আজ থেকে আইজ অন স্টুডিওর ইউটিউব চ্যানেলে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীরের সেলিব্রিটি পডকাস্ট শো ‘আঁখির গল্প’-এর দ্বিতীয় সিজন প্রচার শুরু হচ্ছে। রাত ১০টায় প্রচার হবে এই শোয়ের প্রথম পর্ব। এ পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী।
দ্বিতীয় সিজনের পরিকল্পনা জানিয়ে আঁখি আলমগীর বলেন, “প্রথম সিজনে আমি নিজের কথা বলেছি। দর্শকের ভালোবাসায় ধন্য হয়ে দ্বিতীয় সিজনে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছি। এই সিজনে আমি এমন সব মানুষদের সাথে আড্ডা দিব যারা আমাদের আইডল।”
আরো পড়ুন:
জন্মদিন যেভাবে কাটান জেমস
বাষট্টিতে নগরবাউল জেমস
সৈয়দ আবদুল হাদী পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। পেয়েছেন একুশে পদক। অসংখ্য জনপ্রিয় গানে তিনি ষাট বছরের বেশি সময় ধরে আলোকিত করে রেখেছেন আমাদের গানের জগত।
আঁখির সঙ্গে তার গল্প দেখতে আইজ অন স্টুডিও চ্যানেলে সবাইকে চোখ রাখতে বলেছেন এই কিংবদন্তি শিল্পী।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিতণ্ডা, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক
ফেনীতে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কলহের জেরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞার পৌর এলাকার জগতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আলমগীর হোসেন (৪৫)। তিনি একই গ্রামের গফুর ভান্ডারি বাড়ির আবদুল গফুরের ছেলে। পেশায় তিনি ট্রাকচালক ছিলেন। আটক স্ত্রীর নাম খালেদা ইয়াসমিন (৩৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে আলমগীরের সঙ্গে খালেদা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়ছিল। তাঁদের এক ছেলে রয়েছে। তবে গত কয়েক মাস আগে নারায়ণগঞ্জ জেলায় আরেকটি বিয়ে করেন আলমগীর। এসব নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আলমগীর বাড়িতে আসেন। এরপর আজ দুপুরে তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিতণ্ডা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ইয়াসমিন তাঁর স্বামীকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে স্বজনেরা ঘরের শৌচাগারের ভেতর আলমগীরের মরদেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে নিহত ব্যক্তির ছেলে কামরুল ইসলাম (১৬) প্রথম আলোকে বলে, নতুন বিয়ে করার পর তাঁর বাবা তাঁদের ভরণপোষণ দিতেন না। এ ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। দুপুরের দিকে খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন।
জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহেদ পারভেজ বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।