শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ইস্যুতে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের অফিসিয়াল কার্যক্রম। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হয় আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা। 

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে তারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি ফলকের সামনে অবস্থান নেন। তবে কোনো শিক্ষককে অবস্থান নিতে দেখা যায়নি।

কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের দাবি, গতকাল যারা শিক্ষকের গায়ে হাত দিয়েছে তাদেরকে আজকের মধ্যেই বহিষ্কার করতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, “গতকাল ছাত্র নামধারী কিছু সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যকে লাঞ্চিত করেছে। এমনকি তাকে বাসাতেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এদেরকে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে তাদেরকে শাস্তি দিতে হবে।”

এই আন্দোলন রাকসুতে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রাকসুতে এই আন্দোলন কোনো প্রভাব ফেলবে না। রাকসুকে আমরা আমাদের কর্মসূচির বাহিরে রেখেছি।”

এসময় অফিসার্স সমিতির কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, “গতকালকের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। যারা বহিরাগত তাদের বিরুদ্ধে আনইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি শাস্তি নিশ্চিত করা না হয় আগামীকাল থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শার্টডাউন করে দিব।”

এর আগে গতকাল শনিবার বেলা তিনটার দিকে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হলে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁর গাড়ি আটকে দেন। পরে তিনি হেঁটে তাঁর বাসভবনের দিকে যেতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দিলে তিনি জুবেরী ভবনের দিকে যান। তাঁর সঙ্গে প্রক্টর মাহবুবর রহমানও ছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিক থেকে জুবেরী ভবনে সহ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপ-উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকদের ‘লাঞ্ছিত’ করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রবিবার কর্মবিরতির ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আবদুল আলিম।

ঢাকা/ফাহিম/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোণায় বাসচাপায় অটোরিকশাচালক নিহত

নেত্রকোণায় বাসচাপায় ইয়াসিন মিয়া (২১) নামের এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচজন। বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার ঠাকুরাকোণায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ইয়াসিন মিয়া ঠাকুরাকোণা গ্রামের ওয়ারেছ মিয়ার ছেলে। নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

মনিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত

সিলেটে অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, যুবক নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোণার কলমাকান্দা থেকে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা সাগরিকা নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ঠাকুরাকোণা বাজার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশারচালক ইয়াসিন মারা যান।

ওসি বলেন, ‘‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/ইবাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ