জামায়াতে ফিরছেন সোলায়মান চৌধুরী
Published: 27th, September 2025 GMT
নিজের পুরনো দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে ফিরে যাচ্ছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। ইতোমধ্যে তিনি এবি পার্টির সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। দলে ফিরতে দেখা করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, এবি পার্টি ছেড়ে পুরনো দলে ফিরে যাওয়ার সংবাদ।
সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘‘আমি নতুন কোনো দলে নয়, আমার পুরাতন রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীতে ফিরে যাব। এরই মধ্যে আমার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.
বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে স্বল্প সময়ের জন্য আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি আমার রাজনৈতিক বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। আমি সাড়া দিয়েছি। এখন ওনারা বিবেচনা করবেন আমাকে জামায়াতে ইসলামীতে নেবেন কিনা।’’
জামায়াতে ইসলামের মাধ্যমে আমরা যাতে সম্মিলিতভাবে এই দেশের সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধান, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং দেশকে ‘সুন্দর দেশে’ পরিণত করতে পারি বলেন তিনি।
এবি পার্টি থেকে পদত্যাগ করেই সোলায়মান চৌধুরী জামায়াতের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বসুন্ধরার বাসায় যান। এর আগে তিনি বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে এবি পার্টি থেকে পদত্যাগের কথা জাানিয়ে একটি পোস্ট দেন। সেখানে দুঃখ করে তিনি জানিয়েছিলেন ‘‘আমাকে নামকা-ওয়াস্তে দলের উপদেষ্টা রাখা হয়েছে। বাস্তবে উপদেশ চাইলে উপদেশ দেওয়া যায়, না চাইলে তো আর উপদেশ দেওয়া যায় না।’’
‘‘আমার মাধ্যমে যে অঙ্গীকার করে নতুন দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে তার ছিটেফোঁটাও এখন দলের মধ্যে নেই। এখন তারা অন্য কাজে ব্যস্ত। এমন দলে থাকার চাইতে না থাকাই শ্রেয় বলে মনে করে এবি পার্টির সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।’’ এ মর্মে এবি পার্টির চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি, জানান সোলায়মান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘‘দেশব্যাপী সংগঠনকে বিস্তার করা, সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানো, সকল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে কমিটি করা, জনসাধারণকে এই দলে সম্পৃক্ত করা, মানুষের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানুষের অধিকার কোথায় খর্ব, হরণ হচ্ছে তা মানুষের কাছ থেকে জানা এবং মানুষের অধিকার মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়ার যে মহান ব্রত নিয়ে আমরা এবি পার্টি গঠন করেছিলাম তার আর কিছুই হচ্ছে না।’’
এবি পার্টি একটি ঢাকাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘দেশের কোথাও দলের জনসম্পৃক্ততা নেই, বরং দিন দিন এবি পার্টির বিভিন্ন জেলার নেতারা পদত্যাগ করে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। অর্থাৎ, এবি পার্টি মানুষের সেবা করবে, মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবে, সমস্যার সমাধান করবে—সেখান থেকে এবি পার্টি অনেক দূরে সরে গেছে।’’
স্কুল জীবনে নবম শ্রেণিতে থাকতে ১৯৬৪ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগদান করেন এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। ১৯৭৫ সালের অক্টোবর মাসে তিনি জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশে যোগদান করেন। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে জামায়াতের রোকন হোন। ঐ বছর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত হন।
বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ১৯৭৯ সালের মার্চ মাসে সহকারী কমিশনার পদে যোগদান করেন এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। ফেনীতে জেলা প্রশাসক থাকা অবস্থায় জয়নাল হাজারীর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক আলোচিত হন। পরে সংস্থাপন সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হন।
২০০৭ সালে সরকারি চাকরি হতে অবসর নিয়ে পুনরায় জামায়াতে যোগদান করেন তিনি। সোলায়মান চৌধুরী জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য এবং দলের পেশাজীবীদের সংগঠন জাতীয় পেশাজীবী ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৯ সালে জামায়াত থেকে পদত্যাগ করে ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ নামে নতুন দল করেন। তিনি এই দলের আহ্বায়ক। শিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু সদস্য সচিব হন। পরে ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ থেকে ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’ সংক্ষেপে এবি পার্টি হিসেবে নামকরণ করা হয়।
পাঁচ আগস্টের পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এবি পার্টির আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেন সোলায়মান চৌধুরী। তার জায়গায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাবকে (মিনার) নতুন আহ্বায়ক করা হয়।
৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে এবি পার্টির জরুরি ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (এনইসি) সভায় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনারকে আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়। পরে জাতীয় কাউন্সিলে সোলায়মান চৌধুরীর জায়গা হয় উপদেষ্টা পরিষদে। আর দলের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, ব্যরিষ্টার ফুয়াদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন ইসল ম ত
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে