চাকরি–বাকরি: ১ (৪৯তম বিসিএসে দায়িত্ব পালনে ১৯৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট)
Published: 1st, October 2025 GMT
১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ৪৯তম বিসিএসের (বিশেষ) প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ)। এ পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ১৯৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এ সময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ–সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১০ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকার ১৮৪টি হলে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষা। পরীক্ষায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভেতরে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একজন করে মোট ১৮৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষে (কন্ট্রোল রুম) দায়িত্ব পালন করবেন আরও ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ‘মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯’–এর ৫ ধারার বিধান মোতাবেক পরীক্ষার সময়, পরীক্ষাকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় এসব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুনগণপূর্ত অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬৬৯২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ৬ অক্টোবর বেলা ১১টায় সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের ৭১ মিলনায়তনে ব্রিফিং সেমিনারে উপস্থিত থাকতে হবে। এর বাইরে প্রজ্ঞাপনে পরীক্ষার দিন ভোর চারটায় সচিবালয়ে রিপোর্ট করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) ২০২৫ হচ্ছে শিক্ষার বিশেষ বিসিএস। এ বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৬৮৩ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) ৬৮৩টি পদের আবেদন করেছেন মোট ৩ লাখ ১২ হাজারের বেশি প্রার্থী। ৪৯তম বিসিএসের পদগুলোতে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছিল চলতি বছরের ২২ জুলাই। আবেদনকারীদের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা গত ২২ আগস্ট, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছিল। পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, আবেদনকারী প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ২০০ টাকা এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা নির্ধারিত ছিল। ২১ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে যে কেউ প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে পারতেন। ৬৮৩টি পদে ৩ লাখের বেশি প্রার্থী অংশগ্রহণ করায় প্রতি পদে আবেদনকারীর সংখ্যা ৪৫৬ জনের বেশি।
আরও পড়ুনচাকরির ইন্টারভিউ প্রস্তুতিতে এবার ভিআর প্রযুক্তি৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বৈরী আবহাওয়ায়ও উৎসবের আমেজ, এক ঘণ্টায় ১২৭ প্রতিমা বিসর্জন
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টি, উত্তাল সাগর, গর্জন তোলা ঢেউ—এসব উপেক্ষা করেই কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আজ বৃহস্পতিবার প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। বিকেল চারটার দিকে লাবণী পয়েন্টের বিজয়া মঞ্চসংলগ্ন এক বর্গকিলোমিটারজুড়ে প্রতিমা ঘিরে ভক্তদের আনন্দ-উল্লাস, সিঁদুরখেলা ও শেষ মুহূর্তের প্রার্থনা চলছিল। লাখো পর্যটকও যোগ দিয়েছিলেন এ উৎসবে।
বিকেল পাঁচটায় মন্ত্রপাঠের পর শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। মাত্র এক ঘণ্টায় একে একে ১২৭ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এ সময় ভক্তদের চোখে জল, আবার সাগরতটে ঢাকঢোল বাজিয়ে আনন্দ-উল্লাসও ছিল চোখে পড়ার মতো। দুপুরে প্রতিমা নিয়ে শহরের বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। লাবণী সৈকতে পৌঁছালে কানায় কানায় ভরে যায় সৈকত।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শঙ্কর পাল জানান, এ বছর জেলার ৩২১টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সৈকতে ১২৭ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। বাকি প্রতিমা চকরিয়ার মাতামুহুরী নদী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফ সৈকতে বিসর্জন দেওয়া হয়।
বৈরী আবহাওয়া ও বিপুল মানুষের ভিড় সামলাতে সকাল থেকে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, পর্যটন পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী মোতায়েন ছিল। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও মাঠে সক্রিয় ছিল। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে পুরো অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।
প্রতিমা বিসর্জন উৎসব নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল। আজ দুপুরে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে তল্লাশি চালান সেনা সদস্যরা