টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র তিনবার যে কীর্তি, তার দুটিই কিনা ৯ অক্টোবরে
Published: 9th, October 2025 GMT
টেস্ট অভিষেককে হ্যাটট্রিকে রঙিন করে তুলতে পেরেছেন মাত্র তিনজন বোলার। বিস্ময়করভাবে শেষ দুজনের সেই কীর্তির তারিখটা কিভাবে যেন মিলে গেছে! ১৮ বছর আগে–পরের দুই ৯ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের অফ স্পিনার পিটার পেথেরিক ও অস্ট্রেলিয়ার পেসার ডেমিয়েন ফ্লেমিংয়ের ওই দুই হ্যাটট্রিক। এই দুজনের আগে টেস্ট অভিষেকে হ্যাটট্রিকের কীর্তিতে প্রায় ৪৬ বছর নিঃসঙ্গ হয়ে ছিলেন ইংল্যান্ডের পেসার মরিস অ্যালম। তাঁর হ্যাটট্রিকটাও ৯ অক্টোবরে হলে একটু বেশিই বাড়াবাড়ি হয়ে যেত। সেজন্যই হয়তো তা হয়নি। অ্যালমের হ্যাটট্রিকটা ১৯৩০ সালের ১০ জানুয়ারি।
টেস্ট অভিষেককে কীভাবে রাঙানোর স্বপ্ন দেখতে পারেন একজন ক্রিকেটার? ব্যাটসম্যান হলে উত্তরটা খুব সহজ—সেঞ্চুরি করে। কিন্তু একজন বোলারের স্বপ্নের অভিষেক? তা ইনিংসে ৫ উইকেট হতে পারে, হয়তো ম্যাচে ১০ উইকেটও। তবে টেস্ট অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করে ফেলা? মনে হয় না কোনো বোলার স্বপ্নেও তা ভাবেন।
প্রথম কারণ তো অবশ্যই এটা যে হ্যাটট্রিক বলেকয়ে হয় না। টেস্ট রেকর্ড ঘাঁটলে দেখবেন, বিখ্যাত অনেক বোলারেরই পরপর ৩ বলে ৩ উইকেট নেওয়ার এই অনির্বচনীয় অনুভূতির সঙ্গে পরিচয় হয়নি। সেখানে টেস্ট অভিষেকেই হ্যাটট্রিকের কথা কীভাবে কারও কল্পনায় আসবে! কিন্তু ক্রিকেট যে কখনো কখনো কল্পনাকে হার মানানো কিছুও উপহার দিয়ে বসে! টেস্ট অভিষেকেই হ্যাটট্রিককেও রাখতে পারেন সেই তালিকায়। এত বছরের টেস্ট ইতিহাস, কত বোলারের অভিষেক হয়েছে এই সময়ে, কিন্তু হ্যাটট্রিক? তা করতে পেরেছেন মাত্র তিনজন।
আরও পড়ুনইমরানকে লিডার বললে ‘এল’টা বড় হাতে লিখুন০৫ অক্টোবর ২০২৫এমন স্মরণীয় একটা সূচনার পরও কারও ক্যারিয়ারই কিন্তু বলার মতো কিছু নয়। মরিস অ্যালম, পিটার পেথেরিক ও ডেমিয়েন ফ্লেমিংয়ের মধ্যে একমাত্র ফ্লেমিংই পেরেছেন টেস্ট সংখ্যাকে দুই অঙ্কে নিয়ে যেতে। ২০ টেস্টে ৭৫ উইকেটকে ভালোই বলতে হয়, কিন্তু হ্যাটট্রিক দিয়ে শুরুর কথা মনে রাখলে? তখন কি মনে হয় না আরও বেশি কিছু হওয়া উচিত ছিল! হয়নি; কারণ, দারুণ এই সুইং বোলারকে একসময় টেস্টের চেয়ে ওয়ানডেতেই বেশি কার্যকর বলে ভাবতে শুরু করেন অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচকেরা। ৮৮টি ওয়ানডেতে ১৩৪ উইকেটে সেটির প্রমাণও আছে।
ফ্লেমিং তা-ও ২০টি টেস্ট খেলেছেন, টেস্ট অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করায় তাঁর দুই পূর্বসূরি মরিস অ্যালম ও পিটার পেথেরিকের ক্যারিয়ার তো ৫ আর ৬ টেস্টেই শেষ। মরিস অ্যালমের কীর্তিটা শুধু হ্যাটট্রিকেই সীমাবদ্ধ নয়। টেস্ট অভিষেকে হ্যাটট্রিকে যেমন তিনি প্রথম, তেমনি টেস্টে ৫ বলে ৪ উইকেট নেওয়ায়ও।এই পরিসংখ্যান থেকে অবশ্য ওয়ানডে বোলার হিসেবে ফ্লেমিংয়ের আসল বিশেষত্বটাই জানার উপায় নেই। জানার উপায় নেই যে তিনি ছিলেন ‘শেষ ওভারের জাদুকর’। স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনা আর নার্ভাসনেস জয় করে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিখ্য্যাত ১৯৯৬ ও ১৯৯৯—পরপর দুই বিশ্বকাপের দুই সেমিফাইনাল।
সতীর্থদের সঙ্গে ফ্লেমিংয়ের উইকেট উদযাপন।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে কৃষক নিহত
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় রেফাজুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার রায়টা পাথরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।
নিহত রেফাজুলের বাড়ি রায়টা পাথরঘাট এলাকায়। তিনি পেশায় কৃষক। মাঝেমধ্যে নদীতে মাছও ধরেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন লালন মণ্ডল (৪৫) নামের আরও এক ব্যক্তি। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পাথরঘাট এলাকায় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন রেফাজুল ও লালন। এ সময় তিন ব্যক্তি তাঁদের কাছে আসেন। তাঁদের হাতে অস্ত্র ছিল। অস্ত্রধারীরা খুব কাছ থেকে তাঁদের উদ্দেশে গুলি ছোড়েন। এতে রেফাজুল বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। লালনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ভেড়ামারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ ছাড়া আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনজনই মুখোশ পরা ছিল। তাদের হাতে কালো গ্লাভসও পরা ছিল। দুজনের হাতে পিস্তল ও একজনের হাতে শটগান ছিল। শটগানের গুলিতে রেফাজুল নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, কেন কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে ডিবিসহ পুলিশ কাজ করছে।