পাকিস্তানকে বিদায় করে ফাইনালে বাংলাদেশ
Published: 25th, September 2025 GMT
বাংলাদেশ ২:০ পাকিস্তান
সাফ অনূর্ধ্ব–১৭ ফুটবলের সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ২–০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আজ কলম্বোর রেসকোর্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ২ গোলের একটি করেন অধিনায়ক নাজমুল হুদা, আরেকটি অপু রহমান।
একই মাঠে আজই রাত আটটায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের প্রতিপক্ষ নেপাল। এই ম্যাচের জয়ী দলের সঙ্গে আগামী শনিবার শিরোপার লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ।
আজ প্রথমার্ধে এক মিনিটের ব্যবধানেই ২ গোল করেছে বাংলাদেশ। ওই এক মিনিটেই যেন লন্ডভন্ড পাকিস্তান। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলকিপারের হাত ফসকানো বল সহজেই জালে জড়ান নাজমুল হুদা। এক মিনিট পর ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢোকার মুখে লম্বা শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অপু। দ্রুত ২ গোল খেয়ে রক্ষণভাগে পাহারা বাড়ায় পাকিস্তান। বাংলাদেশ অবশ্য আক্রমণের গতি কমায়নি।
বিরতির পরও নিয়মিত সুযোগ তৈরি করে। ৪৯ মিনিটে রিফাত কাজীর শট কোনোমতে বাইরে ঠেলে দেন পাকিস্তান গোলকিপার রাজ্জাক, কর্নার পায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুলের নেওয়া সেই কর্নার রুখে দেন পাকিস্তানের ডিফেন্ডাররা। ৬৪ মিনিটে নাজমুলের বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে পারলেই গোল হতো। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের মাহিন মিয়া।
আরও একটি গোলের আনন্দ ছেলেদের.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ সোমবার সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না।
বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক শক্তির প্রাণকেন্দ্র বন্দর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা শক্তির হাতে ব্যবস্থাপনাগতভাবে স্থানান্তর করার যেকোনো উদ্যোগ রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কৌশলগত স্থাপনা পরিচালনার নামে কোনো বিদেশি আধিপত্য, বিশেষ সুবিধা বা গোপন চুক্তি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগত ও অগ্রহণযোগ্য।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জনগণের অগণিত ত্যাগ ও শ্রমে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম বন্দর–সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জন আস্থার প্রতি সম্মান এবং রাষ্ট্রীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে গ্রহণ করতে হবে। জনগণের অজান্তে বা গোপন আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে দেশের সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। জাতীয় সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে কোনো শিথিলতা, সমঝোতা বা বিদেশি চাপ গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের, দেশেরই থাকবে। এটি রক্ষায় প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নাগরিক সতর্কতা ও গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছি।’