Samakal:
2025-10-19@20:35:35 GMT

জনসচেতনতাই তাদের কাজ

Published: 13th, July 2025 GMT

জনসচেতনতাই তাদের কাজ

খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায় মায়ের অসচেতনতার কারনে শিশু মারা যাচ্ছে। যে ওরস্যালাইন আমাদের জীবন বাচায় সেই ওরস্যালাইন এর কারণে আমাদের ভবিষ্যত শিশুরা মারা যাবে তা আমাদের মেনে নিতে কষ্ট হয়। এমন অবস্থায় আরএডি ফাউন্ডেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো শিশুদের জীবন রক্ষায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আরএডি ফাউন্ডেশন ২০২২ সাল থেকে দেশের স্কুল গুলোতে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। 

২০১৯ সাল থেকে সচেতন করে যাচ্ছে রেল লাইন এবং তার আশেপাশের মানুষগুলোকে। কিভাবে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করা যায় এবং পাথর নিক্ষেপের শাস্তি ও পাথর নিক্ষেপে সাধারণ মানুষের কেমন ক্ষতি হয় সেগুলো বুঝাচ্ছে মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ করে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার কয়েকজন তরুন সাধারণ মানুষের জীবনকে সুন্দর করে তোলার লক্ষ্যে আরএডি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে। সংগঠনটির এখন শাখা চালু আছে ময়মনসিংহ, সাতক্ষীরা এবং বান্দরবানে। বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি আরএডি ফাউন্ডেশন আর্ত-মানবতার সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে-সামাজিক সচেতনতা তৈরি ও বৃদ্ধি, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদবস্ত্র ও শীতবস্ত্র উপহার, মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তদাতা ব্যবস্থা করা, ফুটপাতে থাকা মানুষের জন্য ১ বেলার খাবার বিতরণ, প্রাকৃতিক দূর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে থাকা ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী উপহার। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মানিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের মানুষকে সচেতন করে আসছি আমরা। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষগুলো বেশির ভাগ নিরক্ষর হওয়ায় তাদের জন্য চলবে আমাদের বিশেষ সচেতনতা ক্যাম্পেইন।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব চ ছ স ব স গঠন আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। একই সঙ্গে ১২ অক্টোবর আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, ইউনেসকোর সুপারিশ অনুযায়ী বাংলাদেশ কখনোই ৫ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষা বরাদ্দ দেয়নি। চব্বিশের গণ–আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষায় বরাদ্দ আগের চেয়েও কমিয়েছে। সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করলেও সেখানে শিক্ষা সংস্কারে কোনো কমিশন নেই।

শিক্ষকদের দাবির প্রতি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো (শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়) ইতিবাচক মনোভাব পোষণ না করলে তা নতুন রাজনৈতিক সংকট তৈরি করবে বলে সতর্ক করেছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষক নেটওয়ার্ক মনে করে, শিক্ষক–কর্মচারীদের উত্থাপিত তিনটি দাবি ন্যায্য। অবিলম্বে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানায় শিক্ষকদের সংগঠনটি।

শিক্ষকদের তিনটি দাবি হলো মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বাড়ানো।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের দাবিদাওয়া বর্তমান সময়ের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট ও মূল্যস্ফীতিতে জীবনযাপনের জন্য অতি সামান্য বলে মনে করে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। আন্দোলনরত শিক্ষক–কর্মচারীদের প্রতি বৈষম্য চলছে উল্লেখ করে তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা যেখানে মূল বেতনের ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বাড়িভাড়া পান, সেখানে বেসরকারি শিক্ষকেরা হাজার টাকা বরাদ্দ পান।

এই ব্যবস্থাকে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি অবমাননা বলে মনে করে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। বিবৃতিতে তারা বলেছে, এই ব্যবস্থা পুরো জাতির জন্য লজ্জাজনক। যার কারণে শিক্ষকেরা শিক্ষকতায় পূর্ণ মনোযোগী থাকতে পারেন না। প্রাইভেট পড়ানো-কোচিং থেকে শুরু করে দলীয় রাজনীতিসহ অন্যান্য অশিক্ষকসুলভ কাজে জড়াচ্ছেন।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে চলতি অর্থবছরে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ১০ শতাংশ বৃদ্ধি এবং আগামী অর্থবছরে আরও ১০ শতাংশ বাড়ানোর নিশ্চয়তা প্রদান, চিকিৎসা ভাতা ন্যূনতম দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ এবং উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা।

এ ছাড়া আগামী অর্থবছর থেকে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৩ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত করা এবং তা পর্যায়ক্রমে ৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। একই সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মোরাল প্যারেন্টিং বৃত্তি পেল অর্ধশতাধিক ইবি শিক্ষার্থী
  • শাবিপ্রবিতে ক্যাম্পাসে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই: ছাত্রদল
  • নতুন নেতৃত্বের জন্য জীবন বৃত্তান্ত নিচ্ছে ইবি ছাত্রদল
  • ৬ ভিপি-জিএসসহ হলের ১৯ পদ পেল ছাত্রদল
  • “গণহত্যা সমর্থনকারী শিক্ষক থেকে আমরা শিক্ষা নিতে চাই না”
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের