যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নিজের সম্ভাব্য বৈঠকটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আজ মস্কোতে আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন পুতিন। এ সময় ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচিত বৈঠকটি কোথায় হতে পারে, তা জানতে চান সাংবাদিকেরা। জবাবে পুতিন বলেন, রাশিয়ার ‘অনেক বন্ধু’ আছে, যারা বৈঠকের আয়োজনে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

এরপর পুতিন বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট আমাদের সেই বন্ধুদের একজন। চিন্তাভাবনা করে আমরা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করব। আমার কাছে এটি (ইউএই) সম্ভাব্য বৈঠকের স্থান হিসেবে বেশ উপযুক্ত জায়গা বলে মনে হয়।’

এর আগ আজ ক্রেমলিনের জ্যেষ্ঠ আলোচক কিরিল দিমিত্রিয়েভ জানিয়েছেন, পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাব্য স্থান চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বহুল প্রত্যাশিত এই বৈঠক ‘ঐতিহাসিক’ হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (বাঁয়ে) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাপানের ওসাকায় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের এক ফাঁকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে, ২৮ জুন ২০১৯.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম র ত

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ