এসএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ ১০ আগস্ট
Published: 7th, August 2025 GMT
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশের তারিখ জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। একই সঙ্গে কীভাবে এই ফল জানতে পারবেন তাও জানিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার গণমাধ্যমকে জানান, বোর্ড নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী, ফল প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করতে হয়। সে হিসাবে, ৯ আগস্টের মধ্যে সময়সীমা শেষ হচ্ছে। এজন্য ১০ আগস্ট ফল প্রকাশের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পুনঃনিরীক্ষণের বিস্তারিত এ বছর পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিল। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডেই রেকর্ডসংখ্যক ৯২ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতার জন্য আবেদন করেছে। এটি গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২১ হাজার এবং চ্যালেঞ্জ করা খাতার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ হাজার। সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে গণিত বিষয়ের খাতার জন্য, সংখ্যাটি ৪২ হাজার ৯৩৬টি। এরপর ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৯ হাজার ৬৮৮টি করে, পদার্থবিজ্ঞানে ১৬ হাজার ২৩৩টি এবং বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৩ হাজার ৫৫৮টি খাতার পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন জমা পড়েছে। সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে চারু ও কারুকলা বিষয়ে, মাত্র ছয়টি।
পুনঃনিরীক্ষণ মানে নতুন করে খাতা মূল্যায়ন করা নয়। এই প্রক্রিয়ায় মূলত খাতার নম্বরগুলো সঠিকভাবে যোগ করা হয়েছে কি না, কোনো প্রশ্নের নম্বর বাদ পড়েছে কি না এবং ওএমআর শিটে নম্বর তুলতে বা বৃত্ত ভরাট করতে কোনো ভুল হয়েছে কি না, তা যাচাই করা হয়। এই যাচাইয়ের ফলে নম্বরের কোনো ভুল ধরা পড়লে তা সংশোধন করে শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন করা হয়।
শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবে। একই সঙ্গে, যাদের ফল পরিবর্তন হবে, তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও জানিয়ে দেওয়া হবে।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস: একদিন বন্ধ একাদশের অনলাইন ভর্তি আবেদন
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ আজ মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট। দিনটি উপলক্ষ্যে একাদশ শ্রেণির অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম একদিনের জন্য স্থগিত থাকবে। তবে আগামীকাল বুধবার (৬ আগস্ট) থেকে যথারীতি আগের নিয়মে অনলাইন ভর্তির সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে ৫/৮/২০২৫ তারিখ (মঙ্গলবার) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
এর আগে চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ২৯ জুলাই থেকে। এ আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট। নির্বাচিতদের ফল প্রকাশের পরই দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়েও আবেদন করা যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তির কাজ হবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।
এর আগে গত ২৪ জুলাই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারও আগের নিয়মেই আবেদন গ্রহণ ও ভর্তির কাজটি করা হবে। একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না (ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়ে আসছে)। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
আরও পড়ুনডাচ্-বাংলা ব্যাংক দেবে এসএসসি উত্তীর্ণদের শিক্ষাবৃত্তি, মাসে আড়াই হাজার টাকা, করুন আবেদন৬ ঘণ্টা আগেঅনলাইনে আবেদন যেভাবে—
অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। অনলাইন ছাড়া ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন করা হবে না। শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২২০ টাকা। এ ফি দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দ দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটিমাত্র কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবে।
তবে যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীর ভর্তির ব্যবস্থা করবে।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্র হারাতে যাচ্ছে ১৫০০০০ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি, শিক্ষায় বড় ধাক্কা২ ঘণ্টা আগেগ্রুপ নির্বাচন যেভাবে হবে—
বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণরা এ দুই গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবে। দাখিল উত্তীর্ণ বিজ্ঞান গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি ও সাধারণ গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না, শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
তিন ধাপে আবেদন ও ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস কবে—
প্রথম ধাপে অনলাইনে একাদশে ভর্তির আবেদন চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে প্রকাশ হবে। এরপর আরও দুই ধাপে আবেদন গ্রহণ, ফল প্রকাশ, নিশ্চয়ন ও চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু করা হবে।
আরও পড়ুনসরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি: ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে এসএসসি উত্তীর্ণদের সুযোগ২৯ জুলাই ২০২৫কলেজে ভর্তি ফি কত—
ভর্তির সময় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরে পাঁচ হাজার টাকা সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি নেওয়া যাবে। ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মহানগর এলাকায় তিন হাজার, জেলায় দুই হাজার ও উপজেলা বা মফস্বল এলাকায় দেড় হাজার টাকা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া এমপিওভুক্ত নয়, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি কত নেওয়া যাবে, সেটি নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরে বাংলা ভার্সনে সাড়ে সাত হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে আট হাজার টাকা নেওয়া যাবে।
ঢাকা মহানগর বাদে অন্যান্য মহানগর এলাকায় বাংলা ভার্সনে পাঁচ হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে ছয় হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ে বাংলা ভার্সনে তিন হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে চার হাজার টাকা এবং উপজেলা ও মফস্বল এলাকায় বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে তিন হাজার টাকা নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুনএকাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে আবেদন শুরু, ফি-মেধা কোটা-ভর্তির যোগ্যতা-গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে৩০ জুলাই ২০২৫মেধা কোটা যেভাবে নির্ধারণ—
নীতিমালা অনুযায়ী, কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। বাকি ৭ শতাংশ আসনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ আসন মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংরক্ষিত থাকবে (ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে)। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে এই আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।
একাদশে ভর্তি নীতিমালা দেখুন এখানে।