অভিজ্ঞতায় সৌম্য দলে, মাহিদুলকে নিয়ে ২০২৭ বিশ্বকাপের ভাবনা
Published: 16th, October 2025 GMT
সৌম্য সরকার আবার জাতীয় দলে ডাক পেলেন। এই নিয়ে কতবার তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হলো, আর তিনি কতবারই বা এলেন তা হয়তো নিজেও ভুলে গেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য তাকে নেওয়া হয়েছে। স্কোয়াডে লিটন নেই। অভিজ্ঞতায় সৌম্য এগিয়ে। তাই তাকে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রথমবার ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এক টেস্ট খেলা মাহিদুলকে নিয়ে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত স্বপ্ন দেখছেন নির্বাচকরা। তাকে পর্যায়ক্রমে তৈরি করা হবে বলে জানালেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সৌম্যর যাওয়ার কথা সংযুক্ত আরব আমিরাত। যেতে পারেননি ভিসা জটিলতায়। খেলেছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে। যেখানে ফাইনাল ম্যাচে চরম বাজে ব্যাটিংয়ে রান করেছেন ২২ বলে ৮। আউটের ধরণ দেখলে তাকে নিয়ে নির্বাচকরা দ্বিতীয়বার ভাবনার কারণ নেই। অথচ তাকেই কিনা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে ফেরানো হলো।
আরো পড়ুন:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে রশিদের মতো স্পিনার না থাকা স্বস্তিদায়ক: লিপু
অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৯ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
কারণ জানাতে গিয়ে গাজী আশরাফ বলেছেন, ‘‘সাইফ হাসান তার কাজটা করে দিচ্ছে। তাকে আরও আরেকটু বেটার করতে হবে, তার ইনিংসটা লম্বা করতে হবে। তার পাশাপাশি আমরা সেই জায়গাতে আপনারা দেখেছেন সৌম্য সরকারকে ফেরত নিয়ে এসেছি। তিনি অনেক অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়। প্রায় ৮০টার মতো (আসলে ৭৬) ওডিআই খেলে ফেলেছেন। প্রায় ১০ বছর ধরে খেলছেন এবং গত বছরের শেষে নভেম্বরের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই তার ব্যাটিংয়ে যথেষ্ট সফলতা আছে এবং সেই দলটার সঙ্গে আমরা খেলছি। লিটন দাস যেহেতু নেই দলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে আমরা সেখানে নিয়ে এসেছি সৌম্য সরকারকে।’’
নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সৌম্য। এরপর এই বছর এক ওয়ানডেতে দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হন। এরপর তেমন কোথাও রান পাননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবুও অভিজ্ঞতা বিবেচনায় তাকে নেওয়া হলে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক টেস্ট খেলেছেন মাহিদুল। তাকে প্রথমবার নেওয়া হয়েছে ওয়ানডে দলে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে মাহিদুল খেলেছেন ৯৬ ম্যাচ। ৪ সেঞ্চুরি ও ২৮ ফিফটিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার রান করেছেন। গড়টাও সুন্দর, ৪৪.
তার থেকে বড় আশা গাজী আশরাফের, ‘‘আমরা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে এনেছি। আমরা ২০২৭-এ পরবর্তী বিশ্বকাপটাও ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলবো। সাম্ভাব্য তালিকাটা বৃদ্ধি করার জন্য যারা প্রতিযোগী থাকবে তার মধ্যে মাহিদুলের নাম আসবে। বেশ উজ্জ্বল। তাকে এনে এই ব্যাটিংয়ের গভীরতা বাড়ানো হয়েছে। ওখানে যারা ব্যাটিং খুব একটা ভালো করতে পারেনি, এক দুজনকে কিছু ম্যাচের জন্য ব্রেক আমরা দিতে পারবো। সেই সুযোগটাও এখানে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে মাহিদুলকে নিয়ে। আমরা আমাদের মূল মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান থেকে কাউকেই উপেক্ষিত রাখিনি।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এক আর্জেন্টাইনের হ্যাটট্রিকে মেসিদের বড় জয়, প্রথমবার কাপ ফাইনালে ইন্টার মায়ামি
ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। আজ প্লে-অফের ইস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে নিউইয়র্ক সিটি এফসিকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লিওনেল মেসির দল।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ লিগে ৩০টি দল ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে ভাগ হয়ে খেলে। দুই অংশের চ্যাম্পিয়নরা খেলে এমএলএস কাপ ফাইনাল। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মায়ামি এর আগে তিনবার প্লে-অফে খেললেও কনফারেন্স সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি। এবার সেমি ও ফাইনাল জিতে নাম লিখিয়েছে কাপ ফাইনালেই।
চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আজকের কনফারেন্স ফাইনালে মায়ামি জিতেছে তাদেও আলেন্দের নৈপুণ্যে। ২৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন হ্যাটট্রিক করেছেন। একটি গোল করেছেন আরেক আর্জেন্টাইন মাতেও সিলভেত্তি। অন্য গোলটি তালেসকো সেগোভিয়ার। মেসি তাঁর রোজারিওর ছেলে সিলভেত্তির গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন।
আর্জেন্টাইনময় ম্যাচটিতে আলেন্দে মায়ামিকে এগিয়ে দেন ১৪তম মিনিটে। এই গোলে অ্যাসিস্ট ছিল আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের। ২৪তম মিনিটে আলেন্দে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন হেডে, তাঁকে বক্সে দুর্দান্ত এক ক্রস দেন জর্দি আলবা। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে নিউইয়র্ক সিটির জাস্টিন হাক এক গোল শোধ করে দিলে মায়ামি বিরতিতে যায় ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে।
৬৭তম মিনিটে মেসি বক্সের মধ্যে ঘেরাওয়ে পড়লে বল বাড়ান ফাঁকায় থাকা সিলভেত্তির দিকে। ১৯ বছর বয়সী এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বল জালে জালে পাঠাতে ভুল করেননি। মায়ামি জয়ের বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত হয় ৮৩তম মিনিটে।
এ সময় বক্সের ভেতর আলবার ব্যাক পাস পেয়ে সেগোভিয়া গোল করে ব্যবধান ৪-১ করে ফেলেন। ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে ইয়ানিক ব্রাইটের সহায়তায় নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন আলেন্দে। মায়ামি মাঠ ছাড়ে ৫-১ গোলের বড় জয় নিয়ে।
আগামী ৬ ডিসেম্বর এমএলএস কাপ ফাইনালে মায়ামি খেলবে ওয়েস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে সান ডিয়েগো ও ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের মধ্যকার জয়ী দলের বিপক্ষে।