বাংলাদেশ–হংকং ম্যাচ: অনলাইনে টিকিট কেনা যাবে ৪০০ টাকায়, সার্ভার ক্র্যাশে ১০ লাখ জরিমানা
Published: 24th, September 2025 GMT
আগামী ৯ অক্টোবর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকংয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ম্যাচ শুরু হবে রাত আটটায়। গ্যালারিতে বসে ম্যাচটি উপভোগ করতে একজন দর্শকের সর্বনিম্ন খরচ পড়বে ৪০০ টাকা।
আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির সদস্য তাজওয়ার আউয়াল।
হংকংয়ের সঙ্গে আগামী মাসে মোট দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৯ অক্টোবরের ম্যাচের পর ১৪ অক্টোবর একই প্রতিযোগিতায় হংকংয়ের মাঠে খেলবেন হামজা–শমিতরা।
৯ অক্টোবর জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন এবং টিকিট ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাজওয়ার বলেন, ‘আমরা ৯ অক্টোবরের বাংলাদেশ–হংকং ম্যাচ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এবার টিকিটিং পার্টনার হিসেবে থাকছে কুইকেট। আশা করছি, ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে টিকিট পাওয়া যাবে।’
গত ১০ জুন ঢাকায় হওয়া সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট বিক্রি নিয়ে বেশ সমালোচিত হয়েছিল বাফুফে। সেই ম্যাচের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে ছিল টিকিফাই। কিন্তু টিকিট বিক্রি শুরুর পর হঠাৎ করেই সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। এরপর প্রায় দুই দিন টিকিট বিক্রি একেবারে বন্ধ ছিল। যে কারণে অনেক সমর্থক টিকিট কিনতে পারেননি।
তাজওয়ার জানিয়েছেন, এবার আর তেমন কোনো সমস্যা হবে না। আর হলেও সেটার জন্য জরিমানা দিতে হবে কুইকেটকে। তিনি বলেন, ‘কোনো কারণে সিস্টেম ক্র্যাশ করলে বা সাইবার আক্রমণ হলে বাফুফেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আমরা টিকিটিং পার্টনারকে এমন একটি পেনাল্টি ক্লজ দিয়ে দিয়েছি।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে ১ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। পয়েন্ট টেবিলে হাভিয়ের কাবরেরার দলের অবস্থান তিনে। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে হংকং। পয়েন্ট ও গোল–পার্থক্য সমান হলেও একটি বেশি গোল করায় শীর্ষে সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশের সমান ১ পয়েন্ট নিয়েই দুই ম্যাচে গোলশূন্য থাকায় তালিকার একেবারে নিচে ভারত।
হংকং ম্যাচ সামনে রেখে ২৯ বা ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করবে বাংলাদেশ দল। ম্যাচটি খেলতে ৬ অক্টোবর ঢাকায় পা রাখার কথা রয়েছে লেস্টার সিটিতে খেলা হামজার। এর এক দিন পর ৭ অক্টোবর আসতে পারেন কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ক্যাভালরি এফসিতে খেলা শমিত।
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল হামজার। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে তিন ম্যাচ খেলে ১ গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করেছেন। বাংলাদেশের জার্সিতে শমিত অভিষেক ম্যাচ খেলেন গত ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে থাকবেন সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) প্রয়াত সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। তিনি ছিলেন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের অন্যতম একজন। এ জন্য তাঁকে দীর্ঘ ১৭ মাস কারাবরণ করতে হয়েছে। তিনি প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে থাকবেন।
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক আলোচনা সভায় সাংবাদিক নেতারা এ কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বিএনপি সমর্থিত অংশ।
আলোচনা সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেন, ‘সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর ত্যাগ, নিষ্ঠা ছিল বিরল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপসহীনভাবে যে কাজ করে গেছেন, তা সবার অনুসরণীয়। তাঁর মতো নেতা বর্তমানে আমরা খুঁজে পাই না।’
রুহুল আমিন গাজীর প্রতিবাদী বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, সমসাময়িক সাংবাদিকদের মধ্যে নেতৃত্বগুণে তিনি অনবদ্য ছিলেন। ফ্যাসিবাদ আমলে যখন পদলেহন সাংবাদিকতা চলেছে, সেখানে রুহুল আমিন গাজী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের অগ্রনায়ক ছিলেন।
বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরের জন্য রুহুল আমিন গাজীকে দীর্ঘদিন কারাবরণ করতে হয়েছে। তিনি ছিলেন দেশ ও স্বাধীনতার প্রশ্নে আপসহীন।
আলোচনা সভায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, ‘সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী সৎসাহস নিয়ে সাংবাদিকদের পক্ষে তথা সত্যের পক্ষে লড়ে গেছেন। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। আপসহীন এই নেতার আদর্শ আমাদের সবার ধারণ করতে হবে।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোরসালিন নোমানী বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে পড়ে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী ১৭ মাস কারাবরণ করেছেন। তাঁকে ঠিকমতো চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। তাঁর এই অকাল চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’
পরিবারের পক্ষ থেকে রুহুল আমিন গাজীর ছেলে আফফান আবরার আমিন স্মৃতিচারণা করেন। তিনি বলেন, তাঁর বাবা দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। কারাগারে তাঁকে চিকিৎসা না দিয়ে একরকম হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রুহুল আমিন গাজীর ছেলে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম। ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলমের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি সরদার ফরিদ আহমেদ, বিএফইউজের সহসভাপতি এ কে এম মহসিন ও মুহাম্মদ খায়রুল বাশার, উইমেন জার্নালিস্ট ফোরামের লাবিন রহমান প্রমুখ।