চোরাই গরু-ছাগল ভর্তি ট্রাক ফেলে পালিয়েছে চোর চক্র
Published: 21st, September 2025 GMT
রাস্তার পাশে খাদে পড়ে আটকে পড়ায় চোরাই গরু ও ছাগল ভর্তি একটি মিনি ট্রাক ফেলেই পালিয়ে গেছে চোর চক্র।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোরে বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকার খলিফা মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ তিনটি চোরাই গরু ও একটি ছাগলসহ ট্রাকটি জব্দ করেছে।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে বেশ কিছুদিন ধরে একাধিক গরুর চুরির ঘটনা ঘটে। এতে করে এলাকার গরুর খামারি ও মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার ভোরে বাবুগঞ্জের জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকা থেকে তিনটি গরু ও একটি ছাগল চুরি করে মিনি ট্রাক ভর্তি করে নেওয়ার পথে রাস্তা ভাঙা হওয়ার কারণে মিনি ট্রাকটি খলিফা মার্কেটের সামনে খাদে পড়ে আটকে যায়। এসময় উপায়ান্তুর না পেয়ে ট্রাক ভর্তি গরু রেখে পালিয়ে যায় চোর চক্র।
জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান খান হিমু বলেন, “আগে স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা রাতে এলাকায় টহল দিত। যে কারণে পুরো ইউনিয়নে চুরির কোন ঘটনাই ছিল না। বর্তমানে সেই টহল না থাকায় প্রায় প্রতি রাতেই এলাকায় নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড লেগেই রয়েছে।”
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে সকালে ট্রাকসহ তিনটি গরু এবং একটি ছাগল জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকের মালিকের পরিচয় সনাক্ত করে পুরো চোর চক্রকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা/পলাশ/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথে ভাঙল ৩ দশকের অচলায়তন
দীর্ঘ ৩৩ বছরের অচলায়তনের অবসান ঘটিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নিয়েছে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার (১৮সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ বাক্য পাঠ করান উপাচার্য ও জাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
আরো পড়ুন:
অব্যবহৃত ও অতিরিক্ত ব্যালট ফেরত নেওয়া হয়েছে: জাকসু নির্বাচন কমিশন
জাকসুর ২৫ পদের ২০টিতেই শিবিরের জয়
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, “জাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, তবে প্রচেষ্টা ছিল সুষ্ঠু জাকসু বাস্তবায়নের। যারা বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করছেন মিডিয়ায়, তাদের চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, আমাদের কাছে ভোটগ্রহণের সব ফুটেজ আছে। আমরা যে কাউকে তা দেখাতে প্রস্তুত।”
তিনি বলেন, “যেকোনো ব্যক্তির সম্মানের চেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বড়। আমি আশা করব, যদি কেউ ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানির চেষ্টা করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজন মিলে আমরা তা প্রতিহত করব।”
এটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহসের অন্যতম সুষ্ঠু ছাত্র সংসদ নির্বাচন দাবি করে উপ-উপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র চর্চার ধারা তৈরি হয়েছে। আমি আশাবাদী তোমাদের (নির্বাচিত প্রতিনিধিরা) ওপর য়ে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে।”
শপথ গ্রহণ পরবর্তী বক্তব্যে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, “এই বিজয়ের দাবিদার আমাদের চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শহীদেরা। যারা তাদের বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছে। জাকসু নির্বাচনের পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর অবদান আছে। তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে নিজেদের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। আমি এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি জাকসুর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি অংশীজন উপকৃত হবেন।”
এসময় জাকসুর নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ জিতু বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা সব ধরনের চাপকে মোকাবেলা করে জাকসু নির্বাচন দিতে সক্ষম হয়েছেন। ৩৩ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নির্বাচন বন্ধ ছিল না। কেবল ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ ছিল। তবে আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই আসুন আমরা সবাই মিলে জাহাঙ্গীরনগরের স্বার্থে কাজ করি।”
জাবি উপাচার্য ও জাকসুর সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “বাংলাদেশের গণতন্ত্র হারিয়ে গিয়েছিল। তার পুণরুদ্ধার শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে; জাকসু ও ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজনকে ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা এই নির্বাচন বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী