আর্থিক সংকট জয় করে খুদে কারাতেদের হাসি ফিরিয়ে দিলেন ডিসি জাহিদুল
Published: 9th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট কনফেডারেশন আয়োজিত জাতীয় কম্বাত জুজুৎসু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে আর কোনো বাধা থাকলো না নারায়ণগঞ্জ জেলার খুদে খেলোয়াড়দের জন্য। দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সংকটে জর্জরিত বাংলাদেশ সেলফ ডিফেন্স অ্যান্ড স্পোর্টস কারাতে একাডেমির খুদে কারাতেদের অংশগ্রহণ প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও আন্তর্জাতিক কারাতে কোচ আশরাফুল ইসলাম জানান, “একটি ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশনসহ নানা খরচ হয়। আমাদের একাডেমির অনেক শিক্ষার্থী আর্থিকভাবে সক্ষম নয়। কেউ কেউ মাসিক বেতনও দিতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “কোনো উপায় না দেখে আজ বৃহস্পতিবার আমরা কয়েকজন কোচ, খুদে কারাতে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা মিলে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম স্যারের কাছে যাই। সেখানে আমরা আর্থিক সহায়তার আবেদন জমা দিই। স্যার একটুও দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গেই অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।”
রাজধানীর সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আগামী শনিবার ( ১১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিতব্য এই জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ থেকে মোট ২৮ জন খেলোয়াড় অংশ নিচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিল গ্রীন হেরা একাডেমির নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ও খুদে কারাতে খেলোয়াড় ফাইহা বিনতে ফরহাদ আবদিয়া এবং তার মা রিফাত সুলতানা।
ডিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে টেলিফোনে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার সময় আবদিয়া জানায়, “ডিসি আংকেল আমাকে অনেক আদর করেছেন। খেলাধুলার পাশাপাশি ভালোভাবে পড়াশোনা করার পরামর্শ দিয়েছেন।”
তার মা রিফাত সুলতানা বলেন, “ডিসি স্যারের ব্যবহার অত্যন্ত ভালো। তিনি বাচ্চাদের খুব পছন্দ করেন এবং খেলাধুলার প্রতি তার অনেক আগ্রহ আছে। এর আগেও যখন নারায়ণগঞ্জ জেলার খুদে কারাতেরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মেডেল জিতেছিল, তখন ডিসি অফিসের হলরুমে তাদের দাওয়াত দিয়ে সার্টিফিকেট ও মিষ্টি দিয়ে উৎসাহিত করেছিলেন।”
তিনি আরও যোগ করেন, “তখন ডিসি স্যার বলেছিলেন—‘আমি যদি আগে জানতাম, তাহলে তোমাদের জন্য আরও কিছু করতাম। শুধু সার্টিফিকেট দিয়ে আমার মন ভরছে না।’”
বাংলাদেশ সেলফ ডিফেন্স অ্যান্ড স্পোর্টস কারাতে একাডেমির নারী কোচ ও ব্ল্যাক বেল্টধারী রোকেয়া জাহান মীমও জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলামের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
তিনি বলেন, “আজ আমাদের অফিসে ডেকে আপ্যায়ন করেছেন, সবার সঙ্গে ছবি তুলেছেন। আগেও ভালো খেলায় অংশগ্রহণের জন্য আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। ডিসি স্যার বলেছেন, আমরা যখন পদক নিয়ে আসি, সেটা পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলার সম্মান।”
রোকেয়া জাহান মীম আরও জানান, “স্যার আমাদের আগামী প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফলের জন্য অনেক পরামর্শ দিয়েছেন এবং খেলাধুলার যেকোনো প্রয়োজনে সরাসরি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন।”
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ এক ড ম র র জন য আর থ ক
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার
তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের কবি, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক কবির সোহেলের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় করা মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মারধরে আহত কিশোরের বড় ভাই অভিযোগের বাদি সোয়াইব হোসেন সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের কবির সোহেলের পেইজে আপলোডের সত্যতা না পেয়ে অভিযোগটি প্রত্যাহার করেন।
এলাকাবাসী জানান, কয়েকজন কিশোর শুক্রবার বন্দরের বক্তারকান্দি এলাকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে বন্দরের বক্তারকান্দি এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের ছেলে সায়েম(২০) নামের এক যুবক রক্তাক্ত জখম হয়। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। পরে বন্দর প্রেস নামের একটি ফেইসবুক পেইজে ভিডিওটি আপলোড করা হয়। এতে ক্ষূব্দ হয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা কবির সোহেলকে নানা হুমকি দেয়। পরে তাকে অভিযুক্ত করে বন্দর থানায় মানহানির অভিযোগ দায়ের করে।
এ ব্যাপারে কবি, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক কবির সোহেল জানান, বন্দর প্রেস নামের যে ফেইসবুক পেইজে সংঘর্ষের ভিডিও আপলোড করা হয়েছে পেইজটি তার নয়। এই পেইজের অ্যাডমিনও তিনি নন। তিনি সংঘর্ষের কোন ভিডিও পোস্ট দেননি।
কোন যাচাই বাছাই ছাড়াই তাকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যার ফলে সামাজিকভাবে তিনি হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন এবং তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
কবির সোহেল জানান, তিনি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে কাব্য সাধনায় ব্যস্ত। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশ বন্দর উপজেলা শাখার সভাপতি, বন্দর নাগরিক কমিটির (বনাক) সাধারণ সম্পাদক , জাতীয় কবি সংগঠন অনুপ্রাস নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকটি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি সামাজিক উন্নয়নে নানা কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু একটি কুচক্রিমহল তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।