দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সঙ্গে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতের মিশন
Published: 8th, October 2025 GMT
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মিছিলে বাংলাদেশ জাতীয় দল শেষ কবে ওয়ানডে খেলেছে তা ভুলতে বসেছেন ক্রিকেট সমর্থকরা। সময়ের হিসেবে চার মাস হলেও মনে হচ্ছে ‘’অনন্তকাল’’ কেবল টি-টোয়েন্টি খেলে যাচ্ছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা! সেই অপেক্ষা ঘোচাতেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আজ মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আবুধাবিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। যাদের শেষ ওয়ানডে খেলা হয়েছে আট মাস আগে, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে৷ সেই ম্যাচটিও বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। সর্বসাকুল্যে এ বছর আফগানিস্তান মাত্র দুইটি ওয়ানডে খেলেছে। বাংলাদেশ অবশ্য একটু এগিয়ে। খেলেছে ছয়টি। যার চারটিতেই আবার হার৷ বৃষ্টিতে একটি পণ্ড আর একটি মাত্র জয়।
পরিস্থিতি, পরিসংখ্যান কোনটাই দুই দলের পক্ষে কথা বলছে না৷ তবে বাংলাদেশকে একটু আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। শারজাহতে আফগানিস্তানকে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করে ওয়ানডে সিরিজ শুরু অপেক্ষায় বাংলাদেশ।
লম্বা সময় পর ওয়ানডে ক্রিকেটে মাঠে নামা চ্যালেঞ্জ তা স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ,‘’দেখেন ওয়ানডে ম্যাচগুলো যেভাবে খেলেছি অনেক লম্বা গ্যাপ দিয়ে আমরা খেলেছি। ব্যাক টু ব্যাক খুব কমই খেলেছি। এজন্য এই সমস্যাটা হয়েছে। অনেক দিন গ্যাপ করে খেলেছি। ব্যাক টু ব্যাক থাকলে খেলার মধ্যে থেকে খেলা যায়। কাজটা কঠিন তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ওয়ানডে প্লেয়াররা দেশ থেকে প্র্যাকটিস করে এসেছি।’’
দুই দলের জন্য এক ধরনের নতুন শুরু বলাই যায়। কিন্তু এই শুরুতেই তাদেরকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। কেননা এই সিরিজ কেবল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়, সরাসরি বিশ্বকাপের খেলার নিশ্চিতের সুযোগও।
২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সরাসরি খেলতে হলে র্যাঙকিংয়ে সেরা আটের মধ্যে থাকতে হবে। আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে সেরা আটে যারা থাকবে তারাই সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে। ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে র্যাংকিং এ বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১০ নম্বরে।
টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডেতেও আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে বাংলাদেশ ৮২ পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে নয় নম্বরে উঠে যাবে৷ কিছুদিন পর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে পারলে বাংলাদেশের অবস্থান আরো সুদৃঢ় হবে৷ সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার জন্য এই দুইটি সিরিজ মিরাজদের জন্য পরীক্ষার মঞ্চ,
“আমরা সবাই জানি এই সিরিজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। (বিশ্বকাপে) কোয়ালিফাই করাটা অনেক জরুরি, সেরা ৮ দলে যাবে বিশ্বকাপে। আমাদের জন্য প্রত্যেক ম্যাচই জরুরি। এই সিরিজ আরও বেশি জরুরি। আমাদের ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচ খেলা হয়নি, এই জায়গাতেই স্ট্রাগল করছি। ব্যাটসম্যানরা প্ল্যান করছি কীভাবে ফিফটি ওভার খেলতে হবে। আমাদের মিডল অর্ডার ও টপঅর্ডারের ব্যাটারদের ইনিংস কীভাবে বড় করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছি। আশা করি সমস্যা সমাধান করতে পারবো এবং এই সিরিজ দিয়ে কামব্যাক করতে পারবো।’’
কম্বিনেশন সাজাতে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে একটু মাথা খাটাতেই হচ্ছে৷ শান্ত ওয়ানডে দলে নিয়মিত ক্রিকেটার। সাইফ ও তানজিদ আছেন। টপঅর্ডারের ভরসা তারাই। এরপর তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহান আছেন৷ তাদের মধ্যে কারা জায়গা পান সেটাও দেখার বিষয়। পেস আক্রমণে মোস্তাফিজ ও তাসকিনের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা। তৃতীয় পেসার হিসেবে হাসান মাহমুদ নাকি নাহিদ রানা খেলবেন সেটাই দেখার। স্পিনে মিরাজের সঙ্গী হতে পারেন রিশাদ।
২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ১৯ বার ওয়ানডে ক্রিকেটে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ১১ বার জিতেছে বাংলাদেশ, আফগানরা বাকি ৮ বার। লম্বা বিরতির পর যেহেতু দুই দলই মাঠে নামছে আজকে তাদের কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে। ভুল ভ্রান্তি ও স্নায়ু যারা ধরে রাখতে পারবে শেষ হাসিটা তারাই হাসবে।
ঢাকা/ ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন এই স র জ ব শ বক প র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সঙ্গে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতের মিশন
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মিছিলে বাংলাদেশ জাতীয় দল শেষ কবে ওয়ানডে খেলেছে তা ভুলতে বসেছেন ক্রিকেট সমর্থকরা। সময়ের হিসেবে চার মাস হলেও মনে হচ্ছে ‘’অনন্তকাল’’ কেবল টি-টোয়েন্টি খেলে যাচ্ছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা! সেই অপেক্ষা ঘোচাতেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আজ মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আবুধাবিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। যাদের শেষ ওয়ানডে খেলা হয়েছে আট মাস আগে, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে৷ সেই ম্যাচটিও বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। সর্বসাকুল্যে এ বছর আফগানিস্তান মাত্র দুইটি ওয়ানডে খেলেছে। বাংলাদেশ অবশ্য একটু এগিয়ে। খেলেছে ছয়টি। যার চারটিতেই আবার হার৷ বৃষ্টিতে একটি পণ্ড আর একটি মাত্র জয়।
পরিস্থিতি, পরিসংখ্যান কোনটাই দুই দলের পক্ষে কথা বলছে না৷ তবে বাংলাদেশকে একটু আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। শারজাহতে আফগানিস্তানকে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করে ওয়ানডে সিরিজ শুরু অপেক্ষায় বাংলাদেশ।
লম্বা সময় পর ওয়ানডে ক্রিকেটে মাঠে নামা চ্যালেঞ্জ তা স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ,‘’দেখেন ওয়ানডে ম্যাচগুলো যেভাবে খেলেছি অনেক লম্বা গ্যাপ দিয়ে আমরা খেলেছি। ব্যাক টু ব্যাক খুব কমই খেলেছি। এজন্য এই সমস্যাটা হয়েছে। অনেক দিন গ্যাপ করে খেলেছি। ব্যাক টু ব্যাক থাকলে খেলার মধ্যে থেকে খেলা যায়। কাজটা কঠিন তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ওয়ানডে প্লেয়াররা দেশ থেকে প্র্যাকটিস করে এসেছি।’’
দুই দলের জন্য এক ধরনের নতুন শুরু বলাই যায়। কিন্তু এই শুরুতেই তাদেরকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। কেননা এই সিরিজ কেবল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়, সরাসরি বিশ্বকাপের খেলার নিশ্চিতের সুযোগও।
২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সরাসরি খেলতে হলে র্যাঙকিংয়ে সেরা আটের মধ্যে থাকতে হবে। আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে সেরা আটে যারা থাকবে তারাই সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে। ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে র্যাংকিং এ বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১০ নম্বরে।
টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডেতেও আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে বাংলাদেশ ৮২ পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে নয় নম্বরে উঠে যাবে৷ কিছুদিন পর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে পারলে বাংলাদেশের অবস্থান আরো সুদৃঢ় হবে৷ সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার জন্য এই দুইটি সিরিজ মিরাজদের জন্য পরীক্ষার মঞ্চ,
“আমরা সবাই জানি এই সিরিজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। (বিশ্বকাপে) কোয়ালিফাই করাটা অনেক জরুরি, সেরা ৮ দলে যাবে বিশ্বকাপে। আমাদের জন্য প্রত্যেক ম্যাচই জরুরি। এই সিরিজ আরও বেশি জরুরি। আমাদের ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচ খেলা হয়নি, এই জায়গাতেই স্ট্রাগল করছি। ব্যাটসম্যানরা প্ল্যান করছি কীভাবে ফিফটি ওভার খেলতে হবে। আমাদের মিডল অর্ডার ও টপঅর্ডারের ব্যাটারদের ইনিংস কীভাবে বড় করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছি। আশা করি সমস্যা সমাধান করতে পারবো এবং এই সিরিজ দিয়ে কামব্যাক করতে পারবো।’’
কম্বিনেশন সাজাতে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে একটু মাথা খাটাতেই হচ্ছে৷ শান্ত ওয়ানডে দলে নিয়মিত ক্রিকেটার। সাইফ ও তানজিদ আছেন। টপঅর্ডারের ভরসা তারাই। এরপর তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহান আছেন৷ তাদের মধ্যে কারা জায়গা পান সেটাও দেখার বিষয়। পেস আক্রমণে মোস্তাফিজ ও তাসকিনের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা। তৃতীয় পেসার হিসেবে হাসান মাহমুদ নাকি নাহিদ রানা খেলবেন সেটাই দেখার। স্পিনে মিরাজের সঙ্গী হতে পারেন রিশাদ।
২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ১৯ বার ওয়ানডে ক্রিকেটে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ১১ বার জিতেছে বাংলাদেশ, আফগানরা বাকি ৮ বার। লম্বা বিরতির পর যেহেতু দুই দলই মাঠে নামছে আজকে তাদের কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে। ভুল ভ্রান্তি ও স্নায়ু যারা ধরে রাখতে পারবে শেষ হাসিটা তারাই হাসবে।
ঢাকা/ ইয়াসিন