পরীক্ষার্থীদের বিলম্ব হলে কী উপায়
Published: 29th, June 2025 GMT
প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন পরীক্ষার সময় বিশেষ একটা বিষয় লক্ষণীয় যে বিলম্বে উপস্থিতির জন্য পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় অনেক শিক্ষার্থী। এসএসসি, এইচএসসিসহ বিভিন্ন বোর্ড ছাড়াও ভর্তি পরীক্ষা ও চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যায়। কিন্তু এমনটা কেন হচ্ছে, আমরা কি তা গভীরভাবে চিন্তা করে দেখেছি?
যানজটের ভোগান্তি এটার একটা অন্যতম কারণ। বিশেষ করে ঢাকা শহরের মতো বিভাগীয় শহরের মধ্যে এর প্রভাব বেশি দেখা যায়। এই ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের উচিত নির্ধারিত সময়ের আরও আগে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া। কারণ, শহরগুলোর বিভিন্ন জায়গায় কোনো কোনো সময় পাঁচ মিনিটের পথ পার হতে সময় লেগে যায় আধা ঘণ্টার বেশি। তাই হাতে প্রচুর সময় নিয়ে বের হওয়া উচিত।
অন্যদিকে কিছু পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ভুল করে অন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে যায়, তখন নিজের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেরি হয়। এই ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের হতে হবে খুব সচেতন। যেহেতু পরীক্ষাগুলো শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়; তাই এক-দুই দিন আগেই শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সঠিক কেন্দ্র ও কক্ষ নম্বর জেনে রাখা জরুরি। পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র আগে থেকেই ফাইলে ঢুকিয়ে রাখা প্রয়োজন। পরীক্ষার আগের রাতে বেশি জেগে থাকা উচিত নয়। কারণ, এর ফলে দেখা যায় সঠিক ঘুমের অভাবে অনেকের পরীক্ষার দিন ঘুম থেকে জাগতে দেরি হয়। এটিও পরীক্ষায় বিলম্ব হওয়ার একটি কারণ হতে পারে কারও কারও জন্য।
অন্যদিকে বাংলাদেশের শিক্ষা বোর্ড ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষেরও কিছু ধারা ও নীতি পরিবর্তন করা অতি জরুরি। যেমন কিছু পরীক্ষার্থী দুর্ঘটনার শিকার হওয়ায় বা প্রিয়জন হারানোসহ অনাকাঙ্ক্ষিত গুরুতর ঘটনার শিকার হওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে বিলম্বে উপস্থিত হয়। সে ক্ষেত্রে কীভাবে শিক্ষার্থীদের প্রতি সদয় আচরণ করা যায়, তা বিবেচনা করতে হবে। কোনো না কোনোভাবে তাদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট সব দায়িত্বশীলের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এমনটি সম্ভব। একটি পরীক্ষা দিতে না পেরে কোনো শিক্ষার্থী তার শিক্ষাজীবন থেকে এক বছর পিছিয়ে যাক এবং হতাশায় নিমজ্জিত হোক, তা আমরা কেউ চাই না।
ফারিয়া ইসলাম
শিক্ষার্থী, জিল্লুর রহমান সরকারি মহিলা কলেজ, কিশোরগঞ্জ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরের ম্যারিনেট গাজা জলসীমা থেকে কত দূরে
দ্য ম্যারিনেট। ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরের নৌযান। নৌযানটি এখনো ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। আজ শুক্রবার আল-জাজিরার অনলাইনে এই তথ্য জানানো হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, একমাত্র দ্য ম্যারিনেটকেই এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। বহরের বাকি নৌযানগুলোকে তারা ইতিমধ্যে আটক করেছে।
দ্য ম্যারিনেট পোল্যান্ডের পতাকাবাহী নৌযান। তবে নৌযানটির মালিকের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য কোনো নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায়নি।
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়, দেখুন লাইভ ট্র্যাকারেনৌযানটিতে ছয়জন আরোহী আছেন। এই আরোহীদের মধ্যে একজন তুরস্কের অধিকারকর্মী সিনান আকিলতু। তিনি আজ নৌযানটি থেকে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা এখন উচ্চ ঝুঁকির এলাকায় প্রবেশ করেছি। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা দুটি মহৎ পরিণতির যেকোনো একটির দিকে অগ্রসর হচ্ছি।’
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকারের তথ্যের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, আজ ভোরের দিকে ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলছিল ম্যারিনেট। এ সময় সূর্যোদয় হচ্ছিল।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, ভোর ৪টার দিকে ম্যারিনেটের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৩ দশমিক ৭৮ নট। (ঘণ্টায় প্রায় ৭ কিলোমিটার)। নৌযানটি গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে প্রায় ৪৩ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ৮০ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছিল।
আরও পড়ুনগ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজে জলকামান ব্যবহার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী১৩ ঘণ্টা আগেগ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব নৌযান আটক করেছে ইসরায়েলইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগেই ম্যারিনেটকে সতর্ক করে দিয়েছে। তারা বলেছে, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ ও অবরোধ ভাঙার যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে নৌযানটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। তবে তা ঠিক করা হয়েছে। নৌযানটি গাজা অভিমুখে চলছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা জানিয়েছেন, বহরের ৪২টি নৌযানকে অবৈধভাবে আটকানো হয়েছে। আরোহীদের আটক হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও ম্যারিনেট পিছু হটছে না।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৯ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনইসরায়েল ‘জলদস্যুর কাজ’ করেছে: এরদোয়ান১৪ ঘণ্টা আগেগ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা বলেছে, ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়, ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।
ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত আছে বলে জানিয়েছে ফ্লোটিলা আয়োজকেরা।
আরও পড়ুনসুমুদ ফ্লোটিলার আটক অধিকারকর্মীরা ২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে পৌঁছতে পারেন২০ ঘণ্টা আগে