হাতকড়াসহ আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার ২১
Published: 6th, October 2025 GMT
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে হাতকড়া পরা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সোমবার (৬ অক্টোবর) পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রিজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে ছিনিয়ে পর রবিবার (৫ অক্টোবর) ২০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আরো পড়ুন:
অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজধানীর কয়েকটি জায়গায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার দায়ে বৃদ্ধের ৫ বছরের কারাদণ্ড
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে এখনো পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জন নারী ও ১০ জন পুরুষ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার চকভোলা গ্রামে পুলিশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে গ্রেপ্তার করে। পরে স্বজন ও সমর্থকরা তাকে ছিনিয়ে নেয়। অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, রাজু দীর্ঘ দিন পালিয়ে ছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তিনি নিজ গ্রামের বাড়িতে যান। খবর পেয়ে এসআই মামুন এক কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে সাদা পোশাকে সেখানে যান। রাজুকে হাতকড়া পরানোর পর থানায় নেওয়ার সময় তার স্বজন ও সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা রাজুকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ঢাকা/এনাম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ তকড় উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নিখোঁজ তরুণের লাশ ধানমন্ডি লেকে
রাজধানীর ধানমন্ডি লেক থেকে মো. ওমর ফারুক মোল্লা (১৮) নামের এক তরুণের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
আজ রোববার সকালে ধানমন্ডি লেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পরে ধানমন্ডি থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মো. ওমর ফারুক ৩ অক্টোবর বিকেলে রাজধানীর হাজারীবাগের বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। পরে তিনি আর বাসায় ফেরেননি।
মো. ওমর ফারুকের বাবা আবদুল কুদ্দুস মোল্লা। তিনি মাছের ব্যবসা করেন। হাজারীবাগে তিনি পরিবারসহ থাকেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই মো. খলিলুর রহমান বলেন, ওমর ফারুক কোনো কাজ করতেন না। তবে মাঝেমধ্যে বাবার ব্যবসায় সাহায্য করতেন। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে পরিবারে মান–অভিমান চলছিল। ৩ অক্টোবর বিকেলে খাওয়াদাওয়া শেষে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। এরপর আর ফেরেননি। পরিবার ধারণা করেছিল, ওমর ফারুক হয়তো কোনো বন্ধুর বাসায় আছেন। তাই তাঁর নিখোঁজের বিষয়ে থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেনি।
লাশ উদ্ধারের পর পকেটে একটি মানিব্যাগ পাওয়া যায় জানিয়ে পুলিশ বলে, সেখানে থাকা মুঠোফোন নম্বরে কল দিয়ে তাঁর নাম–পরিচয় জানা যায়। এরপর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে মরদেহ শনাক্ত করে। পরিবারের ধারণা, ওমর ফারুক অসাবধানতাবশত পানিতে পড়ে মারা গেছেন। তিনি সাঁতার জানতেন না।
মো. ওমর ফারুকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।