রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা নতুন কর্মসূচি দেবেন কি না জানাবেন আজ
Published: 9th, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা ও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় স্থগিত আন্দোলন আবারও নতুন করে শুরু হবে কি না, তা নির্ধারণে আজ বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। দুর্গাপূজার ছুটির পর উপাচার্যের আহ্বানে শিক্ষক ও অফিসার্স সমিতির সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক চলছে। আজ দুপুরে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতাদের সঙ্গে উপাচার্যের বৈঠক শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আজ আমাদের ডেকেছেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় সভা হওয়ার কথা আছে। দেখি, তিনি কী বলতে চান। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত জানাব।’
আরও পড়ুনসাত দিনের আলটিমেটাম দিয়ে ‘শাটডাউন’ প্রত্যাহার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, অনড় শিক্ষকেরা২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫এই বৈঠকের পর শিক্ষকদের সঙ্গে বসার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স সমিতির সভাপতি মো.
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি। এ কারণে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে সাত কর্মদিবসের মধ্যে দাবি আদায়ের আলটিমেটাম দিয়ে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি স্থগিত করেছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স সমিতি। অন্যদিকে সহ–উপাচার্যসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তির দাবির জানিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করেছিল জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। গত ২৪ সেপ্টেম্বর অফিসার্স সমিতি এবং পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক ফোরাম কর্মসূচি স্থগিত করেছিল।
আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি আপাতত স্থগিত২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫মাঝে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপূজার ছুটি ছিল। ৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসার চেষ্টা করেছে। ওই দিন অফিসার্স সমিতির সঙ্গে বসেন উপাচার্য। সেখানে উপাচার্য রাকসুর আগে আর কোনো কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর ১০ শর্তে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ২০ সেপ্টেম্বর জুবেরী ভবনে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও কর্মকর্তারা পোষ্য কোটা পুনর্বহাল এবং শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তির দাবিতে এক দিনের কর্মবিরতি পালন করেন। তারপর তা অনির্দিষ্টকালের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচিতে রূপ নেয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে জরুরি সিন্ডিকেট সভা হয়। সভায় পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত স্থগিত ও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপরও শিক্ষক-কর্মকর্তারা লাগাতার কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও রাকসু নির্বাচন স্থগিত করতে বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ অক্টোবর।
আরও পড়ুনশিক্ষক-কর্মকর্তা লাঞ্ছনায় জড়িতদের বহিষ্কারসহ পাঁচ দাবি ইউট্যাবের২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত র স প ট ম বর উপ চ র য র র উপ চ র য র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে পাখি শিকারিকে কারাদণ্ড
শেরপুরে বক ও পাখি শিকারের অপরাধে এক ব্যক্তিকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার ধলাকান্দা এলাকায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই শিকারির নাম মো. উকিল মিয়া (১৯)। তিনি সদর উপজেলার চান্দের নগর মৃত সামিদুল মিয়া ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধলাকান্দা গ্রামের নিচু এলাকার ধানক্ষেত ও বিলের ধারে হালা (দেশীয় পাখি ধরার ফাঁদ) দিয়ে দেশীয় বক শিকার চলে আসছিল এবং প্রকাশ্যে বক বিক্রিও হচ্ছিল।
পরে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল থেকে হালা ও ছয়টি বকসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা ঘোষণা করা হয়।
এসময় শেরপুরের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. আব্দুল্লাহ আল আমিনসহ বন বিভাগের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে জনগণকে পাখি শিকার বন্ধে সচেতন করার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, “বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ৬ ধারা লঙ্ঘন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণ পাওয়ায় সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।”
ঢাকা/তারিকুল/এস