বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের কবর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণে নির্দেশনা
Published: 2nd, October 2025 GMT
গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ব্যক্তিদের কবর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ এবং আদর্শিক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে দেশের সব সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ ও পৌরসভাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
গত ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শহীদদের কবর সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।
চিঠির অনুলিপি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে।
সভায় জানানো হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের গণকবর ও অশনাক্ত কবর যাচাইয়ের কাজ চলছে। কিছু শহীদ পরিবারের আপত্তির কারণে কবর সংরক্ষণের কাজ এখনো শুরু করা সম্ভব হয়নি। দক্ষিণাঞ্চলের কিছু জেলায় বর্ষার কারণে কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে।
ঢাকা/এএএম/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।”
আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
ঢাকা/ফিরোজ