বন্দরে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা
Published: 6th, October 2025 GMT
বন্দরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ঘটনাকে পুঁজি করে আটক বানিজ্যের তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সোর্স আক্তার সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি আহত নূরুজ্জামান মোল্লা বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন৷ এর আগে গত বৃহস্পতিবার ( ২৫ সেপ্টম্বর) দুপুরে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ভেতরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও চিড়ইপাড়া এলাকায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন চলাচলের রাস্তা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণে বাঁধা দেয়ায় মোবারক নামে ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে সোর্স আক্তার হোসেন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। বর্তমানের মামলাটি নারায়ণগঞ্জ পিবিআই'র কাছে তদন্ত করছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার ধামগড় ইউপির কামতাল ডাক সমাজ কবরস্থান হাফেজিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টম্বর) সকালে সহকারী শিক্ষক হাফেজ ফুসাইন আহাম্মেদ মাহফুজ (২৪)কে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে উত্তেজিত এলাকাবাসী।
পরবর্তীতে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জহিরুল ইসলাম ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুস ছাত্তারকে ডেকে নিয়ে একটি কক্ষে আটক করে রাখে। প্রিন্সিপাল মামলার আসামি না হওয়ায় তাকে আটক করে রাখার বিষয়টি ওই ছাত্রীর দাদা নূরুল হক সাংবাদিকদের ফোন করে জানিয়েছেন।
পরে সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লা, সাংবাদিক সানাউল্লাহ মুন্সী, মনির হোসেন ও সাংবাদিক সুমন হাসান কামতাল তদন্ত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুস ছাত্তারকে আটকের বিষয়ে এসআই জহিরুল ইসলামের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়।
এসময় পুলিশের সোর্স আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বলে ছাত্তার মাওলানা বিষয়টি শেষ করে দেওয়া হয়েছে । এক পর্যায়ে এসআই জহিরুলের কক্ষে এবং তার সামনে এলোপাতাড়ি কিলঘুষিতে মূখে রক্তাক্ত জখম হয়। এখবর পেয়ে স্বজনরা সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এঘটনায় সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লা বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পরবর্তীতে গত ২ অক্টোবর অভিযোগটি আমলে নিয়ে থানা মামলা রেকর্ড করেন।
এলাকাবাসী জানান, চিড়ইপাড়া কলোনীর মেইন সড়ক হইতে আমিনুল মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন চলাচলের রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণ কাজ শুরু সোর্স আক্তার।
এসময় ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বরাত দিয়ে মোবারক হোসেন তার পরিবারের লোকজন রাস্তা দখলে বাধা দেয়ায় তাদেরকে কুপিয়ে জখম করেছে পুলিশের সোর্স আক্তার ও তার লোকজন।
এ ঘটনায় আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি নারায়ণগঞ্জ পিবিআই'র কাছে তদন্তাধীন। আক্তার পুলিশের সোর্স হিসাবে এলাকায় পরিচিত।
এখন নাগরিক টিভি সাংবাদিক পরিচয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি প্রতারণা সহ চিড়ইপাড়া কলোনী এলাকার মাদক কারবারি নিয়ন্ত্রণ সহ নানান অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি লিয়াকত আলী বলেন, সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লা'র ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ তদন ত ক র ঘটন য় ক মত ল
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির অভিযোগে তিন চোরকে গণধোলাই
সোনারগাঁয়ে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির অভিযোগে তিন চোরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসী ট্রান্সফরমার চুরি করার সময় ওই তিন চোরকে হাতে নাতে আটক করে। গ্রেপ্তারকৃত চোরেরা হলেন, মো. মামুন, স্বপন ও রফিকুল। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে গত শুক্রবার মধ্যরাতে একটি চোরের দল হানা দেয়। চোরেরদল রাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই গ্রামে থাকা পল্লী বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারটি চুরি করার সময় এলাকাবাসী টের পেয়ে যায়।
এসময় এলাকাবাসী পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি থেকে চোরেরা ট্রান্সফরমারটি নামাতে দেখে তিন চোরকে হাতেনাতে আটক করে। এসময় বকুল নামে ১ চোর পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী আটককৃত ওই তিনচোর হাত পা বেঁধে গণধোলাই দেয়। পরে শনিবার সকালে এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী আটককৃত ওই তিন চোরকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।
গ্রেপ্তারকৃত মো. মামুন উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর খাসবাগ গ্রামের মো. কাসেম মিয়ার ছেলে, স্বপন একই গ্রামে আক্তার হোসেনের ছেলে ও রফিকুল ইসলাম নোয়াগাঁওয়ের বিশনন্দী গ্রামের ওসমান ভান্ডারীর ছেলে।
স্থানীয়দের ধারণা, তারা সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য এবং এর আগেও এলাকা জুড়ে বিদ্যুতের সরঞ্জাম চুরির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খাঁন বলেন, এলাকাবাসী তিন চোরকে আটক করেছে। তাদেরকে থানায় পুলিশের হেফাজতে আনা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।