নাসা গ্রুপের শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
Published: 25th, September 2025 GMT
সাভারের আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় নাসা গ্রুপের শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানকালে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “নাসা গ্রুপ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন কর্তৃপক্ষ কিছু মালামাল বিক্রি করে পরিশোধ করবে। বিক্রি করতে যে সময় প্রয়োজন ছিল, কর্তৃপক্ষ তা চেয়েছিল। কিন্তু শ্রমিকরা সময় না দিয়ে মিটিংয়ের পরদিনই রাস্তায় নেমে ভাঙচুর করে। তবে সবাই শ্রমিক নয়, হাতেগোনা কয়েকজন এই কাজে জড়িত। যারা আসলে শ্রমিক নয়, বরং ভেতরে থাকা নাশকতাকারী ও দুষ্কৃতকারী। এ ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
টিকটক ভিডিও করতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
মানিকগঞ্জে ইয়াবাসহ ৩ যুবক আটক
এসপি বলেন, “মূল যে টিপু সুলতান, তিনি আগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিল। শ্রমিকদের স্বার্থে নয়, বরং উত্তেজনা ও নাশকতা সৃষ্টির জন্যই মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিল। তাকে আমরা গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছি। আদালতের মাধ্যমে তার বিচার হবে। বাকি ছয়জনও নাশকতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছে।”
এর আগে, বুধবার বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে নাসা গ্রুপের শ্রমিকেরা নরসিংহপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ জলকামান ছিটিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
সম্প্রতি নাসা গ্রুপের ১৬টি কারখানা শ্রমিকদের বেতন–ভাতা পরিশোধ না করেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর শ্রমিক প্রতিনিধি, কর্তৃপক্ষ, সরকার ও বিজিএমইএর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ১৫ অক্টোবর আগস্ট মাসের এবং ৩০ অক্টোবর সেপ্টেম্বর মাসের বেতন–ভাতা পরিশোধ করবে কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুসারে পূর্ণ বছরের জন্য ৩০ দিনের মূল মজুরি ও মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকা পরিশোধ করা হবে।
ঢাকা/সাব্বির/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর শ ধ ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে