গ্রাহকের ক্যাশলেস সেবা সমৃদ্ধ করতে চুক্তি করল ট্রাস্ট ব্যাংক-বিকাশ
Published: 17th, August 2025 GMT
গ্রাহকদের জন্য ক্যাশলেস ও ডিজিটাল লেনদেনকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে যৌথভাবে নতুন সেবা চালুর লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ট্রাস্ট ব্যাংক ও বিকাশ।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই চুক্তিপত্র হস্তান্তর করা হয়।
চুক্তির আওতায় খুব শিগগিরই বিকাশ অ্যাপ থেকে সরাসরি ট্রাস্ট ব্যাংকে সাপ্তাহিক ও মাসিক ডিপিএস খোলার সুবিধা, ট্রাস্ট অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ লাখ মার্চেন্ট পয়েন্টে সরাসরি পেমেন্ট, ব্যাংক-টু-বিকাশ ও বিকাশ-টু-ব্যাংক ফান্ড ট্রান্সফার আরো উন্নত করা এবং এজেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউটরদের জন্য ২৪/৭ স্বয়ংক্রিয় ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবাগুলো চালু হতে যাচ্ছে।
চুক্তি হস্তান্তর করেন ট্রাস্ট ব্যাংকের জেনারেল সার্ভিস অ্যান্ড সিকিউরিটি ডিভিশনের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান জামান চৌধুরী এবং বিকাশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদীরসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এর আগে, ট্রাস্ট ব্যাংক ও বিকাশ যৌথভাবে অ্যাড মানি, ট্রান্সফার মানি, রেমিট্যান্স সেটেলমেন্ট ও ট্রাস্ট কম সেবাগুলো পরিচালনা করে আসছে। নতুন এই চুক্তি ৮ কোটিরও বেশি বিকাশ গ্রাহকের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা আরও সহজলভ্য করে তুলবে। একইসাথে, ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্যাশ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হতে পারবে বিকাশের ৩.৫ লাখের বেশি এজেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউটর।
অনুষ্ঠানে ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও আহসান জামান চৌধুরী বলেন, “২৫ বছর ধরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ট্রাস্ট ব্যাংক। বিকাশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব সময়ের পরীক্ষায় প্রমাণিত। ভবিষ্যতে এই পার্টনারশিপ আরো বিস্তৃত ও গ্রাহককেন্দ্রিক হবে।”
বিকাশের সিইও কামাল কাদীর বলেন, “লাস্ট মাইল সল্যুশনের অংশ হিসেবে বিকাশ ও ট্রাস্ট ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগ দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার প্রকাশ্য ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে: রাশেদ
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, “শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং অন্য দুটি অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমি মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহর দরবারে উক্ত রায়ে শুকরিয়া আদায় করছি।”
সোমবার (১৭ নভেম্বর) শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাশেদ প্রধান বলেন, “গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো নতুন কোনো ফ্যাসিস্ট যাতে তৈরি না হয় সেই লক্ষ্যে একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করা প্রয়োজন। শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ কার্যকর করতে হবে এবং প্রকাশ্য ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে।”
আরো পড়ুন:
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
রায় প্রত্যাখ্যান নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি