‘ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায়’ খাবারের দাম কমানোর দাবি ছাত্রফ্রন্টের
Published: 13th, October 2025 GMT
‘ডাকসু ক্যাফেটেরিয়া’ বলে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবন ক্যাফেটেরিয়াতে ২০ টাকার খাবারের (তেহারি/খিঁচুড়ি) সঙ্গে মেনুতে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন তিনটি প্যাকেজ যুক্ত করা হয়েছে। ভর্তুকি দিয়ে এসব প্যাকেজগুলোর দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
প্যাকেজগুলো হচ্ছে ভাত-সবজি-মুরগীর মাংস-ডাল (৫৫ টাকা), ভাত-সবজি-ডিম-ডাল (৪০ টাকা) এবং ভাত-সবজি-ডাল (২৫ টাকা)।
আরো পড়ুন:
৫ দাবিতে দুই দিনের নতুন কর্মসূচি জামায়াতের
চাকসু নির্বাচন: ১১৬২ মনোনয়নপত্র বিতরণ
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোজাম্মেল হক ও আকাশ আলী এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই কলা ভবন এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের খাবারের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ক্লাসের ফাঁকে দুপুরে আশেপাশে কোথাও ভালো খাবার পাওয়া যায় না। অনাবাসিক নারী শিক্ষার্থীরা আরো বেশি সমস্যায় পড়েন। কারণ হলের ক্যান্টিনগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের ঢোকার সুযোগ নেই। কলাভবন ক্যাফেটেরিয়ার ২০ টাকায় যে খাবার দেওয়া হয়, এর পরিমাণ খুবই অল্প। এটা খেয়ে একবেলা কাটানো কষ্টসাধ্য। খাবারের এই নতুন তিনটি আইটেম যুক্ত করাটা নিঃসন্দেহে দরকারি উদ্যোগ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল– ভর্তুকি দিয়ে সুলভ মূল্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। সম্প্রতি তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে অনেকটা মানসম্মত খাবার নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু সুলভ মূল্য নিশ্চিত করা হয়নি। এতে ভর্তুকি দেওয়া হয়নি। এর থেকে কম দামে প্রায় কাছাকাছি মানের খাবার হলের ইজারাভিত্তিক ক্যান্টিন বা দোকানেও পাওয়া যায়।
এই ক্যাফেটেরিয়াটি তো প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এখানে রুম ভাড়া, কর্মচারীর বেতন ইত্যাদি আনুষঙ্গিক খরচ বিশ্ববিদ্যালয়ই বহন করে। ইজারাদার লাভ করেন, ব্যবসা করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো আর ব্যবসায়ী নন, তাদের লাভ করার প্রশ্ন আসে না। প্রশাসনের পক্ষে, ভর্তুকি নিশ্চিত করে কম দামে এই খাবারের ব্যবস্থা করা সম্ভব। ২০ টাকা দামের খাবারের পরিমাণ যেহেতু খুবই অল্প, তাই নতুন প্যাকেজের খাবার স্থায়ীভাবে পরিবেশিত হলে ধীরে ধীরে এই বেশি দামের খাবার খেতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বাধ্য হবে।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরো যুক্ত করেন, শিক্ষার্থীদের অনেকেই টিউশন করে পড়াশোনার খরচ যোগাড় করেন। শিক্ষার আনুষঙ্গিক খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বর্ধিত খরচ বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে। এর ওপর খাবারের খরচ বাড়লে তা শিক্ষার্থীদের জন্যে নতুন ভোগান্তি সৃষ্টি করবে।
প্রশাসনের প্রতি আহ্বান– কলা ভবন ক্যাফেটেরিয়াতে পরীক্ষামূলকভাবে চলমান খাবারে ভর্তুকি দিয়ে সুলভ মূল্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবারের ব্যবস্থা করুন। শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাই– আপনারা এই যৌক্তিক দাবিতে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য র ব যবস ভর ত ক পর ম ণ
এছাড়াও পড়ুন:
স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
দেশের বাজারে আবারো স্বর্ণ ও রুপার দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এবার প্রতি ভরি স্বর্ণে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৬১৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
দাম বাড়ানোর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেট এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকায়। সোমবার (১৩ অক্টোবর) প্রতি ভরি স্বর্ণ ২ লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা বেচাকেনা হয়েছে। নতুন দাম ১৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে বেড়েছে গাছ আলুর আবাদ
ঠাকুরগাঁওয়ে সবজির দাম চড়া, মরিচে স্বস্তি
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) ও রুপার মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণ ও রুপার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা।
এবার স্বর্ণের দামের সঙ্গে রূপার দামও বেড়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ৬ হাজার ২০৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপা ৫ হাজার ৯১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৫ হাজার ৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ৩ হাজার ৮০৩ টাকা।
ঢাকা/নাজমুল/মেহেদী