বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রাম, বিষয় ৪০টি
Published: 21st, September 2025 GMT
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে ৪০টি বিষয়ে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে গবেষক ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
১. স্কুল অব এডুকেশন
স্কুল অব এডুকেশন এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ভর্তির বিষয়: দর্শন, বাংলা, গণিত, ইংরেজি, শিক্ষাবিজ্ঞান।
২. সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা স্কুল
এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ভর্তির বিষয়: সমাজতত্ত্ব, ইংরেজি, দর্শন, বাংলা, ইসলাম অধ্যয়ন, ভূগোল ও পরিবেশ, আরবি, ইতিহাস ও অর্থনীতি।
৩.
এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ভর্তির বিষয়: পদার্থবিজ্ঞান, গার্হস্থ্য অর্থনীতি, বাংলা, রসায়ন, ইংরেজি, ব্যবস্থাপনা ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ইসলাম অধ্যয়ন, অর্থায়ন ও ব্যাংকিং, উদ্ভিদবিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ, বিপণন, ইসলামের ইতিহাস, ইতিহাস, উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন অধ্যয়ন ও উদ্যানতত্ত্ব।
৪. স্কুল অব বিজনেস
এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ভর্তির বিষয়: হিসাববিজ্ঞান, অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনা, বিপণন ও অর্থায়ন।
৫. কৃষি ও পল্লি উন্নয়ন স্কুল
পিএইচডি প্রোগ্রামের ভর্তির বিষয়: মৃত্তিকাবিজ্ঞান, মাত্স্যবিজ্ঞান, কৃষিতত্ত্ব, পোলট্রিবিজ্ঞান, কৃষি প্রকৌশল, উদ্যানতত্ত্ব, পশুপালন ও পরিবেশবিজ্ঞান।আরও পড়ুনশিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ইউজিসি পিএইচডি স্কলারশিপ, ৭৫টি বৃত্তি, মাসিক ভাতা ৪০০০০১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৬. স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ভর্তির বিষয়: কম্পিউটারবিজ্ঞান, খাদ্যনিরাপত্তা, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ও ন্যাচারাল প্রোডাক্টস।
ভর্তির যোগ্যতা
১. স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীরা বাউবির এমফিল বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীকে অবশ্যই সব পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বরসহ দ্বিতীয় বিভাগ (চতুর্থ বিষয়সহ) অথবা জিপিএ বা সিজিপিএ–৫.০০–এর মধ্যে ৩.৫০ ও ৪.০০–এর মধ্যে ৩.০০ পেতে হবে। স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের পাস নম্বর থাকতে হবে।
২. পিয়ার রিভিউড স্বীকৃত জার্নালে প্রার্থীর ন্যূনতম দুটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হলে গবেষক পিএইচডি প্রোগ্রামে সরাসরি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এমফিল বা এমএস ডিগ্রিধারী প্রার্থীর ন্যূনতম একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হতে হবে।
৩. বিদেশি ডিগ্রি বা বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা তার শাখা থেকে অর্জিত ডিগ্রির ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে নিজ দায়িত্বে তাঁর পাস করা সনদ ও গ্রেডশিট এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমানের ক্ষেত্রে বোর্ড থেকে এবং গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে সমতায়ন করে বাউবি পরিচালিত প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে।
৪. বাউবি বা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একই প্রোগ্রামে নিবন্ধিত গবেষকেরা এমফিল বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
৫. বিদেশি প্রার্থীদের উক্ত যোগ্যতা ছাড়া আইইএলটিএস (একাডেমিক) স্কোর ন্যূনতম ৬ বা টোয়েফল আইবিটি স্কোর ৬০ থাকতে হবে। তবে মাতৃভাষা ইংরেজি হলে অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ইংরেজি মাধ্যমে বিদেশে সম্পন্ন করলে আইইএলটিএস বা টোয়েফল স্কোর প্রয়োজন নেই।
মাইগ্রেশনের মাধ্যমে এমফিল থেকে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির যোগ্যতা
অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামের কোর্সওয়ার্কে ৭০ শতাংশ নম্বর পাওয়া গবেষকেরা মাইগ্রেশনের মাধ্যমে বাউবির পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। গবেষক কোর্সওয়ার্কের সত্যায়িত নম্বরপত্র, আগের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র নির্ধারিত আবেদনপত্রের সঙ্গে যুক্ত করে সংশ্লিষ্ট স্কুলের কার্যালয়ে জমা প্রদান করবেন।
দরকারি তথ্য
১. কোর্সওয়ার্কের সব ক্লাস সশরীর অনুষ্ঠিত হবে।
২. ভর্তি করা গবেষকদের প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তার অনুমতি নিতে হবে।
৩. নির্ধারিত আবেদনপত্র অবশ্যই কম্পিউটারে কম্পোজ করে দিতে হবে।
৪. এমফিল প্রোগ্রামের জন্য আবেদন ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য দুই হাজার টাকা।
তত্ত্বাবধায়কের যোগ্যতা
বাউবির সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অধ্যাপক ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী সহযোগী অধ্যাপকেরা গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একজন শিক্ষক সর্বোচ্চ আট গবেষকের গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ও দুজন গবেষকের গবেষণার সহ–তত্ত্বাবধায়ক হতে পারবেন। অন্য বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউশনের ফ্যাকাল্টি সদস্যরা বাউবির সহ–তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সহ–তত্ত্বাবধায়কের সিভি আবেদনপত্রের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ
১. আবেদনের শেষ সময়: ৫ নভেম্বর ২০২৫।
২. গবেষণা সমন্বয় কমিটির আবেদন যাচাই–বাছাই: ৬ থেকে ১০ নভেম্বর ২০২৫।
৩. গবেষকদের মৌখিক বা লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ ও ভর্তির জন্য সুপারিশ প্রদান: ১১ থেকে ১৬ নভেম্বর ২০২৫।
৪. সেন্ট্রাল রিসার্চ কমিটির ভর্তির জন্য গবেষক মনোনয়ন: ১৭ থেকে ২৭ নভেম্বর ২০২৫।
৫. ভর্তি শুরু হবে: ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫।
৬. ক্লাস শুরু হবে: ১ জানুয়ারি ২০২৬ (বিশেষ পরিস্থিতিতে সময়সীমা পরিবর্তন হতে পারে)।
৮. আবেদনপত্রের লিংক
#বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এমফ ল ও প এইচড স ক ল অব ন য নতম য গ যত প রব ন
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর কাছাকাছি কক্ষপথে নতুন কোয়াসি চাঁদের সন্ধান
‘আকাশেতে লক্ষ তারা, চাঁদ কিন্তু একটা রে’ বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় এই গান গুনগুন করে গেয়েছেন অনেকেই। গানের কথা ঠিক থাকলেও পৃথিবীর কাছের কক্ষপথে নতুন একটি কোয়াসি চাঁদের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কোয়াসি চাঁদ সাধারণ চাঁদের মত নয়। এসব চাঁদ সরাসরি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার পরিবর্তে সূর্যের চারপাশে এমন একটি কক্ষপথ অনুসরণ করে যা দেখে মনে হয় চাঁদটি আমাদের গ্রহের সঙ্গে অবস্থান পরিবর্তন করছে। নতুন এই কোয়াসি চাঁদের নাম দেওয়া হয়েছে ‘২০২৫ পিএন৭’।
প্ল্যানেটারি সোসাইটির তথ্যমতে, কোয়াসি চাঁদ বা আধা চাঁদ মূলত গ্রহাণু। স্থায়ী চাঁদের মতো আমাদের গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে বলে মনে হলেও কোয়াসি চাঁদ আসলে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এ সময় অস্থায়ীভাবে আমাদের গ্রহের পাশাপাশি সৌরজগতের মধ্য দিয়ে চলাচল করে। নতুন কোয়াসি চাঁদ আবিষ্কারের বিষয়ে স্পেনের মাদ্রিদের কমপ্লুটেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী কার্লোস দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস জানান, এই ক্ষুদ্র গ্রহাণু পৃথিবীর সাতটি পরিচিত কোয়াসি চাঁদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ও সবচেয়ে কম স্থিতিশীল।
নতুন কোয়াসি চাঁদের ব্যাস প্রায় ৬২ ফুট বা ১৯ মিটার। বেশ ছোট এই কোয়াসি চাঁদকে দেখতে বেশ ক্ষীণ বলে শুধু উচ্চমানের টেলিস্কোপ ব্যবহার করেই দেখা যায়। কোয়াসি চাঁদ সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর মতো একটি কক্ষপথ অনুসরণ করছে। পৃথিবী থেকে ২৮ লাখ থেকে ৩৭ লাখ মাইল দূরে অবস্থান করছে চাঁদটি।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, সীমিত দৃশ্যমানের কারণে নতুন কোয়াসি চাঁদটি ছয় দশক ধরে পর্যবেক্ষণের বাইরে ছিল। সম্ভবত আরও ৬০ বছর ধরে বর্তমানের মতোই থাকবে। ২০২৫ পিএন৭ নামের কোয়াসি চাঁদের আবিষ্কারের ফলাফল সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির রিসার্চ নোটস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি