চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি হাজি রাস্তার মাথায় মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দেন কনস্টেবল মো. মনসুর। তিনি লোহাগাড়া থানায় কর্মরত। তার ধাক্কায় মোটরসাইকেলের আরোহীরা আহত না হলেও পা হারিয়েছেন মো. আলাউদ্দিন নামের আরেক কনস্টেবল।

তবে, ভিডিওতে কনস্টেবল মনসুরের সঙ্গে আরেকজনকেও ধাক্কা দিতে দেখা গেছে। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশও এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না। ঘটনার সময় অস্থায়ী চেকপোস্টটিতে আরও তিনজনকে দেখা গেছে। তারা পুলিশের কেউ নন। স্থানীয়রা বলছেন, তারা পুলিশের সোর্স।

এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আরিফুর রহমান বলেন, ‘তারা (অজ্ঞাত তিনজন) কারা, আমার জানা নেই।’

মোটরসাইকেল আরোহীকে মনসুরের ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) শেখ মো. সেলিমকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ কমিটি করা হয়েছে।

সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম বলেন, ধাক্কা দেওয়ার বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তদন্ত কমিটি ওই পুলিশ সদস্যের আচরণ অপেশাদার ছিল কিনা, তার সাক্ষ্যপ্রমাণ নেবেন। তাদের প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত রোববার ভোরে মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দেন লোহাগাড়া থানা পুলিশের কনস্টেবল মনসুর। এতে বাইক আরোহীসহ পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন চলন্ত ট্রাকের পেছনের চাকায় গিয়ে পড়েন। আলাউদ্দিনের ডান পায়ের গোড়ালি থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে। 

এসব বিষয়ে কথা বলতে মামলার বাদী এসআই মো. শরিফুল ইসলামকে বারবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। তিনি ঘটনার সময়ে অস্থায়ী চেকপোস্টে দায়িত্বে ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মনস র

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। 

নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।  পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ