পাসপোর্ট নিয়ে মুন্সীগঞ্জ থেকে ইতালি পাড়ি দিল বিড়াল ক্যান্ডি
Published: 6th, November 2025 GMT
পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট, বিশেষ খাঁচা— সব নিয়ম মেনে ইতালি নেওয়া হলো মুন্সীগঞ্জের পোষা বিড়াল ক্যান্ডিকে। বুধবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে রোমের উদ্দেশে উড়াল দেয় বিড়ালটি।
বিড়ালটির মালিক মুন্সীগঞ্জ শহরের মানিকপুর এলাকার রিক্তা বেগম ও আব্দুল হাই দম্পতি। পরিবারের সদস্যের মতো লালন-পালন করা ক্যান্ডিকে সঙ্গে নিতে খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। এর মধ্যে বিমানের টিকিটের খরচ প্রায় ৪০ হাজার টাকা। বাকি টাকা লেগেছে সরকারি অনুমতি, স্বাস্থ্য সনদ, মাইক্রোচিপ স্থাপন, এনওসি ও ট্রানজিট ক্লিয়ারেন্সের আনুষ্ঠানিকতায়।
আরো পড়ুন:
বিসিএস পশুসম্পদ ক্যাডারে সমন্বিত মেকআপ কোর্সের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন
‘নৌপথ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে নৌপরিবহন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়’
রিক্তা বেগম বলেন, “ক্যান্ডি এখন আমাদের পরিবারের অংশ। আমরা বাইরে গেলে ও খাওয়া বন্ধ করে দেয়। তাই ওকে ফেলে যাওয়ার কথা ভাবতে পারিনি।”
রিক্তা বেগম ২০২১ সাল থেকে ক্যান্ডিকে লালন-পালন করছেন। তখন তার ছেলে স্বপ্নীল হাসান শিথিল স্কুলে পড়ত। অনলাইনে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কেনা বিড়াল ছানাটিই এখন পরিবারের একজন সদস্যের মতো।
স্বামী আব্দুল হাইয়ের কর্মস্থল ইতালির রোমে পাড়ি জমাবেন পরিবারের সবাই, তাই প্রিয় ক্যান্ডিকে ফেলে যাওয়া কোনোভাবে সম্ভব হয়নি।
স্বপ্নীল হাসান শিথিলও আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, ‘‘ক্যান্ডি আমাদের পরিবারের আনন্দের উৎস। ও ছাড়া ঘরটা ফাঁকা মনে হয়। তাই ওকে সঙ্গে নিলাম।’’
আব্দুল হাই কয়েক মাস আগে ছুটি কাটাতে দেশে এসে ক্যান্ডির মায়ায় পড়ে যান। পরিবারের আবেগের কথা ভেবে তিনিও বিড়ালটি সঙ্গে নেওয়ার অনুমতি দেন।
নিয়ম মেনে প্রাণীটি বিমানে বহনের জন্য বিশেষ খাঁচায় নেওয়া হয়েছে। বিমানভাড়া ৩৫০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। সঙ্গে পোষা প্রাণীর পাসপোর্ট, সরকারি ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি)’ এবং ট্রানজিট বিমানবন্দরের ক্লিয়ারেন্সসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় মোট খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা।
বিমানে পরিবহনের নিয়ম অনুযায়ী ক্যান্ডিকে ছোট বিশেষ খাঁচায় (পেট ক্যারিয়ার) করে হাতব্যাগের মতো সঙ্গে নেওয়া হয়। বিড়ালটির ওজন প্রায় ৬ কেজি।
মুন্সীগঞ্জ টিটলার্ক পেটওয়েল সেন্টারের ভেটেরিনারি কনসালট্যান্ট ডা.
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, ‘‘পরিবারটি বিড়ালটি বিদেশে নেওয়ার আগে আমাকে অবহিত করেছিল। তবে প্রাণী বিদেশে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ বিভাগকে জানানো বাধ্যতামূলক নয়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মুন্সীগঞ্জ থেকে এই প্রথম কোনো পোষা বিড়াল বিদেশে গেছে। এটি প্রাণীর প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও মমত্ববোধের দৃষ্টান্ত।’’
ঢাকা/রতন/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পাসপোর্ট নিয়ে মুন্সীগঞ্জ থেকে ইতালি পাড়ি দিল বিড়াল ক্যান্ডি
পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট, বিশেষ খাঁচা— সব নিয়ম মেনে ইতালি নেওয়া হলো মুন্সীগঞ্জের পোষা বিড়াল ক্যান্ডিকে। বুধবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে রোমের উদ্দেশে উড়াল দেয় বিড়ালটি।
বিড়ালটির মালিক মুন্সীগঞ্জ শহরের মানিকপুর এলাকার রিক্তা বেগম ও আব্দুল হাই দম্পতি। পরিবারের সদস্যের মতো লালন-পালন করা ক্যান্ডিকে সঙ্গে নিতে খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। এর মধ্যে বিমানের টিকিটের খরচ প্রায় ৪০ হাজার টাকা। বাকি টাকা লেগেছে সরকারি অনুমতি, স্বাস্থ্য সনদ, মাইক্রোচিপ স্থাপন, এনওসি ও ট্রানজিট ক্লিয়ারেন্সের আনুষ্ঠানিকতায়।
আরো পড়ুন:
বিসিএস পশুসম্পদ ক্যাডারে সমন্বিত মেকআপ কোর্সের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন
‘নৌপথ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে নৌপরিবহন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়’
রিক্তা বেগম বলেন, “ক্যান্ডি এখন আমাদের পরিবারের অংশ। আমরা বাইরে গেলে ও খাওয়া বন্ধ করে দেয়। তাই ওকে ফেলে যাওয়ার কথা ভাবতে পারিনি।”
রিক্তা বেগম ২০২১ সাল থেকে ক্যান্ডিকে লালন-পালন করছেন। তখন তার ছেলে স্বপ্নীল হাসান শিথিল স্কুলে পড়ত। অনলাইনে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কেনা বিড়াল ছানাটিই এখন পরিবারের একজন সদস্যের মতো।
স্বামী আব্দুল হাইয়ের কর্মস্থল ইতালির রোমে পাড়ি জমাবেন পরিবারের সবাই, তাই প্রিয় ক্যান্ডিকে ফেলে যাওয়া কোনোভাবে সম্ভব হয়নি।
স্বপ্নীল হাসান শিথিলও আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, ‘‘ক্যান্ডি আমাদের পরিবারের আনন্দের উৎস। ও ছাড়া ঘরটা ফাঁকা মনে হয়। তাই ওকে সঙ্গে নিলাম।’’
আব্দুল হাই কয়েক মাস আগে ছুটি কাটাতে দেশে এসে ক্যান্ডির মায়ায় পড়ে যান। পরিবারের আবেগের কথা ভেবে তিনিও বিড়ালটি সঙ্গে নেওয়ার অনুমতি দেন।
নিয়ম মেনে প্রাণীটি বিমানে বহনের জন্য বিশেষ খাঁচায় নেওয়া হয়েছে। বিমানভাড়া ৩৫০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। সঙ্গে পোষা প্রাণীর পাসপোর্ট, সরকারি ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি)’ এবং ট্রানজিট বিমানবন্দরের ক্লিয়ারেন্সসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় মোট খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা।
বিমানে পরিবহনের নিয়ম অনুযায়ী ক্যান্ডিকে ছোট বিশেষ খাঁচায় (পেট ক্যারিয়ার) করে হাতব্যাগের মতো সঙ্গে নেওয়া হয়। বিড়ালটির ওজন প্রায় ৬ কেজি।
মুন্সীগঞ্জ টিটলার্ক পেটওয়েল সেন্টারের ভেটেরিনারি কনসালট্যান্ট ডা. শিবেন চন্দ্র লিটন বলেন, “বিদেশে পোষা প্রাণী নিতে হলে আন্তর্জাতিক মানে টিকা, স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট ও মাইক্রোচিপ বাধ্যতামূলক। ক্যান্ডির শরীরে একটি মাইক্রোচিপ বসানো হয়েছে, যা স্ক্যান করলে তার ইউনিক আইডি নম্বর দেখা যায়।”
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, ‘‘পরিবারটি বিড়ালটি বিদেশে নেওয়ার আগে আমাকে অবহিত করেছিল। তবে প্রাণী বিদেশে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ বিভাগকে জানানো বাধ্যতামূলক নয়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মুন্সীগঞ্জ থেকে এই প্রথম কোনো পোষা বিড়াল বিদেশে গেছে। এটি প্রাণীর প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও মমত্ববোধের দৃষ্টান্ত।’’
ঢাকা/রতন/বকুল