প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেশের পরিস্থিতি অস্থির করে তুলছে: ফারুক
Published: 2nd, October 2025 GMT
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দেওয়ার ফাঁকে সম্প্রতি জেটিওর প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মেহেদি হাসানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, “নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জনগণের বিভিন্ন ধরনের মতামত আছে। কেউ এমনও বলেন, এই সরকার ৫ বছর, ১০ বছর, এমনকি ৫০ বছর পর্যন্ত থাকুক। কিন্তু আমরা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ড.
আরো পড়ুন:
দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক: মির্জা ফখরুল
১৭ বছর এক অসুর জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিল: নিপুন রায়
তার অভিযোগ, “প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্য দেশের সার্বিক পরিস্থিতিকে অস্থির করে তুলছে। এ কারণে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকাস্থ সেনবাগ ফোরাম আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “জাতিসংঘ সফরে থাকা অবস্থায় গণমাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, জনগণ তাকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চান। তার এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করছে।”
তিনি বলেন, “গত এক বছরে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অবস্থা অবনতির দিকে। এই অবস্থায় ড. ইউনূসের এমন বক্তব্য নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।”
জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
কলকাতায় পূজামণ্ডপে প্রধান উপদেষ্টাকে ব্যঙ্গ করার প্রতিবাদও জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, “ভারতের এমন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপের শামিল।”
যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনারও সমালোচনা করেন তিনি।
ফারুক আরো বলেন, “পাহাড়ে অশান্তি চলছে, দুর্গাপূজাকে ঘিরে অশান্তির পাঁয়তারা ছিল। এসব বিষয়কে আমলে না নেওয়া হলেও, এগুলোর পেছনে ষড়যন্ত্র স্পষ্ট। তবে আমি মনে করি না, বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করে কেউ সফল হতে পেরেছে। দেশে অশান্তি সৃষ্টির মূল শক্তি আওয়ামী লীগ এবং ভারত।”
ঢাকাস্থ সেনবাগ ফোরামের সভাপতি লায়ন এবিএম ফারুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেন সেলিম প্রমুখ।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ড ম হ ম মদ ইউন স ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
বাংলাদেশে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি হলেও এখানে পেশা হিসেবে নার্সদের অমর্যাদাসম্পন্ন একটা অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নার্সদের ডাক্তারি ব্যবস্থার অধীন একটা পেশা হিসেবে যে দেখা হয়, আমরা মনে করি এটা ভুল। এখান থেকে মুক্ত হতে হবে। নার্স সেবাটা স্বাস্থ্যসেবার একটা মৌলিক দিক। ফলে তাঁদের স্বাধীনভাবে এই পেশাকে চর্চা করবার সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ও স্বাস্থ্য আন্দোলন। স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার।
সরকার স্বাস্থ্যকে এখন আর জনগণের অধিকার হিসেবে স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্যকে অধিকার নয়, বাজারজাত পণ্য বানানো হয়েছে। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন, টাকা না থাকলে নয়।’
নার্সদের স্বাধীন পেশাগত চর্চা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সদেরকে ডাক্তারদের হুকুমমতো চলতে হবে—এই ধারণা ভাঙতে হবে। স্বাস্থ্য মানে শুধু প্রেসক্রিপশন নয়, প্রতিরোধও একটি বড় দিক। নার্সদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সিং স্বাস্থ্যসেবার এক মৌলিক দিক। কিন্তু আমাদের সমাজে চিকিৎসাকে ডাক্তারিকরণ বা মেডিক্যালাইজেশন করা হয়েছে। অনেক রোগে ডাক্তার কিংবা ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। এ জায়গায় নার্সরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম। এক মাসের মধ্যে নার্সিং কমিশন গঠনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বিএনএর সহসভাপতি মাহমুদ হোসেন তমাল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপারসন জরিনা খাতুন, সহসভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া এবং সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী।