ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ বাংলাদেশির মৃত্যু
Published: 9th, October 2025 GMT
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় সাত বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে দেশটির দুখুম সিদ্দা নামক এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
নিহতদের সবাই চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নের পাঁচজন, মাইটভাঙা ইউনিয়নের একজন এবং রহমতপুর ইউনিয়নের একজন রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিবার পেল ২৫ লাখ টাকা
বাগেরহাটে বাসচাপায় শিক্ষক নিহত, সড়কে বিক্ষোভ
সন্ধীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাউসিনো মারমা মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- সারিকাইতের আমিন মাঝি, মো.
সন্ধীপের নিহত প্রবাসীদের পারিবার সূত্র জানায়, সাগরে মাছ ধরার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় প্রবাসীদের বহন করা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয়।
সারিকাইত ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাছলিমা বেগম বলেন, “আমাদের এই ইউনিয়নের পাঁচ প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। মর্মান্তিক এই ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিটি পরিবারে চলছে শোক আর কান্নার মাতম।”
নিহত সাহাব উদ্দিনের বাবা মো. সিদ্দিক জানান, তার ছেলে মাছ ধরার বোটে কাজ করত। কয়েক দিন সাগরে থাকার পর বুধবার বাসায় ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তিনি।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন প রব স ন হত দ র ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে কৃষক নিহত
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় রেফাজুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার রায়টা পাথরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।
নিহত রেফাজুলের বাড়ি রায়টা পাথরঘাট এলাকায়। তিনি পেশায় কৃষক। মাঝেমধ্যে নদীতে মাছও ধরেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন লালন মণ্ডল (৪৫) নামের আরও এক ব্যক্তি। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পাথরঘাট এলাকায় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন রেফাজুল ও লালন। এ সময় তিন ব্যক্তি তাঁদের কাছে আসেন। তাঁদের হাতে অস্ত্র ছিল। অস্ত্রধারীরা খুব কাছ থেকে তাঁদের উদ্দেশে গুলি ছোড়েন। এতে রেফাজুল বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। লালনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ভেড়ামারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ ছাড়া আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনজনই মুখোশ পরা ছিল। তাদের হাতে কালো গ্লাভসও পরা ছিল। দুজনের হাতে পিস্তল ও একজনের হাতে শটগান ছিল। শটগানের গুলিতে রেফাজুল নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, কেন কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে ডিবিসহ পুলিশ কাজ করছে।