জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হবে: মাওলানা ইমতিয়াজ
Published: 2nd, October 2025 GMT
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দ্রুত দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম।
তিনি বলেছেন, “আইনী ভিত্তি না থাকলে অচিরেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এই অভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদের ভিত্তি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইমতিয়াজ আলম বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এবং কতিপয় নামধারী বুদ্ধিজীবীর কথাবার্তা দিনদিন অবনতি হচ্ছে। জুলাই সনদের আইনি কোনো ভিত্তি না থাকায়, জুলাই অভ্যুত্থানকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই, দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে।”
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চেতনার ব্যবসা করে দেশকে গোল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব নিয়ে কোনো ধরনের চেতনা ব্যবসা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জুলাইয়ের সঠিক ইতিহাস লেখার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, “জুলাইয়ে শহীদ এবং আহতরা হলো এই আন্দোলনের মূল মাস্টারমাইন্ড। তাদেরকে দেখেই সাধারণ জনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে সহস্রাধিক শহীদ এবং লক্ষাধিক আহতদের কোনো একসময় দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও কিছু করার থাকবে না। আহতদের পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে।” আহতদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই সনদ র আইন
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী নির্বাচন ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে চৌমুহনী বাজার মুজিবুল হক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন। আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ভারতে গিয়েছেন। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে—সংবাদ সম্মেলন করে সরকারকে তা জাতির কাছে পরিষ্কার করতে হবে। জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে ভারতের আধিপত্যবাদকে বাংলার মানুষ এই দেশ থেকে তাড়িয়েছে। ভারতের আধিপত্যবাদ ও বশ্যতা বাংলার মানুষ আর কখনোই গ্রহণ করবে না। এই অন্তর্বর্তী সরকার যদি ভারতের অন্যায় কোনো আবদারে এবং অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতি নতি স্বীকার করতে চায়, তাহলে আপনাদের পরিণতিও শুভ হবে না। জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না।’
অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপির ফাঁদে পা দিয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘একটি দল সংস্কার চাচ্ছে না। তারা পুরোনো বস্তাপচা নিয়মে নির্বাচন করতে পাঁয়তারা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারও ওই দলের ফাঁদে পা দিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি। যদি সংস্কার না হয়, শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। সে জন্য আমরা গণভোটের কথা বলেছি। সরকার গণভোট দেবে বলেছে, কিন্তু প্যাঁচ লাগিয়ে দিয়েছে। সেটা হচ্ছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তাদের বুঝতে হবে, এই দুটো নির্বাচন এক জিনিস নয়। কিন্তু ওই দলটি আলাদা গণভোট চায় না। কারণ, ডাকসু, চাকসু, জাকসু ও রাকসুর নির্বাচনের ফলাফল। জনগণ সংস্কারের পক্ষে। জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি গণভোট হয়, তাহলে শতকরা ৮০ ভাগ লোক আমাদের পক্ষে রায় দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। বিশেষ অতিথি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির মুহাম্মদ শাহজাহান। আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শাহাব উদ্দিন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, চৌদ্দগ্রাম পৌর আমির মাওলানা মু. ইব্রাহীম, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মাদ্রাসাবিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন, কুমিল্লা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।