শরীয়তপুরে দুর্গাপূজায় অন্যতম আকর্ষণ ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা
Published: 2nd, October 2025 GMT
দুর্গাপূজার মহাষ্টমী ও মহানবমীর সন্ধ্যায় ঢাকের তালে, কাঁসার ঝংকারে ভক্তরা হাতে তুলে নেন নারকেলের ছোবড়া ও ধূপকাঠের সুগন্ধি ধুনুচি। জ্বলন্ত ধূপে ভরা ধুনুচি পাত্র দোলাতে দোলাতে বিশেষ ভঙ্গিতে নাচেন তাঁরা। একে ধুনুচি নাচ বললেও অনেকে আরতি প্রতিযোগিতা নামেও চেনেন।
শরীয়তপুর শহরের পালং বাজারের পাশে জেলার কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রীশ্রী শ্যামসুন্দর জিউ (পালং হরিসভা) মন্দিরে দুর্গাপূজায় ধুনুচি নাচের আয়োজন চলে আসছে ১০২ বছর ধরে। চলতি বছরও এই আয়োজন দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেছে। দুর্গাপূজার শেষাংশে দেবীর আরাধনায় যে উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়, তার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এই ধুনুচি নাচ।
মন্দিরটির পরিচালনা কমিটি জানায়, ১৩৩০ বঙ্গাব্দ স্থানীয় বণিক পরিবার মন্দিরটি নির্মাণ করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মন্দিরটিতে প্রতিবছর দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গাপূজায় নানা আয়োজনের পাশাপাশি ধুনুচি নাচ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধিপূজার শেষে সন্ধ্যা থেকে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে স্থানীয় শিল্পীরা বিভিন্ন ভক্তিমূলক ও ধর্মীয় গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এরপর রাত ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে ধুনুচি নাচের আয়োজন। ধুনুচি নাচে অংশগ্রহণকারীদের থেকে মধ্য থেকে বিজয়ী নির্বাচন তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
২৫ বছর ধরে শরীয়তপুর শ্রীশ্রী শ্যামসুন্দর জিউ মন্দিরের বিভিন্ন পূজা-অর্চনায় বাদ্যযন্ত্র বাজান শিল্পী স্বপন দাস (৬০) ও তাঁর দল। তাঁর দলের ঢাক-ঢোল, বাঁশি আর কাঁসার ঝংকারের সঙ্গে ধুনুচি হাতে ভক্তরা মেতে ওঠেন প্রতিযোগিতায়। স্বপন দাস প্রথম আলোকে বলেন, ঢাক-বাঁশির সুর ও তালে ভক্তরা নৃত্য করেন। এটাতে তিনি বেশ আনন্দ পান। দুর্গা পূজায় হাজারো মানুষ আসেন, তারা বাজনা হৃদয় দিয়ে অনুভব করেন তা বোজা যায়। ভক্তদের দেওয়া অনুপ্রেরণায় ৫০ বছর ধরে এই পেশায় আছেন বলে দাবি তাঁর।
ধুনুচি হাতে মেতে ওঠে শিশুরাও.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।