মালয়েশিয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা আটকে আছে শুল্ক বাধায়
Published: 21st, September 2025 GMT
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার। আট লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেন দেশটিতে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও তাতে বাংলাদেশের হিস্যা অনেক কম। বিশেষ করে উচ্চ শুল্ক বাধার কারণে দেশটিতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ছে না।
বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে মালয়েশিয়াকে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। অথচ ভারত, চীন ও পাকিস্তানের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো শুল্কমুক্ত বা কম শুল্ক–সুবিধায় দেশটিতে পণ্য রপ্তানি করছে। কারণ, এসব দেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ রয়েছে।
এফটিএ না থাকায় মালয়েশিয়াতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকেরা তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছেন। এ জন্য তাঁরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশটির সঙ্গে এফটিএ করার দাবি জানিয়েছেন।
২৮০ কোটি ডলারের বাণিজ্যবর্তমানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে মোট দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করে মাত্র ২৫–৩০ কোটি ডলারের পণ্য, যা মোট বাণিজ্যের মাত্র ৮-১০ শতাংশ। অর্থাৎ দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্যে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে তেল (বিশেষত পাম তেল), ইলেকট্রনিকস ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক ও সার, নির্মাণসামগ্রী ও খাদ্যপণ্য রপ্তানি করে মালয়েশিয়া। আর বাংলাদেশ থেকে মূলত তৈরি পোশাক, বিভিন্ন ধরনের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য এবং ভোক্তাসামগ্রী রপ্তানি হয় মালয়েশিয়াতে। বাংলাদেশের প্রাণ গ্রুপ, স্কয়ার, আকিজ গ্রুপ, ওয়ালটন, মুন্নু সিরামিকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য রপ্তানি করে থাকে। এ ছাড়া তৈরি পোশাক খাতের বিভিন্ন কোম্পানি দেশটিতে পণ্য রপ্তানি করে।
তবে মালয়েশিয়ার ভোক্তা বাজার অনেক বড়। সঠিক নীতি গ্রহণ করলে এই বাজারে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। মালয়েশিয়ার পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য অনুসারে, দেশটিতে প্রায় সাড়ে তিন কোটি লোকের বাস। এ ছাড়া দেশটিতে ২১ লাখের বেশি বিদেশি কর্মী রয়েছেন, যার প্রায় ৩৮ শতাংশের বেশি বাংলাদেশি (৮ লাখের বেশি)।
হালাল পণ্যের বৃহৎ বাজারমালয়েশিয়ার বহির্মুখী বাণিজ্য উন্নয়ন করপোরেশনের (ম্যাট্রেড) তথ্য অনুসারে, দেশটিতে হালাল খাদ্যপণ্যের বাজার প্রায় ৫ হাজার কোটি (৫০ বিলিয়ন) ডলারের বেশি। এসব পণ্যের চাহিদা মেটাতে দেশটি ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি (২০ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য আমদানি করে।
বাংলাদেশও দেশটিতে হালাল পণ্য রপ্তানি শুরু করেছে। তবে এখনো তা পরিমাণে খুব কম, মাত্র ৪ থেকে ৫ কোটি ডলারের আশপাশে। বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, শুধু শুল্ক বাধা দূর করা গেলেই দেশটিতে ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলারের হালাল পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে। অর্থাৎ হালাল পণ্যের রপ্তানি বাড়বে পাঁচ গুণ।
মালয়েশিয়ায় স্থানীয় সরবরাহকারী কোম্পানির (পিনাকেল ফুডস) মাধ্যমে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য রপ্তানি করছে বাংলাদেশের শীর্ষ কোম্পানি প্রাণ গ্রুপ। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে মসলা, নুডলস, জুস, ড্রিংকস, বিস্কুট, কুকিজ প্রভৃতি। গত চার দিনে মালয়েশিয়ার অন্তত ছয়টি বড় বড় শপিং মল ও সুপারমার্কেট ঘুরে সবগুলোতে প্রাণের পণ্য দেখা গেছে। এ ছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন মুদিদোকানেও প্রাণ ব্র্যান্ডের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।
প্রাণের কর্মকর্তারা জানান, মালয়েশিয়ার মানুষ নুডলস, বিভিন্ন ধরনের স্ন্যাকস, ফ্রোজেন খাদ্যপণ্য, বিস্কুট, জুস, বেভারেজ প্রভৃতি পছন্দ করেন। এ ছাড়া সেখানে প্রচুর প্রবাসী বাংলাদেশিও রয়েছেন। এটি তাদের জন্য বড় সুযোগ।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাধা দেশটির সঙ্গে কোনো ব্যবসায়িক চুক্তি না থাকা। এ কারণে ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। আমরা যদি বিনা শুল্কে প্রাণের পণ্য রপ্তানির সুযোগ পাই, তবে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাজার ধরতে পারব। এতে দেশটিতে শুধু প্রাণের পণ্যের রপ্তানিই পাঁচ গুণ বাড়বে বলে আমরা আশা করি।’
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মাহবুব আলম শাহ বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি থাকায় তারা বাজার দখল করছে। এ বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ৩০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে টিকে থাকা কঠিন।’
বাণিজ্য চুক্তির অগ্রগতি কমমালয়েশিয়ার সঙ্গে প্রায় এক দশক ধরে এফটিএ নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেটি এখনো আনুষ্ঠানিক আলোচনার টেবিলে ওঠেনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রক্রিয়ায় কিছুটা গতি এসেছে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, বর্তমানে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ভারত, পাকিস্তানসহ প্রায় ১৪টি দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) রয়েছে। গত প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করার জন্য নানা সময়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে মালয়েশিয়া সফর করেন। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে এফটিএ নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু হয়েছে।
দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি এফটিএ নিয়ে দর–কষাকষির জন্য একটি টার্মস অব রেফারেন্সের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এটির অনুমোদন হলে উভয় পক্ষ আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসতে পারে।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার (উপহাইকমিশনার) মোসাম্মাত শাহানারা মনিকা বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় আমাদের বাজার সম্ভাবনা প্রচুর, কিন্তু শুল্ক ও বিধিনিষেধের সহজীকরণ ছাড়া টিকে থাকা কঠিন।’ তিনি জানান, এফটিএ নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হতে পারে।
শাহানারা মনিকা আরও বলেন, প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রপ্তানি বাড়াতে হলে এফটিএর বিকল্প নেই। তবে পণ্যের পাশাপাশি সেবা খাতের মাধ্যমেও বাণিজ্য–ঘাটতি পূরণের সুযোগ রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এফট এ ন য় খ দ যপণ য দ শট ত
এছাড়াও পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটায় ভর্তি স্থগিত, উপ-উপাচার্য লাঞ্ছিতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরতদের সন্তানদের ভর্তির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বা পোষ্য কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট সভা।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের বাসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
রাবি শিক্ষকদের ওপর হামলায় চবি শিক্ষক সমাজের নিন্দা
২৫ তারিখেই রাকসু নির্বাচন হবে: প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা
বিকেল ৫টার পর সভা শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদ।
তিনি জানান, সিন্ডিকেট সভায় প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল হয়েছে। পাশাপাশি শনিবার জুবেরী ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার যে ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য সিন্ডিকেট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি বিচার বিভাগীয় তদন্তও হবে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, “গতকাল প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় ভর্তি স্থগিতের যে ঘোষণা করা হয়েছে, সেই বিষয়টি সিন্ডিকেটকে জানানো হয়েছে। সিন্ডিকেট এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন দিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় আজ থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। এটা আমরা শুরু করছি না। আমাদের সংশ্লিষ্ট বডিগুলোতে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে।”
জুবেরী ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনাকে নজিরবিহীন ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গতকাল একজন উপ-উপাচার্য এভাবে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এজন্য সিন্ডিকেট নিন্দা জ্ঞাপন করেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এছাড়া নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
স্থানীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্কের জন্য একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, “আমরা আশঙ্কা করছি, নানাভাবে খবর পাচ্ছিলাম যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকাগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের গোলমাল লাগিয়ে দেওয়া হতে পারে। এমন অপচেষ্টার ব্যাপারে আমরা অবগত ছিলাম। এ ব্যাপারে শক্তিশালী একটি তদন্ত কমিটি করেছি। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে একটি লিয়াজোঁ কমিটি করা হয়েছে।”
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রাকসু নির্বাচন। আশা করছি যথাসময়ে হবে। এখন পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তারা আজ একটি কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু রাকসুর কার্যক্রম এর আওতামুক্ত ছিল। রাকসুর ব্যাপারে সিন্ডিকেট থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছু নেই। রাকসু যেন যথাসময়ে হয়, সে জন্য সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে সকল পক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরতদের সন্তানদের ভর্তির জন্য আগে থেকেই ৪ শতাংশ পোষ্য কোটা ছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। এরপর থেকেই শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পোষ্য কোটাকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দাবি করে একের পর এক আন্দোলন শুরু করেন।
সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে ১৮ তারিখের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে জরুরি অ্যাকাডেমিক কমিটির সভা ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় ১০ শর্তে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আবার টানা আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বিকেলে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিনসহ প্রশাসনে থাকা তিনজন কর্মকর্তা জুবেরী ভবনে শিক্ষার্থীদের হাতে লাঞ্ছিত হন। তারপর থেকে সেখানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছিল। রাতে হল থেকে বের হয়ে আসেন ছাত্রীরাও। তারা মাঝরাত পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
পরে উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব মধ্যরাতে বাসার প্রধান ফটকের সামনে এসে ঘোষণা দেন, প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় ভর্তি আপাতত স্থগিত। এ নিয়ে রবিবার সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাতেই কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এদিন তারা ঘোষণা দিয়েছেন, প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় সন্তানদের ভর্তির সুযোগ না দিলে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাচ্ছেন তারা। তবে ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাকসু নির্বাচন এ কর্মসূচির বাইরে থাকবে।
সিন্ডিকেট সভায় পোষ্য কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, “এ সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ। কারণ, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সুবিধা আছে। এটি আমাদের না দেওয়ায় আগামীকাল থেকে আমরা কমপ্লিট শাটডাউনে যাচ্ছি।”
ঢাকা/কেয়া/ফাহিম/মেহেদী