জলবায়ু পরিবর্তনের স্থানীয় সমস্যা ও তরুণদের দাবি ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য কপ-৩০ সম্মেলনের বৈশ্বিক মঞ্চে পৌঁছে দিতে খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী এক ফ্ল্যাশমব।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) নগরের গল্লামারী লিনিয়ার পার্কের সামনে এই আয়োজন করে জাগো ফাউন্ডেশন ও টুওয়ার্ডস সাস্টেইনেবিলিটি ইয়ুথ ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানটি জাগো ফাউন্ডেশনের দেশব্যাপী ক্যাম্পেইন ‘ভয়েস অব ক্লাইমেট: আওয়ার ক্লাইমেট, আওয়ার ফিউচার’ এর অংশ।

আরো পড়ুন:

বাবার বিরুদ্ধে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠনের অভিযোগ দুই কন্যার

‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে অধিদপ্তরের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে’

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আচরণগত পরিবর্তনের আহ্বান ও তরুণদের কণ্ঠস্বরকে বৈশ্বিক আলোচনায় যুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে ফ্ল্যাশমবটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় স্থানীয় তরুণরা অভিনব পরিবেশনা, বার্তা ও পোস্টারের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, স্থানীয় সমস্যা এবং সম্ভাব্য সমাধান তুলে ধরেন। আয়োজনটি ব্যাপক সাড়া ফেলে।

টুওয়ার্ডস সাস্টেইনেবিলিটি ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি কারিনা সিদ্দিকা বলেন, “বাংলাদেশের উপকূলীয় ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জলবায়ু সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কণ্ঠস্বর প্রায়ই আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছায় না। এই ফ্ল্যাশমবের উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় বাস্তবতাকে জীবন্তভাবে তুলে ধরা, যাতে বৈশ্বিক নীতিনির্ধারকরা তরুণদের বার্তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন।”

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান নাসিম ও নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী পলি সরকার বলেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সচেতনতা দেশের পরিবেশ আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করবে। এ ধরনের উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে।

দেশের আটটি বিভাগের ১৬টি যুব নেতৃত্বাধীন সংগঠনের সহযোগিতায় ‘ভয়েসেস অব ক্লাইমেট’ ক্যাম্পেইনটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফ্ল্যাশমব ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন ও আচরণগত পরিবর্তন বিষয়ে ১১২টির বেশি শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে।

তরুণদের সম্মিলিত দাবিগুলো সংকলন করে একটি ‘ক্লাইমেট ক্যাপসুল’ তৈরি করা হবে, যা কপ-৩০ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান গিলডান এই ক্যাম্পেইনে সহযোগিতা করছে এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ নলেজ পার্টনার হিসেবে যুক্ত রয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তরুণদের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের পরিবেশ আন্দোলনে নতুন গতি আনবে।

ঢাকা/হাসিব/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ পর ব শ জলব য

এছাড়াও পড়ুন:

সরেজমিনে পাবনার মানসিক হাসপাতাল: ‘অমানবিকতা’র নানা গল্প জমা যেখানে

রোগীর ফাইলে মো. সাইদ হোসেনের বয়স ৬৫ বছর। তাঁর ঠিকানা পাবনার মানসিক হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ড। ৩০ অক্টোবর দুপুরে গিয়ে দেখা গেল, খালি গায়ে শুধু ডায়াপার পরা সাইদ মেঝেতে ময়লা-জীর্ণ তোশকে শুয়ে আছেন। তোশক ও বালিশে কভার নেই। বাঁ হাতটি বাঁকা করে বুকের কাছে ধরে রেখেছেন। মাথার কাছে একটি প্লেটে কিছু ভাত লেগে শুকিয়ে আছে। কিছু ভাত মাথার কাছে তোশকে পড়ে আছে।

১৯৯৬ সালের লালচে হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছিঁড়ে যাওয়া এ হাসপাতালের রোগী ভর্তির ফরমে আবু সাইদের বয়স লেখা ছিল ৩৬ বছর। সেখানে সাইদের বাড়ির ঠিকানা (পাবনা), স্বজনের নাম আছে। তবে এত বছরেও সাইদকে কেউ বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আসেননি। চিকিৎসকদের বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাইদ সুস্থ আছেন বহুদিন ধরে। এর পরও হাসপাতালে থাকার জন্য তিনি একজন রোগী হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছেন।

পাবনার মানসিক হাসপাতালের শয্যায় রোগী

সম্পর্কিত নিবন্ধ