ঘটনার এক বছরের বেশি সময় পর ৩১ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করায় উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানান ডিইউজের সভাপতি সাজ্জাদ আলম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মিঞা।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক ও স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেন ডিইউজের নেতারা। তাঁরা বলেন, পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা চলতে থাকলে কখনই ভয়ের সংস্কৃতি দূর হবে না।

অবিলম্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান ডিইউজে নেতারা। তাঁরা বলেন, তদন্ত ছাড়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে না—সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এমনটি আশ্বস্ত করা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।

এর আগে গত সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে একটি হত্যা মামলায় ৩১ সাংবাদিককে আসামি করা হয়।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, ফরিদা ইয়াসমিন, ওমর ফারুক, মনজুরুল আহসান বুলবুল, শ্যামল দত্ত, আবদুল জলিল ভূঁইয়া, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোহেল হায়দার চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম রতন, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, নজরুল ইসলাম মিঠু, মোহাম্মদ আবু সাঈদ, আকতার হোসেন, দীপ আজাদ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, নঈম নিজাম, মঞ্জুরুল ইসলাম, আবেদ খান, নাইমুল ইসলাম খান, মোজাম্মেল বাবু, সাইফুল আলম, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, মাঈনুল আলম, শাহজাহান সরদার, আশিষ সৈকত, জুলফিকার রাসেল, শাকিল আহমেদ, নাজমুল হক সৈকত, মামুনুর রহমান খান প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম ড ইউজ

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে বিক

রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় উপজেলার কোদালপুর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে কোদালপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বহাল, ২ মহাসড়কে অবরোধ শিথিল

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিরপুর থানায় ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রধান আসামি করে গণঅভ্যুত্থানে নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবিলম্বে মামলা থেকে নিরপরাধ বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির সদস্য তারেক আজিজ মোবারক ঢালী বলেন, ‘‘যেসব বিএনপি নেতাকর্মীর নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা সকলে বিগত দিনে স্বৈরাচারি হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। তাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হোক।’’ 

কোদালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম সালু মৃধা বলেন, ‘‘বিগত দিনে বিএনপি করার কারণে আমরা মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি, হামলার শিকার হয়েছি। এখন আবার আমাদের নাম একই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এটি ঘৃণিত ষড়যন্ত্র, এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।’’ 

ভুক্তভোগী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন মৃধা বলেন, ‘‘আমি বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম। এমনকি, জুলাই আন্দোলনেও অংশ নিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর আমার নাম মিরপুর থানার মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’’ 

তিনি এর তীব্র নিন্দা এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান। 
 

ঢাকা/আকাশ/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুমিল্লায় ড্যাবের এক নেতার বিরুদ্ধে আরেক নেতার অনুসারীদের মানববন্ধন
  • জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হ‌বে: মাওলানা ইমতিয়াজ
  • গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে বিক
  • জনগণের দাবি অবজ্ঞা করবেন না: খেলাফত মজ‌লিস
  • পিআরের নামে জামায়াত ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে: কায়সার কামাল
  • রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে না দেওয়ার আহ্বান তানিয়া রবের