এ মাসের শেষ দিকে আবার জাতীয় ফুটবল দলের ব্যস্ততা শুরু। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকং ম্যাচ সামনে রেখে ২৯ বা ৩০ সেপ্টেম্বর প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। দুই প্রবাসী হামজা চৌধুরী ও শমিত সোম ক্যাম্পের শুরুতে না থাকলেও শেষ দিকে যোগ দেবেন।

৯ অক্টোবর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে হংকংয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ৪ অক্টোবর সোয়ানসি সিটির সঙ্গে ম্যাচ খেলে ৬ অক্টোবর ঢাকায় পা রাখার কথা রয়েছে লেস্টার সিটিতে খেলা হামজার। এর এক দিন পর ৭ অক্টোবর আসতে পারেন কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ক্যাভালরি এফসিতে খেলা শমিত। বাফুফের একাধিক সূত্র আজ প্রথম আলোকে এমন খবর নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে হামজা চৌধুরী.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এ ঘটনা অধ্যাপক ইউনূসের জন্য লজ্জার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ক্ষমা চাইতে হবে

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের ডিম নিক্ষেপের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলটির নেতা–কর্মীরা। তাঁরা বলেছেন, এ ঘটনা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য লজ্জার। নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

নিউইয়র্কে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ রাজনীতিবিদদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের চরম গাফিলতির প্রতিবাদ এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা।

মিছিলে এনসিপি নেতা–কর্মীদের ‘ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর/ আওয়ামী লীগ নো মোর’; ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ/ শেষ হয়নি যুদ্ধ’; ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ/ মুজিববাদ মুর্দাবাদ’; ‘দিল্লি না ঢাকা/ ঢাকা ঢাকা’; ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা/ এই বাংলায় হবে না’; ‘আখতারের ওপর হামলা করে/ ইন্টারিম কি করে?’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে শোনা যায়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বক্তব্য দেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁদেরকে আওয়ামী লীগের সামনে ছেড়ে দিয়েছেন। এটা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য লজ্জার। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্য লজ্জার। এ ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যর্থতার দায় নিয়ে অতিসত্বর বাংলাদেশের মানুষের সামনে এসে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।’

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে এখনো আওয়ামী লীগের সাঙ্গপাঙ্গরা রয়েছে। অতিদ্রুত সিভিল সার্ভিস থেকে, সেনাবাহিনী থেকে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগের গুন্ডা বাহিনীদের অপসারণ করতে হবে। যদি অপসারণ করতে না পারেন, তাহলে ইউনূস সরকার বর্তমান যে অবস্থায় রয়েছে, তারা কত দিন ক্ষমতায় টিকবে সেই নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি না।’

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আজকে আমাদের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবের একটি বক্তব্য দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টিকে নিয়ে আসতে চায়। এ বক্তব্য জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার।...আমরা এখনো বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করবেন।’

জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে যখন রাজাকার বলে, পাকিস্তানি ট্যাগ দিয়ে অলিগলিতে পেটানো হয়েছে, তখন আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু আজকে যখন গণ–অভ্যুত্থানের নেতাদের ওপর হামলা হচ্ছে, বাংলাদেশের অলিগলিতে আওয়ামী লীগ ঘোরাফেরা করছে, তখন তারা মুখে কুলুপ বসিয়েছে।’

দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা পাওয়া নিয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘আমরা যখন নিবন্ধন কর্মসূচির সব কাজ সম্পন্ন করেছি, নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে আমরা বলেছিলাম, শাপলা প্রতীক পেতে আইনি কোনো বাধা আছে? তারা আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে, আইনি কোনো বাধা নেই। কিন্তু কেন প্রতীক পাব না, সেই প্রশ্নে তারাও মুখে কুলুপ এঁটেছে। আমরা সব জায়গায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি।’

আরও পড়ুননিউইয়র্কে এনসিপি নেতা আখতারকে হেনস্তা করলেন আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীরা, ডিম নিক্ষেপ১৩ ঘণ্টা আগে

তাসনিম জারাকে কটূক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, ‘চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল আমাদের বোনেরা। রাজপথে সামনে সারিতে দাঁড়িয়ে তাঁরা আওয়ামী লীগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছিল। রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছিলেন। এখন সেই আওয়ামী লীগ দেশছাড়া হয়ে আমাদের বোনদের আক্রমণ করা শুরু করেছে। কারণ তারা জানে, আমাদের বোনেরা যদি তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান, আমাদের বোনেরা যদি তাঁদের কণ্ঠস্বর সোচ্চার রাখেন, তাহলে এই বাংলাদেশে ওই খুনিদের আর জায়গা হবে না।’

বাংলাদেশে কোনো ‘রিফাইন্ড’ আওয়ামী লীগের জায়গা হবে না মন্তব্য করে সারজিস আলম বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে যেকোনো ফরম্যাটে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে আমরা আশ্রয় পেতে দেব না। আমরা আগামীর বাংলাদেশকে রিফাইন্ড বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাব, যেই বাংলাদেশে কোনো ফ্যাসিস্ট কিংবা ফ্যাসিস্টের দোসরের জায়গা হবে না।’

আরও পড়ুনআখতারকে ডিম নিক্ষেপ: নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের শাস্তি চায় এনসিপি৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ