১৬ মাসে কুরআনের হাফেজ হলো ১১ বছর বয়সি শিহাব
Published: 9th, October 2025 GMT
পঞ্চগড়ে মাত্র ১৬ মাসে পবিত্র কুরআনুল কারিম মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করেছে শাহরিয়া প্রধান শিহাব নামে ১১ বছর বয়সি এক কিশোর। তার এই অর্জনে সংবর্ধনা দিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে এ উপলক্ষে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের সাহেববাজার এলাকার হলি কুরআন নুরানী কিন্ডারগার্টেন মা্দরাসায় অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে তাকে দেওয়া হয় রাজকীয় বিদায়।
শিহাব ওই ইউনিয়নের নালাগছ গ্রামের মনিরুজ্জামান প্রধানের ছেলে।
মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের জুন মাসে শিহাব ওই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। নিয়মিত পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও শিক্ষকদের যত্নে মাত্র ১৬ মাসের মধ্যেই সে পবিত্র কুরআনের ৩০ পারা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়। তার এই অসাধারণ সাফল্যে শিক্ষক, সহপাঠী ও অভিভাবক সবাই মুগ্ধ ও গর্বিত। অনুষ্ঠানে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
পরে এক সুসজ্জিত মাইক্রোবাসে তাকে বসিয়ে মোটরসাইকেল বহরের মধ্য দিয়ে রাজকীয় সম্মানে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে শিহাব বলেন, “আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষকরা অনেক যত্নসহকারে পড়ান। তাদের আন্তরিকতার কারণেই আমি এত অল্প সময়ে কুরআনের হাফেজ হতে পেরেছি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আমি বড় হয়ে একজন আলেম হতে চাই।”
তার বাবা মনিরুজ্জামান প্রধান বলেন, “এই মাদ্রাসার পরিবেশ খুবই ভালো। অল্প সময়ের মধ্যে আমার ছেলে ৩০ পারা কুরআনের হাফেজ হয়েছে। এটা আমাদের পরিবারের জন্য গর্বের। আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি এবং সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি, যেন সে বড় হয়ে একজন খাঁটি আলেম হতে পারে।”
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো.
ঢাকা/নাঈম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রআন র হ ফ জ ১৬ ম স
এছাড়াও পড়ুন:
ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১০ জনের মৃত্যু
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরো কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দেশটির এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর আলজাজিরার।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) জানায়, সোমবার থেকে উত্তর সুমাত্রা প্রদেশে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে নদীগুলো উপচে পড়েছে। যার ফলে ছয়টি এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
জাতীয় পুলিশ বুধবার জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, মারাত্মক ঢাল ও অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধারকারী দল বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় শহর সিবোলগায় পাঁচজনের মরদেহ এবং তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এই এলাকায় অন্তত চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।
পার্শ্ববর্তী সেন্ট্রাল তাপানুলি শহরে ভূমিধসে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে, একই পরিবারের কমপক্ষে চারজন সদস্য নিহত হয়েছেন। শহরটিতে বন্যায় প্রায় দুই হাজার বাড়ি ও সরকারি ভবন ডুবে গেছে।
বন্যা এবং গাছ ভেঙে পড়ায় দক্ষিণ তাপানুলিতে একজন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে এবং অন্য একজন আহত হয়েছেন।
মান্ডাইলিং নাটাল জেলায় একটি সেতু ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ও ৪৭০টি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
নিয়াস দ্বীপে, উদ্ধারকারীরা জানান, ভূমিধসের কারণে বেশ কয়েকটি গ্রামের সঙ্গে সংযোগকারী প্রধান সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত চলা বর্ষা মৌসুমে সাধারণত প্রবল বৃষ্টিপাত হয়, যা ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা এবং পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
চলতি মাসেই মধ্য জাভায় আরেকটি ভয়াবহ ভূমিধসে কমপক্ষে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৩ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ