‘আরও পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত থাকুন,’ যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি মেদভেদেভের
Published: 5th, August 2025 GMT
স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তের জন্য ন্যাটোকে দায়ী করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইংরেজি ভাষায় লেখা এক পোস্টে দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, ‘মধ্য ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারসংক্রান্ত রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি ন্যাটো দেশগুলোর রাশিয়াবিরোধী নীতির ফল।’
গতকাল সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই বিবৃতি দেয়। এর পরপরই উল্লেখিত পোস্ট দেন মেদভেদেভ। তিনি কয়েক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অনলাইনে কথার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
এক্সে দেওয়া সর্বশেষ পোস্টে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মেদভেদেভ আরও বলেন, ‘এটি একটি নতুন বাস্তবতা, যা আমাদের সব প্রতিপক্ষকে মেনে নিতে হবে। আরও পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত থাকুন।’
তবে আরও পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত থাকতে বললেও সেটি কী হতে পারে, সে বিষয়ে মেদভেদেভ কিছু বলেননি।
মেদভেদেভের সঙ্গে কথার লড়াইয়ের জের ধরে গত সপ্তাহে ট্রাম্প রাশিয়ার কাছে ‘উপযুক্ত অঞ্চলে’ যুক্তরাষ্ট্রের দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দেন।
গতকালের বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউরোপ ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে, তা তাদের স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনসংক্রান্ত নীতির পুনর্মূল্যায়নের কারণ হয়েছে।
আরও পড়ুনপারমাণবিক বিষয়ে বক্তব্য নিয়ে ‘খুব সতর্ক’ থাকা উচিত: মস্কো১৮ ঘণ্টা আগেমন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘ইউরোপ ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মাঝারি ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে, একই ধরনের অস্ত্র মোতায়েন না করার রাশিয়ার একতরফা স্থগিতাদেশ বজায় রাখার যৌক্তিকতা আর থাকছে না।’
এ প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গত বছর বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জবাবে মস্কোকে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনসংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নিতে হতে পারে।
গত ডিসেম্বর মাসে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লাভরভ বলেন, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনে মস্কোর একতরফা স্থগিতাদেশ প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে এবং তা পরিত্যাগ করতে হবে।
আরও পড়ুনকে এই মেদভেদেভ, উদারপন্থী নেতা থেকে কীভাবে হয়ে উঠলেন উসকানিদাতা১৯ ঘণ্টা আগেতখন লাভরভ আরও বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে রাশিয়া ও চীনের সতর্কতা উপেক্ষা করেছে এবং বাস্তবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এ শ্রেণির অস্ত্র মোতায়েন শুরু করে দিয়েছে।’
২০১৯ সালে ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মধ্যমপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি (আইএনএফ) লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রকে ওই চুক্তি থেকে বের করে আনেন। মস্কো সে সময় বলেছিল, যদি ওয়াশিংটন এ ধরনের অস্ত্র মোতায়েন না করে, তবে তারাও মোতায়েন করবে না।
উল্লেখ্য, আইএনএফ ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি ঐতিহাসিক চুক্তি। এর মাধ্যমে ইউরোপে ভূমিভিত্তিক মধ্যমপাল্লার পারমাণবিক ও প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রের মোতায়েন নিষিদ্ধ করা হয়।
সাবেক সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ ও যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের মধ্যে আইএনএফ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
আরও পড়ুনট্রাম্পের পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের পরও নিশ্চুপ কেন রাশিয়া০৩ আগস্ট ২০২৫আরও পড়ুনউত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়া যাচ্ছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত০৪ আগস্ট ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র র জন য স বল প
এছাড়াও পড়ুন:
‘আরও পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত থাকুন,’ যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি মেদভেদেভের
স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তের জন্য ন্যাটোকে দায়ী করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইংরেজি ভাষায় লেখা এক পোস্টে দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, ‘মধ্য ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারসংক্রান্ত রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি ন্যাটো দেশগুলোর রাশিয়াবিরোধী নীতির ফল।’
গতকাল সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই বিবৃতি দেয়। এর পরপরই উল্লেখিত পোস্ট দেন মেদভেদেভ। তিনি কয়েক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অনলাইনে কথার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
এক্সে দেওয়া সর্বশেষ পোস্টে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মেদভেদেভ আরও বলেন, ‘এটি একটি নতুন বাস্তবতা, যা আমাদের সব প্রতিপক্ষকে মেনে নিতে হবে। আরও পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত থাকুন।’
তবে আরও পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত থাকতে বললেও সেটি কী হতে পারে, সে বিষয়ে মেদভেদেভ কিছু বলেননি।
মেদভেদেভের সঙ্গে কথার লড়াইয়ের জের ধরে গত সপ্তাহে ট্রাম্প রাশিয়ার কাছে ‘উপযুক্ত অঞ্চলে’ যুক্তরাষ্ট্রের দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দেন।
গতকালের বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউরোপ ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে, তা তাদের স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনসংক্রান্ত নীতির পুনর্মূল্যায়নের কারণ হয়েছে।
আরও পড়ুনপারমাণবিক বিষয়ে বক্তব্য নিয়ে ‘খুব সতর্ক’ থাকা উচিত: মস্কো১৮ ঘণ্টা আগেমন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘ইউরোপ ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মাঝারি ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে, একই ধরনের অস্ত্র মোতায়েন না করার রাশিয়ার একতরফা স্থগিতাদেশ বজায় রাখার যৌক্তিকতা আর থাকছে না।’
এ প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গত বছর বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জবাবে মস্কোকে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনসংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নিতে হতে পারে।
গত ডিসেম্বর মাসে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লাভরভ বলেন, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনে মস্কোর একতরফা স্থগিতাদেশ প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে এবং তা পরিত্যাগ করতে হবে।
আরও পড়ুনকে এই মেদভেদেভ, উদারপন্থী নেতা থেকে কীভাবে হয়ে উঠলেন উসকানিদাতা১৯ ঘণ্টা আগেতখন লাভরভ আরও বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে রাশিয়া ও চীনের সতর্কতা উপেক্ষা করেছে এবং বাস্তবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এ শ্রেণির অস্ত্র মোতায়েন শুরু করে দিয়েছে।’
২০১৯ সালে ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মধ্যমপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি (আইএনএফ) লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রকে ওই চুক্তি থেকে বের করে আনেন। মস্কো সে সময় বলেছিল, যদি ওয়াশিংটন এ ধরনের অস্ত্র মোতায়েন না করে, তবে তারাও মোতায়েন করবে না।
উল্লেখ্য, আইএনএফ ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি ঐতিহাসিক চুক্তি। এর মাধ্যমে ইউরোপে ভূমিভিত্তিক মধ্যমপাল্লার পারমাণবিক ও প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রের মোতায়েন নিষিদ্ধ করা হয়।
সাবেক সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ ও যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের মধ্যে আইএনএফ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
আরও পড়ুনট্রাম্পের পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের পরও নিশ্চুপ কেন রাশিয়া০৩ আগস্ট ২০২৫আরও পড়ুনউত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়া যাচ্ছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত০৪ আগস্ট ২০২৫