তাড়াহুড়ো করে সিট ধরতে গিয়ে চলন্ত শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক নারী শিক্ষার্থী। তবে একটুর জন্য ট্রেনের কাটা পড়া থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরগামী দুপুর ৩টা ৩৫ মিনিটের শাটলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণে বেঁচে যাওয়া ওই ছাত্রীর নাম নাজিফা আক্তার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। 

আরো পড়ুন:

শিবচরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

আড়াই ঘণ্টার ব্যবধানে একই স্থানে ২ মৃত্যু

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ৩টা ৩৫ মিনিটের শাটলটি শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসছিল। চলন্ত অবস্থায় স্টেশনে থামার আগেই সিটে ব্যাগ রাখছিলেন ওই ছাত্রী। পরে সিটে উঠতে গিয়ে প্রচণ্ড ধাক্কাধাক্কিতে আচমকা চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে যান তিনি। এরপর অতিদ্রুত তিনি ট্রেনের নিচ থেকে সরে যেতে সক্ষম হন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাকির হোসেন খন্দকার বলেন, “তাড়াহুড়ো করে সিট ধরতে গিয়ে তিনি আমার সামনে চলন্ত ট্রেনের নিচে দুই বগির মাঝখানে পড়ে গিয়েছেন। পরে তিনি খুব দ্রুতই সেখান থেকে সরে যেতে সক্ষম হন। এক-দুই  সেকেন্ডের ব্যবধান ছিল। একটু এদিক-সেদিক হলেই তার জীবন চলে যেত। আল্লাহ নিজ মহিমায় তাকে বাঁচিয়েছেন। এখনো আমার চোখে ঘটনাটি ভাসছে।”

পরে আহতাবস্থায় ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

জাকির হোসেন বলেন, “ওই ছাত্রী গুরুতর আহত হননি। শরীরের কয়েক জায়গায় ছিড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হলে পাঠানো হয়েছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।”

তবে আহত ছাত্রী নাজিফা আক্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওই ছ ত র চলন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভোটার তালিকা সংশোধন এনআরসি থেকেও ভয়ংকর, সতর্কবার্তা মমতার

নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকার সংশোধন হতে পারে এনআরসির পরিকল্পনা কিংবা এনআরসির থেকেও ভয়ংকর- এমন মন্তব্য করে মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সম্প্রতি বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার সার্বিক সংশোধনের কথা জানিয়েছে। অবৈধ ভোটারদের বাদ দিয়ে ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা আনতে সংশোধনের কাজ শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে বিভিন্ন রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে একটি 'ডিক্লারেশন ফর্ম'। জারি করা হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকাও। যার বেশ কিছু নিয়মাবলি নিয়ে আপত্তি তুলে বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতার দাবি, কমিশনের এই নতুন নির্দেশিকা বিহার ভোটের আগে প্রকাশ করা হলেও এর আসল উদ্দেশ্য বাংলার বিধানসভা ভোট। ২০২৬ সালে বাংলায় নির্বাচন রয়েছে। সেই ভোটকে নিশানা করেই এই নির্দেশিকা পালন করা হয়েছে। এমনকি, নির্বাচন কমিশন গঠন করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নতুন প্রজন্মকে, গ্রামের মানুষদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। বিজেপির হয়ে কাজ করছে। এটা এনআরসির পরিকল্পনা হতে পারে। এনআরসির চেয়েও ভয়ংকর। মানুষকে বলব সতর্ক হন। শেষ দিন পর্যন্ত দেখুন আপনার নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে কি না। এই নির্দেশিকাতে আরও অনেক দুর্নীতি আছে।’

তিনি বলেন,‘ভোটার তালিকা সংশোধন করার জন্য আমাদের কাছে কমিশন একটা ফর্ম পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেই ডিক্লারেশন ফর্মের কয়েকটি বিষয়ে আমার আপত্তি আছে। কেন উল্লেখ করা হচ্ছে যে ১৯৮৭ থেকে ২০০২-এর মধ্যে যাদের জন্ম, তাদের তা লিখতে হবে ফর্মে? তার মানে কি তার আগে বা পরে যারা জন্মেছে, তাদেরটা হবে না?’

তার দাবি, নির্বাচন কমিশন তাকে ২টি চিঠি পাঠিয়েছে। তা প্রাথমিকভাবে দেখতে গিয়ে ১৮ ও ১৯ পাতার নির্দেশিকায় তার চোখে পড়েছে যে ওই ডিক্লারেশন ফর্ম পূরণের সময় বাবা-মায়ের বার্থ সার্টিফিকেটও দিতে হবে। তা কোথা থেকে পাবেন সবাই? এই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এ প্রসঙ্গে নিজের কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘আমিও নিজের মা-বাবার জন্মসাল জানি না।’

উল্লেখ্য, অবৈধ ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দিতে ২২ বছর পর নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে ভিনদেশী নাগরিকদের তালিকা থেকে বাদ দিতেই কমিশনের এই পরিকল্পনা বলে জানা গিয়েছে। নতুন ভোটারদের তালিকাভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। জন্মের প্রমাণপত্র সঠিকভাবে দাখিল করতে না পারলে ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে কমিশন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ