চীনের তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান খাইশি গ্রুপ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করছে। প্রতিষ্ঠানটি মোট ৪০ দশমিক ৫ মিলিয়ন বা ৪ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে। সেখানে প্রতিষ্ঠানটি লিনজেরি (অন্তর্বাস) ও সংশ্লিষ্ট পণ্য তৈরি করবে।

নতুন এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১ কোটি ৮০ লাখ জোড়া লিনজেরি ও আন্ডারগার্মেন্টস তৈরি করবে। এর সঙ্গে দুই কোটি জোড়া ব্রা ফোম ও কাপ উৎপাদন করবে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ৩ হাজারের বেশি লোকের কর্মসংস্থান হবে।

বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য গতকাল সোমবার রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সঙ্গে চুক্তি করেছে খাইশি গ্রুপ। রাজধানীর গ্রিন রোডের বেপজা কার্যালয়ে সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো.

আশরাফুল কবীর এবং খাইশি গার্মেন্টস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জিয়াও হংজি নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে খাইশির প্রথম প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেখানে তারা ৬০ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছিল। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালের জুন মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। খাইশির ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) এবং বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুটি কারখানায় মোট ৬ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

খাইশি গার্মেন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডসহ এ পর্যন্ত মোট ৪৫টি প্রতিষ্ঠান বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর বলেন, ‘খাইশি গ্রুপের নতুন এই বিনিয়োগকে আমরা স্বাগত জানাই। বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার ১৪ মাসের মধ্যে আবারও বিদেশি এই প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে আস্থার কারণে হয়েছে।’

খাইশি গার্মেন্টস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জিয়াও হংজি বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করা কর্মীদের বেশির ভাগ বেপজা অঞ্চলের দূরদূরান্ত থেকে আসছেন। যার ফলে শ্রমিকদের উপস্থিতিতে দেরি হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আমরা বাংলাদেশ ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রতি আস্থা রাখছি।’

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, সদস্য (অর্থ) আ ন ম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. তানভীর হোসেন, নির্বাহী পরিচালক (এন্টারপ্রাইজ সার্ভিসেস) মো. খুরশিদ আলম, নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ এস এম আনোয়ার পারভেজ প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ন য় গ কর গ র ম ন টস

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদে ছাড় নয়

জুলাই সনদের ক্ষেত্রে সরকারকে এক বিন্দুও ছাড় দেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গত এক বছর ছাড় দিয়েছি। জুলাই ঘোষণাপত্রে ছাড় দিয়েছি। জুলাই সনদে কোনো ছাড় হবে না। এক পার্সেন্ট ছাড়ও জুলাই সনদে দেওয়া হবে না।’

আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুব শক্তি আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যে মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা জনগণের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, যে নতুন বন্দোবস্তের কথা আমরা বলেছি, সেটিতে গণতন্ত্র নিশ্চিত হবে, স্বৈরাচার আর ফিরে আসতে পারবে না। রাষ্ট্রকাঠামোকে গণতান্ত্রিক হিসেবে গড়ে তুলব। সে জুলাই সনদে আমরা এক বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেব না।’

নাহিদ বলেন, বাংলাদেশের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা। যদি রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে না পারে, দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে নিজেদের মধ্যে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা তৈরি না হয়, তাহলে আরেকটি এক–এগারো আসবে। কারণ, ইতিহাসে এটাই দেখা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, সমীকরণ এখনো শেষ হয়ে যায় নাই। ফলে যারা এখনই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলছে, তারা ভুল পথে হাঁটছে। গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি এখনো রাজপথে আছে।’

আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তি আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ