পাবনা পৌর শহরের কালাচাঁদপাড়ায় প্রকাশ্যে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জওহরলাল বসাক তুলসীকে (৭৭) কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে অধ্যাপকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষক ও প্রতিবেশীরা জানান, জওহরলাল বসাক তুলসী বাড়িতে একাই থাকেন। রবিবার দুপুরে তিনি বাজার থেকে বাড়িতে প্রবেশ করলে পূর্ব থেকে বাড়িতে অবস্থান করা দুই দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়।

এ সময় দুর্বৃত্তরা তার মুখ চেপে ধরে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। যাওয়ার সময় আলমারিতে থাকা একটি মোবাইল নিয়ে যায় তারা।

আরো পড়ুন:

মাদারীপুরে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় ৪ বাড়িতে হামলা

সচিবালয়ে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার ৪

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জওহরলাল বসাক তুলসী বলেন,‌‌ ‘‘আমি যখন বাসায় প্রবেশ করি, দুই জন এসে আমার মুখ চেপে ধরে ছুরিকাঘাত করে। পরে বাড়ির সবকিছু তছনছ করে। একটি মোবাইল ছাড়া তারা কিছুই পায়নি।’’

দুর্বৃত্তরা মুখোশ পড়া ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘না।’’

আহত অধ্যাপক জওহরলাল বসাক তুলসী কোনো অভিযোগ করবেন না জানিয়ে বলেন, ‘‘আমি পুলিশ দ্বারা হ্যারেজমেন্ট হতে রাজি না। আমার পুলিশ দরকার নেই।’’ এ সময় সাংবাদিকদের প্রতিবেদন করতেও নিষেধ করেন তিনি।

প্রতিবেশীরা বলেন, তিনি হয়তো দুর্বৃত্তদের চিনতে পেরেছেন। তাই ভয়ে কিছু বলছেন না। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় সদর থানা পুলিশ আহত অধ্যাপকের বাড়িতে যায়।

পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ‘‘দুই ছিনতাইকারী অধ্যাপক জওহরলাল বসাক তুলসীর বাসায় প্রবেশ করে তাকে ছুরিকাঘাত করে বাসার আসবাবপত্র তছনছ করে একটি মোবাইল নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে, এ ঘটনায় তিনি এখনো অভিযোগ দেননি।’’

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ব ত তর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম খুনি তিনটি গুলি চালিয়ে আরেক খুনিকে চিৎকার করে বললেন, ‘গুলি চালাও’

ভারতের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারে তাঁর জন্ম। সেই অর্থে তাঁর রক্তেই ছিল রাজনীতি।

তরুণ বয়সে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে নাম লেখান তিনি। ৪৯ বছর বয়সে হন প্রধানমন্ত্রী। সরকারপ্রধান, দলীয় প্রধান হিসেবে তাঁকে পাড়ি দিতে হয় বন্ধুর পথ। নিতে হয় কঠিন সব সিদ্ধান্ত।

রাজনীতিতে আপসহীন, দৃঢ় মানসিকতার জন্য তিনি ভারতে ‘লৌহমানবী’ হিসেবে পরিচিতি পান। তাঁর নেতৃত্ব, বিচক্ষণতা, সাহসিকতার নাম–যশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ছড়িয়ে পড়ে।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৮৪ সালের মাঝামাঝি একটি ‘কঠিন’ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সে জন্য অচিরেই তাঁকে জীবন দিয়ে মূল্য চোকাতে হয়েছিল।

১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর তিনি নিজের দুই দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন। তিনি ইন্দিরা গান্ধী, ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুনগাঁদা ফুল, ইন্দিরা গান্ধী ও অন্যদের গল্প০৫ জুলাই ২০১৯নেহরুর মেয়ে

ইন্দিরার জন্ম ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর। বাবা পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। মা কমলা নেহরু। দাদা মতিলাল নেহরু।

মতিলাল ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর ছেলে জওহরলালও ছিলেন ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের অন্যতম নেতা। তিনি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।

পিতামহ ও পিতার পথ ধরে ইন্দিরা শৈশব-কৈশোরেই ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামে নিজেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ফেলেন। এমনকি ২৫ বছর বয়সেই তাঁকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। তিনি ২৪৩ দিন কারা অন্তরিণ ছিলেন।

ইন্দিরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েছেন। এক বছর করে পড়েছেন শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী ও অক্সফোর্ডের সামারভিল কলেজে। তবে তিনি পড়ালেখা শেষ করতে পারেননি।

ইন্দিরা গান্ধী, ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথম খুনি তিনটি গুলি চালিয়ে আরেক খুনিকে চিৎকার করে বললেন, ‘গুলি চালাও’