চব্বিশের জুলাই থেকে পঁচিশের জুন। প্রায় এক বছর। সময়টা একটু অন্য রকম। গত বছর জুলাইয়ের ১ তারিখে কি কেউ ভেবেছিলেন, মাস ঘুরতেই পাল্টে যাবে চালচিত্র? শুরুতে ছিল সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন। সেটি রূপান্তরিত হলো এক দফার আন্দোলনে, হাসিনা হটাও। তারপর ঘটে গেল মিরাকল। শেখ হাসিনা তল্পিতল্পা নিয়ে পগারপার। এটা ছিল একটা ভয়ংকর, অবিশ্বাস্য, শ্বাসরুদ্ধকর, নাটকীয়, বিয়োগান্ত পালাবদল। কয়েক দিন দেশে সরকার ছিল না। তারপর এল একটা অন্তর্বর্তী সরকার। ১০০ ঘণ্টার টানটান উত্তেজনার এই রোমাঞ্চকর পর্বটি নিয়ে ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই সিনেমা হবে। 

কিন্তু তারপর? দেশে এখন অনেক স্টেকহোল্ডার। শত শত রাজনৈতিক দল। সবাই সরব। যে দল যত ছোট, তার নেতার গলার স্বর তত চড়া। সবাই পাবলিকের অভিভাবক হয়ে গেছেন। এখন সবার নজর একটা সনদের দিকে। তৈরি হবে জুলাই সনদ। এটা নাকি হবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে। 

জুলাই আন্দোলনের কেন্দ্রে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। আপাতত আমরা এটুকুই জানি। ভেতরের খবর জানি না। আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুত নেতারা অবশ্য বলছেন, এই আন্দোলনের পেছনে ছিল গভীর ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্রতত্ত্ব এ দেশের রাজনীতির একটি উপাদেয় খাদ্য। আমরা সেটি চর্বণ করে চলেছি দশকের পর দশক, শতাব্দীর পর শতাব্দী। যেকোনো পরিবর্তনের পেছনে আমরা ষড়যন্ত্র দেখি। এই তত্ত্বের ফেরিওয়ালারা শিগগিরই ষড়যন্ত্রকারীদের হদিস বের করে আনবেন আশা করি।

কথা হচ্ছিল জুলাই সনদ নিয়ে। চব্বিশের ৫ আগস্ট ছিল পরিবর্তনের ডি-ডে বা মাহেন্দ্রক্ষণ। সে সময়ই এই সনদ উপস্থাপিত হওয়ার কথা। আমরা কী চাই, কোথা থেকে কোথায় যেতে চাই, কী প্রক্রিয়ায় যেতে চাই—এসব কথা নিয়ে একটা প্যারাগ্রাফ তখনই আশা করা গিয়েছিল। তখন সমন্বয়কদের কথা মানুষ শুনত। তাঁদের প্রতি মানুষের আস্থা আর ভালোবাসা ছিল। সেটি হয়নি। এতে বোঝা যায়, সবাই ডি-ডের জন্য অপ্রস্তুত ছিলেন।

যে সনদ দেওয়ার কথা আন্দোলনকারীদের, সেটির খসড়া এখন তৈরি করছে সরকার। মানে, এটি হতে যাচ্ছে একটি সরকারি সনদ, যেখানে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সমর্থন চাওয়া হবে। এটি কাটছাঁট করে গৃহীত হবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে। রাজনৈতিক ঐকমত্য? সে আবার কী? সব পক্ষই চাইছে নিজেদের কিছু ‘পেট ওয়ার্ড’ বা বাঁধা বুলি সনদে ঢুকিয়ে দিতে। এ নিয়ে সবাই একমত হবে, এট দুরাশা বৈ কিছু নয়। আমার বুঝে আসে না, এই সনদের শব্দাবলি নিয়ে পরস্পরবিরোধী দলগুলো কীভাবে একমত হবে। যদি হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে এটি হবে আরেকটি বিপ্লব।

আরও পড়ুনজুলাই সনদে কী থাকছে, কী থাকা উচিত২১ ঘণ্টা আগে

আচ্ছা, সনদ নিয়ে আমরা এত ধস্তাধস্তি করি কেন? সনদের লেখাগুলো কি আমাদের জীবন পাল্টে দেবে? বাহাত্তরের সংবিধানের প্রস্তাবনায়—এ দুনিয়ার সব সুন্দর ও মুখরোচক শব্দ ছেঁকে এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আমরা গণতন্ত্র পেলাম, সমাজতন্ত্রও পেলাম। ধর্মনিরপেক্ষতাও জ্বলজ্বলে করে জ্বলল। জাতীয় রাষ্ট্রের আবশ্যিক অনুষঙ্গ হলো জাতীয়তাবাদ। সেটিকে তো আর বাদ দেওয়া যায় না! তারপর মানবাধিকারের মোহন শব্দাবলিও ঠাঁই হলো এই কিতাবে। তাতে হলোটা কী? শুরু থেকেই একটির পর একটি হোঁচট খেয়ে পড়তে লাগল।

সংবিধানের এই শব্দগুলো থেকে গেল কাগজেই। যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ লেখাপড়া জানেন না, সাক্ষরতা বলতে শুধু নাম সই বা বড়জোর ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত যাওয়া, তাঁরা জানতেও পারলেন না যে এই পবিত্র কিতাবে তাঁদেরকে দেশের মালিকানা দেওয়া আছে। জানেন না বলেই তাঁদের প্রতি ভুঁইফোড় মালিক সমিতির দায় নেই। নতুন আরেকটি সনদ নাজিল হলে তাতে পরিস্থিতির কি হেরফের হবে? দেশের প্রকৃত মালিকেরা তো জানতেই পারবেন না, কী লেখা আছে তাতে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সংবিধান চোখে দেখেননি। পড়ে দেখা তো দূরের কথা। সেখানে কী থাকল আর কী বাদ গেল, তাতে তাঁদের কী যায় আসে?

একাত্তরে ও চব্বিশে যাঁরা লড়াই করেছেন, তাঁরা এটা তাঁদের নিজেদের জন্য করেননি। তাঁরা লড়েছেন দেশের সব মানুষের মুক্তির জন্য। নানান উৎকোচ দিয়ে তাঁদের বিভ্রান্ত করে, তাঁদের আনুগত্য কিনে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এখনো হচ্ছে। যোদ্ধাদের উচিত, এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। তা যদি না হয়, এসব উৎকোচের ভাগ পেতে কাড়াকাড়ি পড়ে যাবে। ব্যাঙের ছাতার মতো অগুনতি যোদ্ধা পয়দা হবে। চলবে ঘুষবাণিজ্য, যেমনটি করেছিল আগের সরকারগুলো। তার আলামত দেখা যাচ্ছে।দুই.

একাত্তরে ছিল মুক্তিযোদ্ধা। চব্বিশে দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। আমরা এখন পাচ্ছি ‘জুলাই যোদ্ধা’। জুলাই যোদ্ধাদের দেওয়া হবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। তাঁরা নানান রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাবেন। চিকিৎসা পাবেন, চাকরি পাবেন, ভাতা পাবেন। এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে ভাগ্যান্বেষণে আসা যোদ্ধারা টাকা, তালুক ও গনিমতের মালের জন্য রাজশক্তির হয়ে লাঠি-তলোয়ার-বন্দুক ধরত। এরা ছিল মার্সেনারি বা ভাড়াটে সৈন্য। নানান ইহজাগতিক সুবিধা পাইয়ে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশকে আমরা ইতিমধ্যেই ভাড়াটে সৈনিক বানিয়ে দিয়েছি। সেখানে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’। কোনোমতে একটা সনদ জোগাড় করতে পারলেই বসে বসে মোটা অঙ্কের একটা ভাতা পাওয়া যায়।

আবার রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার কপালে সনদ জোটেনি। জুলাই যোদ্ধাদের নিয়েও হচ্ছে এই তেলেসমাতি। যে কোটার বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলন করেছিলেন, সেই কোটার ফাঁদেই আবার ফেলা হচ্ছে তাঁদের। এর ফলে জনগণের অবশিষ্ট অংশ থেকে তাঁদেরকে সহজেই বিচ্ছিন্ন করা যাবে।

যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, যাঁরা চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন, যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব অবশ্যই সমাজকে নিতে হবে। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এটি করা হয়নি। কিন্তু একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের নামে যে মোটাতাজাকরণ প্রকল্প চালু হয়েছিল, সেটির পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে সমাজের চোখে তাঁদেরকে একটা বিশেষ সুবিধাভোগী সম্প্রদায় হিসেবে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার এ ধারণা সুবিবেচনা থেকে আসেনি।

একাত্তরে ও চব্বিশে যাঁরা লড়াই করেছেন, তাঁরা এটা তাঁদের নিজেদের জন্য করেননি। তাঁরা লড়েছেন দেশের সব মানুষের মুক্তির জন্য। নানান উৎকোচ দিয়ে তাঁদের বিভ্রান্ত করে, তাঁদের আনুগত্য কিনে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এখনো হচ্ছে। যোদ্ধাদের উচিত, এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। তা যদি না হয়, এসব উৎকোচের ভাগ পেতে কাড়াকাড়ি পড়ে যাবে। ব্যাঙের ছাতার মতো অগুনতি যোদ্ধা পয়দা হবে। চলবে ঘুষবাণিজ্য, যেমনটি করেছিল আগের সরকারগুলো। তার আলামত দেখা যাচ্ছে।

তিন.

ভোটার হওয়ার ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার একটা ন্যূনতম বয়স আছে। সেটি আরও কমানোর প্রস্তাব উঠেছে। রাজনৈতিক মতলব থেকেই এই চিন্তা এসেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন বিলুপ্ত করার একটা প্রবল আকাঙ্ক্ষা আছে অভিভাবকদের। এমনকি যাঁরা রাজনৈতিক দলগুলোর হোমরাচোমরা, তাঁরাও তাঁদের সন্তানদের ছাত্ররাজনীতি করতে দেন না। বিশ্বাস না হলে জরিপ চালিয়ে দেখতে পারেন। এ নিয়ে যাঁরা বিরাজনীতিকীকরণের উদ্ভট চিন্তা করেন, তাঁদের সন্তানদের খোঁজ নিয়ে দেখুন, তারা কে কোথায় কী করছে, কী পড়ছে। আমার সন্তান দেশে বা বিদেশে পড়াশোনা করবে আর অন্যের সন্তান আমার লাঠিয়াল হবে—এই হচ্ছে এ দেশের তথাকথিত ছাত্ররাজনীতির মোজেজা। মালিক রাজনৈতিক দলের নেতার নামে জিন্দাবাদ আর প্রতিপক্ষ দলের নেতাকে পেটানো ছাড়া এদের আর কী কাজ?

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে লাঠি, চাপাতি, রামদা, ককটেল, বন্দুক—সবই আছে। শিক্ষকদের দলাদলি আছে। তাঁরা রাজনৈতিক আনুগত্য দেখিয়ে প্রভোস্ট, উপাচার্য, নানান কমিশনের সদস্য কিংবা রাষ্ট্রদূত হতে চান। নেই শুধু লেখাপড়াটা। কতটুকু অবক্ষয় হলে হাতে গোনা কয়েকজনের দাবি আর অবরোধের ধুয়া তুলে গোটা একটা ব্যাচের পরীক্ষার্থীদের অটো প্রমোশন দিয়ে দেওয়া হয়! মব কালচারের শুরু তো এখান থেকেই।

একদিকে তারুণ্যের জয়গান গাইবেন, অন্যদিকে তাদেরকে ধরেবেঁধে দলীয় রাজনীতির কুয়ার ভেতরে ছুড়ে দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ ঝরঝরে করে দেবেন। একটা প্রজন্ম পরীক্ষা না দিয়েই ডিগ্রি পেয়ে যাবে। জেনেবুঝে কেউ তাদেরকে চাকরি দেবে? তাহলে তারা যাবে কোথায়? ঘটিবাটি বেচে মধ্যপ্রাচ্যের দেশে গিয়ে দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করে ১০ বাই ১০ একটা কামরায় ২০ জন গাদাগাদি করে শুয়ে থাকার বন্দোবস্ত, নাকি দালাল ধরে স্বপ্নের স্বর্গ ইউরোপ যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরা? অথবা কোনো নেতার লাঠিয়াল হয়ে তাঁর উচ্ছিষ্ট খেয়ে কিংবা চাঁদাবাজি করে জীবন কাটানো?

মহিউদ্দিন আহমদ লেখক ও গবেষক

* মতামত লেখকের নিজস্ব

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ল ই সনদ ষড়যন ত র হয় ছ ল র জন য উৎক চ সরক র র একট ত রপর

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষমতা নয়, জনগণের ভোট ফেরত দেওয়ার জন্য নির্বাচনের কথা বলছি: টুকু

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, “আমি ক্ষমতার জন্য কথা বলছি না বা সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছি না। আমরা জনগণের ভোট জনগণকে ফেরত দিতে চাই। এ রাষ্ট্রের মালিক হচ্ছে দেশের জনগণ। যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন, তাদের দেশের মানুষের মুখের ভাষা বুঝতে হবে। এই দেশের মানুষ ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালে ভোট দিতে পারেনি। এ দেশের মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্থিতিশীল বাংলাদেশ চায়।”

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের শিল্পকলা একাডেমিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টিএসএফ আয়োজনে ৬৪ জেলার স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে আয়োজিত মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “ভোট নিয়ে যারাই ষড়যন্ত্র করেছে, তারাই জনগণের কাছে থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। জনগণের জন্য রাজনীতি করলে জনগণের অধিকার জনগণকে ফেরত দিতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই।”

আরো পড়ুন:

হিট প্রকল্পে বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ 

‘অধিকাংশ মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে’

তিনি আরো বলেন, “বিগত দিনে এ টাঙ্গাইল ছিল সন্ত্রাসীদের। টাঙ্গাইলের অনেক মানুষকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিরাপদ টাঙ্গাইল গড়ে তুলতে চাই। ফ্যাসিবাদের দোসররা আবার দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। আমরা নিরাপদ গণতান্ত্রিক জনগণের বাংলাদেশ চাই। জনগণের জন্য যারা কাজ করবে, সবাই মিলে এ রকম একটি সরকার চাই।”

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, যুবদলের আহবায়ক রাশেদুল আলম।

অনুষ্ঠানে চার জন সাংবাদিক ও বিভিন্ন সামাজিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়াও ২০ জন অসহায় মানুষকে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়।

ঢাকা/কাওছার/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৃত্তি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীরা
  • ক্ষমতা নয়, জনগণের ভোট ফেরত দেওয়ার জন্য নির্বাচনের কথা বলছি: টুকু
  • দেশ যাতে গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরে আসতে না পারে, সে জন্য ষড়যন্ত্র চলছে: তারেক রহমান
  • ‘সব ভুলে তারেক রহমানের হাত শক্তিশালী করতে হবে’  
  • জিএম কাদেরের নেতৃত্বেই জাতীয় পার্টি: শামীম হায়দার পাটোয়ারী