কয়েকটি আলোচিত আইটেম গানে আবেদনময়ী পারফরম্যান্স ছাড়া বিনোদন–দুনিয়ায় বলার মতো খুব বেশি কিছু করেননি মালাইকা অরোরা। তবু তিনি খবরে থাকেন, বারবার চর্চায় উঠে আসে তাঁর ব্যক্তিজীবনের নানা বিষয়। প্রথমে আরবাজ খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অর্জুন কাপুরের সঙ্গে প্রেম নিয়ে খবরে থেকেছেন তিনি। তবে অন্তর্জালে তাঁকে নিয়ে ‘ঝড়’ বয়ে গেলেও নীরবতা বজায় রেখেছেন মালাইকা। এবার ভারতীয় গণমাধ্যম পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিচ্ছেদ, বিয়েসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

প্রথম বিয়ে ও ব্যক্তিগত জীবন
১৯৯৮ সালে মালাইকা বিয়ে করেন অভিনেতা-প্রযোজক আরবাজ খানকে। এর আগে পাঁচ বছর প্রেম করেছিলেন তাঁরা। বিয়ের প্রায় ১৮ বছর পর, ২০১৬ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। বর্তমানে তাঁদের ছেলে আরহানকে দুজনই দেখভাল করছেন। বিচ্ছেদের পর মালাইকা আলোচনায় আসেন অভিনেতা অর্জুন কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জনে। ২০১৯ সাল থেকে প্রকাশ্যে একসঙ্গে দেখা যেত তাঁদের। তবে গত বছর সেই সম্পর্কেরও ইতি টেনেছেন দুজন। অর্জুন কাপুর এরই মধ্যে স্বীকার করেছেন, তিনি এখন সিঙ্গেল।

মালাইকা অরোরা। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ সোমবার সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না।

বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক শক্তির প্রাণকেন্দ্র বন্দর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা শক্তির হাতে ব্যবস্থাপনাগতভাবে স্থানান্তর করার যেকোনো উদ্যোগ রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কৌশলগত স্থাপনা পরিচালনার নামে কোনো বিদেশি আধিপত্য, বিশেষ সুবিধা বা গোপন চুক্তি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগত ও অগ্রহণযোগ্য।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জনগণের অগণিত ত্যাগ ও শ্রমে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম বন্দর–সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জন আস্থার প্রতি সম্মান এবং রাষ্ট্রীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে গ্রহণ করতে হবে। জনগণের অজান্তে বা গোপন আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে দেশের সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। জাতীয় সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে কোনো শিথিলতা, সমঝোতা বা বিদেশি চাপ গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের, দেশেরই থাকবে। এটি রক্ষায় প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নাগরিক সতর্কতা ও গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ