লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে পারে যেসব খাবার
Published: 3rd, July 2025 GMT
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের জন্য লিভার বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত লিভারে যেসব রোগ দেখা যায়, জন্ডিস, পিত্তথলিতে পাথর, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যানসার, উইলসন্স ডিজিজ এবং ফ্যাটি লিভার। সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিভাবে ফ্যাট জমে যাওয়ার কথা। আর এখান থেকেই হতে পারে অনেক সমস্যার শুরু। তাই লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বের করা ভীষণ জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘অকারণে অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের ফলে লিভার কর্মক্ষমতা হারায়। এমনকি ঠান্ডা ও জ্বরের জন্য বহুল ব্যবহৃত ওষুধ, ব্যথানাশক, ঘুমের ওষুধ প্রভৃতি লিভারের ক্ষতি করতে পারে।’’
নিয়মিত ব্যায়াম ও পরিশ্রম করা ছাড়াও সঠিক খাবার গ্রহণের মাধ্যমে লিভার ভালো রাখা যায়। লিভার ডিটক্সের জন্য কি কি খাওয়া ভালো জেনে নিন।
গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট জোসেফ সালহাব একটি সাক্ষাৎকারে লিভার ভালো রাখার বেশ কিছু উপায় জানিয়ে দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ঘুমানোর কত সময় আগে খাবার গ্রহণ করা ভালো
থাইরয়েড হলে কীভাবে বুঝবেন
সবজি
ব্রকোলি, ব্রাসেলস ব্রকোলি, বাঁধাকপি, সরিষার শাক, ওলকপি, ফুলকপি খেলে লিভার পরিষ্কার হযে যায়। এসব সবজি লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। এক কথায় কপিজাতীয় সবজি লিভারে পুষ্টি সরবরাহের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। তাছাড়া এই ধরনের সবজিতে সালফোরাফেন নামের একটি যৌগ রয়েছে, যা লিভার ডিটক্সিফাইয়ের কাজ করে।
পর্যাপ্ত পানি
লিভারের রোগ থেকে বাঁচতে হলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
মশলা
লেবুর রস, তাজা ফল, হলুদ, গোলমরিচের মতো খাবার ও মশলা খেলে লিভারের সমস্যা দূরে থাকবে।
উল্লেখ্য, মদ্যপান থেকে দূরে থাকতে হবে। মদে থাকা উপাদান লিভারের কোষ ধ্বংস করে। এ ছাড়াও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার— সাদা পাউরুটি, পাস্তা ও চিনি এড়িয়ে চলতে হবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে হলের নির্মাণ খরচের নথিপত্র চেয়ে প্রকল্প কার্যালয়ে তালা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নির্মিত ছয়টি আবাসিক হলের নির্মাণকাজের সব খরচের নথিপত্র দেওয়ার দাবিতে প্রকল্প কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রকল্প কার্যালয়ের ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন জাকসুর দুজন প্রতিনিধিসহ ছয়টি হলের সংসদের প্রতিনিধিরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পায় বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রকল্পের আওতায় ১০ তলাবিশিষ্ট ছয়টি হল নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সালে এসব হল উদ্বোধন করা হয়।
নির্মিত আবাসিক হলগুলো নিয়ে প্রকল্পের শুরু থেকেই ডিপিপি জালিয়াতি, তৎকালীন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে অর্থ প্রদান, অব্যবস্থাপনাসহ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল।
সম্প্রতি ভূমিকম্পের পর নতুন হলগুলোর দেয়ালে ফাটল ও বিভিন্ন ফ্লোরে পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনায় নতুন করে দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হলের নির্মাণ খরচের নথিপত্র চেয়ে প্রকল্প কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ, হলভবনের নিরাপত্তা এবং শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রশ্নে কোনো তথ্য গোপন করা চলবে না। দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলের নির্মাণ খরচের নথিপত্র প্রকাশ করলে তবেই প্রকল্প অফিসের তালা খোলা হবে।
তাদের দাবি, প্রকল্পের সয়েল টেস্ট রিপোর্ট, স্ট্রকচারাল ডিজাইন, অথরিটি অ্যাপ্রুভাল শিট, আর্থিক হিসেব, ফেজ ওয়ানের ডিপিপি শিডিউল, কনস্ট্রাকশন শিডিউল, কনস্ট্রাকশন কোম্পানির ডিটেইলস, তদারক কমিটির তালিকা, টেন্ডার দরপত্রের তথ্য পাবলিক করতে হবে।
এ বিষয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হল সংসদের ভিপি সিফাতুল্লাহ বলেন, ‘‘সকাল থেকে বিক্ষোভ করলেও সাড়ে ৪ ঘণ্টা পরে পিডি দাবি শুনতে আসেন। এটা খুবই দুঃখজনক। ভূমিকম্প হয়ে গেছে বেশ কিছুদিন। এখন পর্যন্ত তারা দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা যখন নির্মাণ খরচের নথিপত্রের জন্য এসেছি। তারা বিলম্ব করছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে, প্রশাসন কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’’
ঢাকা/আহসান/রাজীব