছে। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশও এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না। ঘটনার সময় অস্থায়ী চেকপোস্টটিতে আরও তিনজনকে দেখা গেছে। তারা পুলিশের কেউ নন। স্থানীয়রা বলছেন, তারা পুলিশের সোর্স।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
মোটরসাইকেল আরোহীকে মনসুরের ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) শেখ মো. সেলিমকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ কমিটি করা হয়েছে।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম বলেন, ধাক্কা দেওয়ার বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তদন্ত কমিটি ওই পুলিশ সদস্যের আচরণ অপেশাদার ছিল কিনা, তার সাক্ষ্যপ্রমাণ নেবেন। তাদের প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত রোববার ভোরে মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দেন লোহাগাড়া থানা পুলিশের কনস্টেবল মনসুর। এতে বাইক আরোহীসহ পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন চলন্ত ট্রাকের পেছনের চাকায় গিয়ে পড়েন। আলাউদ্দিনের ডান পায়ের গোড়ালি থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে।
এসব বিষয়ে কথা বলতে মামলার বাদী এসআই মো. শরিফুল ইসলামকে বারবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। তিনি ঘটনার সময়ে অস্থায়ী চেকপোস্টে দায়িত্বে ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মনস র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর একটি হচ্ছে গাজীপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করা এবং আরেকটি হচ্ছে পূর্বশত্রুতার বিষয়। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে তারা। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এই চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য। এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে। গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তাঁর স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অপর একটি দল গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়।নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন