নামের ছাড়পত্র পেল নতুন ব্যাংক, স্বার্থের সংঘাত হবে বলে চেয়ারম্যান হবেন না নাজমা মোবারেক
Published: 21st, November 2025 GMT
প্রস্তাবিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের সাত সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হচ্ছেন না অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। এমনকি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদেও থাকছেন না তিনি। এদিকে অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারও থাকছেন না এ ব্যাংকের পর্ষদে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, নতুন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান করা হবে বাইরে থেকে, যিনি হবেন একজন স্বতন্ত্র পরিচালক। দুই সচিবের বদলে তাই দুজন স্বতন্ত্র পরিচালক খোঁজা হচ্ছে।
সূত্রগুলো জানায়, অর্থসচিব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব দুজনই বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে আছেন। এ অবস্থায় তাঁরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীন কোনো ব্যাংকের পর্ষদে থাকলে তাতে স্বার্থের সংঘাত দেখা দেবে। এ কারণেই স্বতন্ত্র পরিচালক নেওয়া হবে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের পরামর্শে অর্থসচিব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের জায়গায় অন্য চারজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
গতকাল জানতে চাইলে সচিব নাজমা মোবারেক কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান।
নতুন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে আগে আরও যে পাঁচজনের নাম ঠিক করা হয়েছিল, তাঁরা বহাল থাকবেন। তাঁরা হলেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব এম সাইফুল্লাহ পান্না, ধর্মসচিব মো.
এদিকে ১৪ শর্তে নামের ছাড়পত্র পেয়েছে প্রস্তাবিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক। যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয় (আরজেএসসি) ১৬ নভেম্বর এ ছাড়পত্র দেয়। সে অনুযায়ী আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন ব্যাংকটিকে নিবন্ধন নিতে হবে। প্রস্তাবিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক ঢাকার মতিঝিলের সেনাকল্যাণ ভবনের ১৭ তলায় অফিস নিয়েছে।
সমস্যাগ্রস্ত যে পাঁচ ব্যাংক নিয়ে নতুন ব্যাংক হতে যাচ্ছে সেগুলো হচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী (এসআইবিএল), এক্সিম, গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংক। নতুন ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা দেবে সরকার। আর আমানতকারীদের ১৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ ব্যাংকে বর্তমানে ৭৫ লাখ আমানতকারীর জমা আছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে ঋণ রয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা বা ৭৬ শতাংশই এখন খেলাপি। এককভাবে সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ ঋণ খেলাপি ইউনিয়ন ব্যাংকের। এ ছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটির ৯৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামীর ৯৫ শতাংশ, এসআইবিএলের ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংকের ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ ঋণ এখন খেলাপি।
সারা দেশে এসব ব্যাংকের মোট ৭৬০টি শাখা, ৬৯৮টি উপশাখা, ৫১১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯৭৫টি এটিএম বুথ রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ত ব নত ন ব য ক র পর ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
নামের ছাড়পত্র পেল নতুন ব্যাংক, স্বার্থের সংঘাত হবে বলে চেয়ারম্যান হবেন না নাজমা মোবারেক
প্রস্তাবিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের সাত সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হচ্ছেন না অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। এমনকি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদেও থাকছেন না তিনি। এদিকে অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারও থাকছেন না এ ব্যাংকের পর্ষদে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, নতুন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান করা হবে বাইরে থেকে, যিনি হবেন একজন স্বতন্ত্র পরিচালক। দুই সচিবের বদলে তাই দুজন স্বতন্ত্র পরিচালক খোঁজা হচ্ছে।
সূত্রগুলো জানায়, অর্থসচিব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব দুজনই বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে আছেন। এ অবস্থায় তাঁরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীন কোনো ব্যাংকের পর্ষদে থাকলে তাতে স্বার্থের সংঘাত দেখা দেবে। এ কারণেই স্বতন্ত্র পরিচালক নেওয়া হবে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের পরামর্শে অর্থসচিব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের জায়গায় অন্য চারজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
গতকাল জানতে চাইলে সচিব নাজমা মোবারেক কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান।
নতুন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে আগে আরও যে পাঁচজনের নাম ঠিক করা হয়েছিল, তাঁরা বহাল থাকবেন। তাঁরা হলেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব এম সাইফুল্লাহ পান্না, ধর্মসচিব মো. কামাল উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব শেখ ফরিদ।
এদিকে ১৪ শর্তে নামের ছাড়পত্র পেয়েছে প্রস্তাবিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক। যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয় (আরজেএসসি) ১৬ নভেম্বর এ ছাড়পত্র দেয়। সে অনুযায়ী আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন ব্যাংকটিকে নিবন্ধন নিতে হবে। প্রস্তাবিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক ঢাকার মতিঝিলের সেনাকল্যাণ ভবনের ১৭ তলায় অফিস নিয়েছে।
সমস্যাগ্রস্ত যে পাঁচ ব্যাংক নিয়ে নতুন ব্যাংক হতে যাচ্ছে সেগুলো হচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী (এসআইবিএল), এক্সিম, গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংক। নতুন ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা দেবে সরকার। আর আমানতকারীদের ১৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ ব্যাংকে বর্তমানে ৭৫ লাখ আমানতকারীর জমা আছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে ঋণ রয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা বা ৭৬ শতাংশই এখন খেলাপি। এককভাবে সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ ঋণ খেলাপি ইউনিয়ন ব্যাংকের। এ ছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটির ৯৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামীর ৯৫ শতাংশ, এসআইবিএলের ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংকের ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ ঋণ এখন খেলাপি।
সারা দেশে এসব ব্যাংকের মোট ৭৬০টি শাখা, ৬৯৮টি উপশাখা, ৫১১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯৭৫টি এটিএম বুথ রয়েছে।