আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন (এনওসি) ছাড়াই হাউজিং কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে পূর্বাচল উদ্যোগ সিটি নামে একটি হাউজিং কোম্পানির কার্যালয় উচ্ছেদ করা হয়েছে। র

বিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দিনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় কোম্পানিটির অফিস উচ্ছেদের পাশাপাশি কয়েকটি সাইনবোর্ডও অপসারণ করা হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসকের অনুমোদন ছাড়া কোনো হাউজিং কার্যক্রম পরিচালনা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এজন্যে অপসারণ করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

তিন তওবা করে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন রুস্তম আলী ফরাজি

তিন তওবা করে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন পিরোজপুর ৩ আসনের (মঠবাড়িয়া) সাবেক সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজি। 

শনিবার তিনি দলটিতে যোগ দিলে তাকে পিরোজপুর ৩ আসনে হাতপাখার প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। 

ডা. রুস্তম আলী ফরাজী মঠবাড়িয়া থেকে বিএনপি, জাতীয় পার্টি (জাপা), মহাজোট থেকে প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজয় বরণ করেন। 

রুস্তুম আলী ফরাজি অনুসারীদের নিয়ে গত শনিবার দুপুরে চরমোনাই পীরের দরবারে যান। এ সময় তিনি ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দেন। ওই অনুষ্ঠানে চরমোনাই পীর তাকে পিরোজপুর-৩ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন। 

ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এসাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, এর আগে ডা. রুস্তম ২০১৭ সালে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। পরে তিনি বিতর্কিত নির্বাচনে অংশ নিলে তার সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ফের ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন। 

এসাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, ‘‘রুস্তম আলী ফরাজী আর দল বদল না করার জন্য তিন তওবা পড়েছেন। এই তওবায় তাকে ক্ষমা করা যায়। তাই তার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।’’

এ প্রসঙ্গে রুস্তম আলী বলেন, ‘‘নতুন যোগদান নয়। পুরোনো সদস্যপদ নবায়ন করেছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম। সে বছর ইসলামী আন্দোলন নির্বাচন বর্জন করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হই। এ কারণে  সদস্যপদ স্থগিত হয়েছিল।’’

জাপায় যোগ দেওয়ার পরও সদস্যপদ ছিল কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তারা (ইসলামী আন্দোলন) রেখেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেকে দল বদল করছেন।’’

উল্লেখ্য, ডা. রুস্তম প্রথম সংসদ সদস্য হন ১৯৯৬ সালে জাপার প্রার্থী হয়ে। ১৯৯৮ সালে জাপার ভাঙনে তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জেপিতে যান। পরে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ২০১১ সালে সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগের এমপিকে পরাজিত করেন। এ সময় তিনি পুনরায় জাপায় যোগ দেন। ২০১৮ সালে জাপার প্রার্থী হিসেবে মহাজোটের সমর্থনে তিনি সংসদ সদস্য হন। কিন্তু দলীয় কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে জাপার সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়। এর জেরে গত বছর ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জাপা তাকে মনোনয়ন দেয়নি। স্বতন্ত্র নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে তিনি পরাজিত হন।

ঢাকা/তাওহিদুল/

সম্পর্কিত নিবন্ধ