জুলাই সনদ ও যোদ্ধা নিয়ে এলোমেলো কিছু প্রশ্ন
Published: 27th, June 2025 GMT
চব্বিশের জুলাই থেকে পঁচিশের জুন। প্রায় এক বছর। সময়টা একটু অন্য রকম। গত বছর জুলাইয়ের ১ তারিখে কি কেউ ভেবেছিলেন, মাস ঘুরতেই পাল্টে যাবে চালচিত্র? শুরুতে ছিল সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন। সেটি রূপান্তরিত হলো এক দফার আন্দোলনে, হাসিনা হটাও। তারপর ঘটে গেল মিরাকল। শেখ হাসিনা তল্পিতল্পা নিয়ে পগারপার। এটা ছিল একটা ভয়ংকর, অবিশ্বাস্য, শ্বাসরুদ্ধকর, নাটকীয়, বিয়োগান্ত পালাবদল। কয়েক দিন দেশে সরকার ছিল না। তারপর এল একটা অন্তর্বর্তী সরকার। ১০০ ঘণ্টার টানটান উত্তেজনার এই রোমাঞ্চকর পর্বটি নিয়ে ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই সিনেমা হবে।
কিন্তু তারপর? দেশে এখন অনেক স্টেকহোল্ডার। শত শত রাজনৈতিক দল। সবাই সরব। যে দল যত ছোট, তার নেতার গলার স্বর তত চড়া। সবাই পাবলিকের অভিভাবক হয়ে গেছেন। এখন সবার নজর একটা সনদের দিকে। তৈরি হবে জুলাই সনদ। এটা নাকি হবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে।
জুলাই আন্দোলনের কেন্দ্রে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। আপাতত আমরা এটুকুই জানি। ভেতরের খবর জানি না। আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুত নেতারা অবশ্য বলছেন, এই আন্দোলনের পেছনে ছিল গভীর ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্রতত্ত্ব এ দেশের রাজনীতির একটি উপাদেয় খাদ্য। আমরা সেটি চর্বণ করে চলেছি দশকের পর দশক, শতাব্দীর পর শতাব্দী। যেকোনো পরিবর্তনের পেছনে আমরা ষড়যন্ত্র দেখি। এই তত্ত্বের ফেরিওয়ালারা শিগগিরই ষড়যন্ত্রকারীদের হদিস বের করে আনবেন আশা করি।
কথা হচ্ছিল জুলাই সনদ নিয়ে। চব্বিশের ৫ আগস্ট ছিল পরিবর্তনের ডি-ডে বা মাহেন্দ্রক্ষণ। সে সময়ই এই সনদ উপস্থাপিত হওয়ার কথা। আমরা কী চাই, কোথা থেকে কোথায় যেতে চাই, কী প্রক্রিয়ায় যেতে চাই—এসব কথা নিয়ে একটা প্যারাগ্রাফ তখনই আশা করা গিয়েছিল। তখন সমন্বয়কদের কথা মানুষ শুনত। তাঁদের প্রতি মানুষের আস্থা আর ভালোবাসা ছিল। সেটি হয়নি। এতে বোঝা যায়, সবাই ডি-ডের জন্য অপ্রস্তুত ছিলেন।
যে সনদ দেওয়ার কথা আন্দোলনকারীদের, সেটির খসড়া এখন তৈরি করছে সরকার। মানে, এটি হতে যাচ্ছে একটি সরকারি সনদ, যেখানে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সমর্থন চাওয়া হবে। এটি কাটছাঁট করে গৃহীত হবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে। রাজনৈতিক ঐকমত্য? সে আবার কী? সব পক্ষই চাইছে নিজেদের কিছু ‘পেট ওয়ার্ড’ বা বাঁধা বুলি সনদে ঢুকিয়ে দিতে। এ নিয়ে সবাই একমত হবে, এট দুরাশা বৈ কিছু নয়। আমার বুঝে আসে না, এই সনদের শব্দাবলি নিয়ে পরস্পরবিরোধী দলগুলো কীভাবে একমত হবে। যদি হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে এটি হবে আরেকটি বিপ্লব।
আরও পড়ুনজুলাই সনদে কী থাকছে, কী থাকা উচিত২১ ঘণ্টা আগেআচ্ছা, সনদ নিয়ে আমরা এত ধস্তাধস্তি করি কেন? সনদের লেখাগুলো কি আমাদের জীবন পাল্টে দেবে? বাহাত্তরের সংবিধানের প্রস্তাবনায়—এ দুনিয়ার সব সুন্দর ও মুখরোচক শব্দ ছেঁকে এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আমরা গণতন্ত্র পেলাম, সমাজতন্ত্রও পেলাম। ধর্মনিরপেক্ষতাও জ্বলজ্বলে করে জ্বলল। জাতীয় রাষ্ট্রের আবশ্যিক অনুষঙ্গ হলো জাতীয়তাবাদ। সেটিকে তো আর বাদ দেওয়া যায় না! তারপর মানবাধিকারের মোহন শব্দাবলিও ঠাঁই হলো এই কিতাবে। তাতে হলোটা কী? শুরু থেকেই একটির পর একটি হোঁচট খেয়ে পড়তে লাগল।
সংবিধানের এই শব্দগুলো থেকে গেল কাগজেই। যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ লেখাপড়া জানেন না, সাক্ষরতা বলতে শুধু নাম সই বা বড়জোর ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত যাওয়া, তাঁরা জানতেও পারলেন না যে এই পবিত্র কিতাবে তাঁদেরকে দেশের মালিকানা দেওয়া আছে। জানেন না বলেই তাঁদের প্রতি ভুঁইফোড় মালিক সমিতির দায় নেই। নতুন আরেকটি সনদ নাজিল হলে তাতে পরিস্থিতির কি হেরফের হবে? দেশের প্রকৃত মালিকেরা তো জানতেই পারবেন না, কী লেখা আছে তাতে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সংবিধান চোখে দেখেননি। পড়ে দেখা তো দূরের কথা। সেখানে কী থাকল আর কী বাদ গেল, তাতে তাঁদের কী যায় আসে?
একাত্তরে ও চব্বিশে যাঁরা লড়াই করেছেন, তাঁরা এটা তাঁদের নিজেদের জন্য করেননি। তাঁরা লড়েছেন দেশের সব মানুষের মুক্তির জন্য। নানান উৎকোচ দিয়ে তাঁদের বিভ্রান্ত করে, তাঁদের আনুগত্য কিনে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এখনো হচ্ছে। যোদ্ধাদের উচিত, এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। তা যদি না হয়, এসব উৎকোচের ভাগ পেতে কাড়াকাড়ি পড়ে যাবে। ব্যাঙের ছাতার মতো অগুনতি যোদ্ধা পয়দা হবে। চলবে ঘুষবাণিজ্য, যেমনটি করেছিল আগের সরকারগুলো। তার আলামত দেখা যাচ্ছে।দুই.একাত্তরে ছিল মুক্তিযোদ্ধা। চব্বিশে দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। আমরা এখন পাচ্ছি ‘জুলাই যোদ্ধা’। জুলাই যোদ্ধাদের দেওয়া হবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। তাঁরা নানান রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাবেন। চিকিৎসা পাবেন, চাকরি পাবেন, ভাতা পাবেন। এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে ভাগ্যান্বেষণে আসা যোদ্ধারা টাকা, তালুক ও গনিমতের মালের জন্য রাজশক্তির হয়ে লাঠি-তলোয়ার-বন্দুক ধরত। এরা ছিল মার্সেনারি বা ভাড়াটে সৈন্য। নানান ইহজাগতিক সুবিধা পাইয়ে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশকে আমরা ইতিমধ্যেই ভাড়াটে সৈনিক বানিয়ে দিয়েছি। সেখানে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’। কোনোমতে একটা সনদ জোগাড় করতে পারলেই বসে বসে মোটা অঙ্কের একটা ভাতা পাওয়া যায়।
আবার রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার কপালে সনদ জোটেনি। জুলাই যোদ্ধাদের নিয়েও হচ্ছে এই তেলেসমাতি। যে কোটার বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলন করেছিলেন, সেই কোটার ফাঁদেই আবার ফেলা হচ্ছে তাঁদের। এর ফলে জনগণের অবশিষ্ট অংশ থেকে তাঁদেরকে সহজেই বিচ্ছিন্ন করা যাবে।
যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, যাঁরা চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন, যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব অবশ্যই সমাজকে নিতে হবে। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এটি করা হয়নি। কিন্তু একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের নামে যে মোটাতাজাকরণ প্রকল্প চালু হয়েছিল, সেটির পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে সমাজের চোখে তাঁদেরকে একটা বিশেষ সুবিধাভোগী সম্প্রদায় হিসেবে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার এ ধারণা সুবিবেচনা থেকে আসেনি।
একাত্তরে ও চব্বিশে যাঁরা লড়াই করেছেন, তাঁরা এটা তাঁদের নিজেদের জন্য করেননি। তাঁরা লড়েছেন দেশের সব মানুষের মুক্তির জন্য। নানান উৎকোচ দিয়ে তাঁদের বিভ্রান্ত করে, তাঁদের আনুগত্য কিনে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এখনো হচ্ছে। যোদ্ধাদের উচিত, এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। তা যদি না হয়, এসব উৎকোচের ভাগ পেতে কাড়াকাড়ি পড়ে যাবে। ব্যাঙের ছাতার মতো অগুনতি যোদ্ধা পয়দা হবে। চলবে ঘুষবাণিজ্য, যেমনটি করেছিল আগের সরকারগুলো। তার আলামত দেখা যাচ্ছে।
তিন.ভোটার হওয়ার ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার একটা ন্যূনতম বয়স আছে। সেটি আরও কমানোর প্রস্তাব উঠেছে। রাজনৈতিক মতলব থেকেই এই চিন্তা এসেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন বিলুপ্ত করার একটা প্রবল আকাঙ্ক্ষা আছে অভিভাবকদের। এমনকি যাঁরা রাজনৈতিক দলগুলোর হোমরাচোমরা, তাঁরাও তাঁদের সন্তানদের ছাত্ররাজনীতি করতে দেন না। বিশ্বাস না হলে জরিপ চালিয়ে দেখতে পারেন। এ নিয়ে যাঁরা বিরাজনীতিকীকরণের উদ্ভট চিন্তা করেন, তাঁদের সন্তানদের খোঁজ নিয়ে দেখুন, তারা কে কোথায় কী করছে, কী পড়ছে। আমার সন্তান দেশে বা বিদেশে পড়াশোনা করবে আর অন্যের সন্তান আমার লাঠিয়াল হবে—এই হচ্ছে এ দেশের তথাকথিত ছাত্ররাজনীতির মোজেজা। মালিক রাজনৈতিক দলের নেতার নামে জিন্দাবাদ আর প্রতিপক্ষ দলের নেতাকে পেটানো ছাড়া এদের আর কী কাজ?
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে লাঠি, চাপাতি, রামদা, ককটেল, বন্দুক—সবই আছে। শিক্ষকদের দলাদলি আছে। তাঁরা রাজনৈতিক আনুগত্য দেখিয়ে প্রভোস্ট, উপাচার্য, নানান কমিশনের সদস্য কিংবা রাষ্ট্রদূত হতে চান। নেই শুধু লেখাপড়াটা। কতটুকু অবক্ষয় হলে হাতে গোনা কয়েকজনের দাবি আর অবরোধের ধুয়া তুলে গোটা একটা ব্যাচের পরীক্ষার্থীদের অটো প্রমোশন দিয়ে দেওয়া হয়! মব কালচারের শুরু তো এখান থেকেই।
একদিকে তারুণ্যের জয়গান গাইবেন, অন্যদিকে তাদেরকে ধরেবেঁধে দলীয় রাজনীতির কুয়ার ভেতরে ছুড়ে দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ ঝরঝরে করে দেবেন। একটা প্রজন্ম পরীক্ষা না দিয়েই ডিগ্রি পেয়ে যাবে। জেনেবুঝে কেউ তাদেরকে চাকরি দেবে? তাহলে তারা যাবে কোথায়? ঘটিবাটি বেচে মধ্যপ্রাচ্যের দেশে গিয়ে দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করে ১০ বাই ১০ একটা কামরায় ২০ জন গাদাগাদি করে শুয়ে থাকার বন্দোবস্ত, নাকি দালাল ধরে স্বপ্নের স্বর্গ ইউরোপ যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরা? অথবা কোনো নেতার লাঠিয়াল হয়ে তাঁর উচ্ছিষ্ট খেয়ে কিংবা চাঁদাবাজি করে জীবন কাটানো?
● মহিউদ্দিন আহমদ লেখক ও গবেষক
* মতামত লেখকের নিজস্ব
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ল ই সনদ ষড়যন ত র হয় ছ ল র জন য উৎক চ সরক র র একট ত রপর
এছাড়াও পড়ুন:
ঈশ্বরদীতে প্রিপেইড মিটার বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ
পাবনার ঈশ্বরদীতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) পিএলসির গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রমের প্রতিবাদে চার দিন ধরে আন্দোলন চলছে। বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সদস্যরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বাজারের প্রধান ফটকের সামনে শিল্প ও বণিক সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধন, পথসভা, নেসকোর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি নান্নু রহমান, সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন জনিসহ ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্য দেন।
এর আগে বুধবার ঈশ্বরদী পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আজম ও মঙ্গলবার সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল করিম ভিপি শাহীনের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ এবং নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ করার দাবিতে ‘সচেতন ঈশ্বরদীবাসী’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। পরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুন নূরকে স্মারকপত্র দেন বিক্ষোভকারীরা।
গত সোমবার ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজন নেসকো কার্যালয়ে গিয়ে প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানান। মঙ্গলবার ‘সচেতন ঈশ্বরদীবাসী’র ব্যানারে বিক্ষোভ শেষে নেসকো কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে জনগণকে বোকা বানিয়ে দুর্ভোগ বাড়াতে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করতে প্রিপেইড মিটার চালুর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগের দোসররা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। ঈশ্বরদীবাসী এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেবে না। ঈশ্বরদীতে প্রিপেইড মিটার লাগানোর চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে।
পথসভায় বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজমল হোসেন ডাবলু, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম ভিপি শাহীন, উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দুলাল মণ্ডল, বিএনপি নেতা বরকত আলী, ব্যবসায়ী নেতা সাঈফ হাসান সেলিম, শিল্প ও বণিক সমিতির নির্বাহী সদস্য আকরাম রায়হান বাবু, ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন, মিজানুর রহমান মিজান, রুহুল আমিন প্রমুখ।
উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দুলাল মণ্ডল বলেন, আই কে রোডে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আগের মিটারে বিল আসত ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। এখন প্রিপেইড মিটারে বিল গুনতে হচ্ছে ১৮ হাজার টাকা।
স্মারকপত্র গ্রহণ করে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুন নূর বলেন, প্রিপেইড ব্যবস্থার সুফল সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত না করায় তাদের মধ্যে ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। ঈশ্বরদীবাসীর এই আন্দোলন ও দাবির বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এর পর তারা যে সিদ্ধান্ত জানাবেন, আমি বাস্তবায়ন করব।