অতিরিক্ত চিকিৎসা ব্যয়ের লাগাম টানবে কে
Published: 25th, September 2025 GMT
চিকিৎসা ব্যয়ের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে আজ সাধারণ মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছে। সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত সেবা, আধুনিক সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় ওষুধ না থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যায়। অথচ সেখানে ডাক্তার ফি, বিভিন্ন টেস্ট, ওষুধের দাম ও শয্যা ভাড়া এতটাই বেশি যে একটি সাধারণ পরিবারের পক্ষে এসব খরচ বহন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো চিকিৎসা ব্যয়ের চাপ সামলাতে গিয়ে দারিদ্র্যের ফাঁদে আটকে যাচ্ছে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
গ্রামের কৃষক, দিনমজুর কিংবা শহরের খেটে খাওয়া মানুষ সামান্য অসুখের চিকিৎসা করাতে গিয়েই ঋণের বোঝা কাঁধে নিচ্ছে। কেউ কেউ চিকিৎসা মাঝপথে ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে, আবার অনেকে নিম্নমানের সেবা নিচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে আরও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। ক্যানসার, কিডনি, হৃদ্রোগ কিংবা জটিল অপারেশনের মতো চিকিৎসা সাধারণ মানুষের নাগালের অনেক বাইরে চলে গেছে।
এর ফলে বহু মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করছে, যা একটি জাতির জন্য বড় দুর্ভাগ্য। এই সংকট সমাধানে সরকারি উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও দক্ষ চিকিৎসক-নার্স সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে, যাতে গ্রামের মানুষ সাশ্রয়ী খরচে চিকিৎসা পায়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিনা মূল্যে চিকিৎসা, ওষুধে ভর্তুকি এবং স্বাস্থ্যবিমা চালু করা সময়ের দাবি। নইলে চিকিৎসা ব্যয়ের বোঝা সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও অসহনীয় করে তুলবে।
ওসমান গনি
কুমিল্লা
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে