গ্রাহকদের জন্য ক্যাশলেস ও ডিজিটাল লেনদেনকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে যৌথভাবে নতুন সেবা চালুর লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ট্রাস্ট ব্যাংক ও বিকাশ।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই চুক্তিপত্র হস্তান্তর করা হয়।

চুক্তির আওতায় খুব শিগগিরই বিকাশ অ্যাপ থেকে সরাসরি ট্রাস্ট ব্যাংকে সাপ্তাহিক ও মাসিক ডিপিএস খোলার সুবিধা, ট্রাস্ট অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ লাখ মার্চেন্ট পয়েন্টে সরাসরি পেমেন্ট, ব্যাংক-টু-বিকাশ ও বিকাশ-টু-ব্যাংক ফান্ড ট্রান্সফার আরো উন্নত করা এবং এজেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউটরদের জন্য ২৪/৭ স্বয়ংক্রিয় ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবাগুলো চালু হতে যাচ্ছে।

চুক্তি হস্তান্তর করেন ট্রাস্ট ব্যাংকের জেনারেল সার্ভিস অ্যান্ড সিকিউরিটি ডিভিশনের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) মো. মামুন অর রশীদ এবং বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান জামান চৌধুরী এবং বিকাশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদীরসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

এর আগে, ট্রাস্ট ব্যাংক ও বিকাশ যৌথভাবে অ্যাড মানি, ট্রান্সফার মানি, রেমিট্যান্স সেটেলমেন্ট ও ট্রাস্ট কম সেবাগুলো পরিচালনা করে আসছে। নতুন এই চুক্তি ৮ কোটিরও বেশি বিকাশ গ্রাহকের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা আরও সহজলভ্য করে তুলবে। একইসাথে, ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্যাশ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হতে পারবে বিকাশের ৩.৫ লাখের বেশি এজেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউটর।

অনুষ্ঠানে ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও আহসান জামান চৌধুরী বলেন, “২৫ বছর ধরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ট্রাস্ট ব্যাংক। বিকাশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব সময়ের পরীক্ষায় প্রমাণিত। ভবিষ্যতে এই পার্টনারশিপ আরো বিস্তৃত ও গ্রাহককেন্দ্রিক হবে।”

বিকাশের সিইও কামাল কাদীর বলেন, “লাস্ট মাইল সল্যুশনের অংশ হিসেবে বিকাশ ও ট্রাস্ট ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগ দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ