১৭২ রানের লক্ষ্য। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই লক্ষ্যকেই ছেলেখেলা বানিয়ে ফেলেছিলেন ভারতের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুবমান গিল। ৩৯ বলে ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জেতেন অভিষেক। আজকাল এমন ইনিংস নিয়মিতই খেলছেন তিনি। গত এক বছরে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ভারতের প্রথম পছন্দের ওপেনার হয়ে উঠেছেন। তাঁর কারণে দলে জায়গা হারিয়েছেন যশস্বী জয়সোয়ালের মতো ব্যাটসম্যান। দারুণ ছন্দে থাকা সেই অভিষেক আজ এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবেন।

এশিয়া কাপে ভারতের প্রথম চার ম্যাচে অভিষেক করেছেন ১৭৩ রান।  স্ট্রাইক রেট অবিশ্বাস্য—২০৮.

৪৩। ভারতের সাবেক স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, আরও বহু বছর এমন ব্যাটিং চালিয়ে যাবেন অভিষেক। ভারত-পাকিস্তান সুপার ফোর ম্যাচের পর নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে চাই, এটা অভিষেক শর্মার আগমন নয়, এ কেবল শুরু। সে মাত্র শুরু করেছে, সামনে ওর দীর্ঘ ভবিষ্যৎ। সে ক্রিকেট দুনিয়াকে কাঁপিয়ে দেবে।’

যেভাবে যুবরাজ সিং ভারতের সাদা বল ক্রিকেটের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন, সীমিত ওভারের সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছিলেন—অভিষেক সহজেই সে পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে।রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভারতের সাবেক ক্রিকেটার

বাঁহাতি এই ওপেনারকে যুবরাজ সিংয়ের উত্তরসূরি মনে করেন অশ্বিন, ‘এটা লিখে রাখুন। ওর সামর্থ্যের অভাব নেই। যেভাবে যুবরাজ সিং ভারতের সাদা বল ক্রিকেটের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন, সীমিত ওভারের সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছিলেন—অভিষেক সহজেই সে পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে। আমার বিশ্বাস, সে যুবরাজের উত্তরাধিকার বয়ে নিয়ে যাবে। ও অসাধারণ প্রতিভাধর।’

টি–টোয়েন্টিতে এখন বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান অভিষেক শর্মা

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন য বর জ

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূসকে ‘আনলক বিগ চেঞ্জ’ সম্মাননা দিল দেয়ারওয়ার্ল্ড

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত দেয়ারওয়ার্ল্ডের বার্ষিক হাই-লেভেল গ্লোবাল এডুকেশন ডিনারে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের এক হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তাকে ‘আনলক বিগ চেঞ্জ’ পুরস্কার দেওয়া হয়। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং শিক্ষার প্রসারে তার আজীবন অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এবং দেয়ারওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সারা ব্রাউন।

আরো পড়ুন:

কুবিতে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৫৫ শিক্ষার্থী

ঢাবিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬৫ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

পুরস্কার প্রদানকালে গর্ডন ব্রাউন ইউনূসকে অভিহিত করেন একজন বৈশ্বিক পথপ্রদর্শক হিসেবে। তিনি বলেন, “গত ৫০ বছরে বেসরকারি খাতে কোনো প্রকল্পই মানুষের দারিদ্র্য মুক্তিতে গ্রামীণ ব্যাংকের মতো অবদান রাখেনি।”

পুরস্কার গ্রহণ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “ঋণ মানুষের একটি মৌলিক অধিকার, যা খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতোই জরুরি।”

তিনি আরো বলেন, “আপনি যদি আর্থিক ব্যবস্থার দরজা খুলে দেন, তবে আর কোনো মানুষ গরিব থাকবে না। আমি ক্ষুদ্রঋণের সঙ্গে শিক্ষা যুক্ত করেছি, যাতে নারীরা নিশ্চিত করতে পারেন তাদের সন্তানরা স্কুলে যায়।”

তিনি শিক্ষার প্রচলিত ধারা ভেঙে সৃজনশীলতা ও উদ্যোক্তা হওয়ার শিক্ষা প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শিশুদের দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটি এমন জায়গা হওয়া উচিত যেখানে শিক্ষার্থীরা ব্যবসাকে কল্যাণের শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে মানবসমস্যা সমাধান করতে শিখবে।”

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডিকেও সম্মাননা জানানো হয়।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ