হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দেওপাড়া এলাকায় পিকআপ ভ্যানকে ধাক্কা দিয়েছে একটি ট্রাক। এ ঘটনায় আজমত আলী (৪০) নামে এক সবজি ব্যবসায়ী মারা গেছেন।

রবিবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার জনতার বাজার সংলগ্ন দেওপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

আরো পড়ুন:

দাঁড়িয়ে থাকা বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাক্কা, নিহত ১

বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল পথচারীর

মারা যাওয়া আজমত সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদীপুর এলাকার সাজিদ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে আজমত আলী খালি পিকআপ ভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ন-১৯-২৩৩৪) নিয়ে সবজি কিনতে যাচ্ছিলেন। নবীগঞ্জ উপজেলার জনতার বাজার সংলগ্ন দেওপাড়া এলাকায় পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয় সবজি বোঝাই ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১২-২৩২৪)। ঘটনাস্থলেই আজমত মারা যান।

দুর্ঘটনার পর ঘাতক ট্রাকটি উল্টে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি জব্দ করে, তবে চালক পালিয়ে গেছেন।

শেরপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, “দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে, চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত প কআপ

এছাড়াও পড়ুন:

জাবিতে হলের নির্মাণ খরচের নথিপত্র চেয়ে প্রকল্প কার্যালয়ে তালা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নির্মিত ছয়টি আবাসিক হলের নির্মাণকাজের সব খরচের নথিপত্র দেওয়ার দাবিতে প্রকল্প কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রকল্প কার্যালয়ের ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন জাকসুর দুজন প্রতিনিধিসহ ছয়টি হলের সংসদের প্রতিনিধিরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পায় বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রকল্পের আওতায় ১০ তলাবিশিষ্ট ছয়টি হল নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সালে এসব হল উদ্বোধন করা হয়।

নির্মিত আবাসিক হলগুলো নিয়ে প্রকল্পের শুরু থেকেই ডিপিপি জালিয়াতি, তৎকালীন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে অর্থ প্রদান, অব্যবস্থাপনাসহ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল।

সম্প্রতি ভূমিকম্পের পর নতুন হলগুলোর দেয়ালে ফাটল ও বিভিন্ন ফ্লোরে পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনায় নতুন করে দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হলের নির্মাণ খরচের নথিপত্র চেয়ে প্রকল্প কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ, হলভবনের নিরাপত্তা এবং শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রশ্নে কোনো তথ্য গোপন করা চলবে না। দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলের নির্মাণ খরচের নথিপত্র প্রকাশ করলে তবেই প্রকল্প অফিসের তালা খোলা হবে।

তাদের দাবি, প্রকল্পের সয়েল টেস্ট রিপোর্ট, স্ট্রকচারাল ডিজাইন, অথরিটি অ্যাপ্রুভাল শিট, আর্থিক হিসেব, ফেজ ওয়ানের ডিপিপি শিডিউল, কনস্ট্রাকশন শিডিউল, কনস্ট্রাকশন কোম্পানির ডিটেইলস, তদারক কমিটির তালিকা, টেন্ডার দরপত্রের তথ্য পাবলিক করতে হবে।

এ বিষয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হল সংসদের ভিপি সিফাতুল্লাহ বলেন, ‘‘সকাল থেকে বিক্ষোভ করলেও সাড়ে ৪ ঘণ্টা পরে পিডি দাবি শুনতে আসেন। এটা খুবই দুঃখজনক। ভূমিকম্প হয়ে গেছে বেশ কিছুদিন। এখন পর্যন্ত তারা দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা যখন নির্মাণ খরচের নথিপত্রের জন্য এসেছি। তারা বিলম্ব করছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে, প্রশাসন কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’’

ঢাকা/আহসান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ