সিদ্ধিরগঞ্জে আল-হেরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল পরিদর্শনে এসে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী গ্রেটার এসোসিয়েশন অব মিশিগান’র সাধারণ সম্পাদক ও রশিদ রফিয়া ফাউণ্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু বলেছেন, শিশুদেরকে নৈতিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে তুলতে হবে। সেজন্য বাবা-মায়ের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিশুদেরকে মানবিকতা ও গুড ম্যানার (ভালো আচরণ) শেখাতে হবে।

সোমবার সকালে ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-হেরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আয়োজিত ক্লাস পার্টি ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আল-হেরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল পরিদর্শন করে ও শিক্ষার্থীদের পারফরমেন্স দেখে আমার কাছে অতুলনীয় মনে হয়েছে। অভিভাবক সমাবেশে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেক হায়াত কামনায় দোয়া করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়।

স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের রূপকার সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অভিভাবক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বাংলার হেড অব আইটি ইঞ্জিনিয়ার সাইদুল ইসলাম মিঠু, পূর্ব সাহেবপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি ও স্কুলটির উপদেষ্টা মোবারক হোসেন খান, নিরিবিলি কমপ্লেক্স এর চেয়ারম্যান  ও স্কুলের উপদেষ্টা সহিদুল হক খান ঝন্টু, বি.

ট্রান্সপোর্টের চেয়ারম্যান মো. বেল্লাল হোসেন, স্কুলের উপদেষ্টা ফরহাদ হোসেন ভুইয়া ও আনসার আলী মাস্টার প্রমুখ।

বিশেষ অতিথি দৈনিক বাংলার হেড অব আইটি ইঞ্জিনিয়ার সাইদুল ইসলাম মিঠু বলেন, শিক্ষকের পাশাাপাশি সন্তানের সোনালী ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বাবা মায়ের ভূমিকা অত্যধিক। আজকে যারা সচেতন বাবা মা হিসেবে সন্তানকে মানুষ করার জন্য চেষ্টা করবেন, তারাই কাল প্রতিষ্ঠিত ও সুসন্তানের মা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে পারবেন। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যয়টা খরচ নয়, ইনভেস্টমেন্ট। সন্তান মানুষ হলে, প্রতিষ্ঠিত হলে এখান থেকে বড় অংকের আউটপুট আসবে।

বিশেষ অতিথি স্কুলটির উপদেষ্টা মোবারক হোসেন খান বলেন, স্কুলটিতে মানসম্মত পাঠদানের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় এক্সট্রা কারিকুলাম একটিভিটিজ চলমান আছে, যা দেখে আমরা মহল্লাবাসী মুগ্ধ ও উদ্বুদ্ধ।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এককালের মেধাবী ছাত্র ও স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা আবদুল অদুদ সাহেব তার সৃজনশীলতা ও জ্ঞান-প্রজ্ঞা দিয়ে স্কুলটিকে অত্যন্ত সফলভাবে পরিচালনা করছেন। ফলে আল-হেরা’র অনেক শিক্ষার্থী ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার ও বিসিএস ক্যাডার হয়েছে।

নিরিবিলি কমপ্লেক্স এর চেয়ারম্যান ও স্কুলের উপদেষ্টা সহিদুল হক খান ঝন্টু বলেন, আমার দেখায় আল-হেরা এই এলাকার সবচেয়ে ভালো স্কুল।আমি দেথি, এখানে মায়ের আদরে শিশুরা পাঠ গ্রহণ করে। প্রতিদিন চমৎকারভাবে এসেম্বলি হয়।

শিক্ষকরা খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়ান। সেজন্য স্কুলটিতে দেখি কদিন পর পর দেশবরেণ্য ব্যক্তিরা আসেন। এই স্কুলের সুনাম দেশের মাটি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

স্কুলের উপদেষ্টা ফরহাদ হোসেন ভুইয়া মানসম্মত পাঠদানে আল-হেরা অনন্য উল্লেখ করে বলেন, এই স্কুলে আমার সন্তানরা পড়েছে। স্কুলটির সিলেবাস অত্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সার্বক্ষণিক সময় দেন বলে বাচ্চাদের পারফরমেন্স এত চমৎকার। আমি অভিভূত। আশা করি স্কুলটি দিন দিন আরও সুনাম অর্জন করে এগিয়ে যাবে।

স্কুলের উপদেষ্টা আনসার আলী মাস্টার আমেরিকা থেকে আগত আরিফুর রহমানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, স্কুলটির মূল ব্যক্তি আমাদের আবদুল অদুদ ভাই সংস্কৃতিমনা একজন ভালো মানুষ। তিনি একজন ভাষাসৈনিক সন্তান।

সব বিষয়ে তার পারদর্শিতা আমাদের চোখে পড়েছে। স্কুলের পড়া স্কুলে সম্পন্ন করার তার যে পরিকল্পনা, সেটা বাস্তবায়িত হলে আল-হেরা’ দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্কুলটির শিফট ইনচার্জ সাকিনা আক্তার (বাংলা) ও শাম্মী আকতার (ইংরেজি), অনুষ্ঠান কনভেনর রাবেয়া আকতার, সহকারী শিক্ষক জাকিয়া ফারহানা সিমু, ফারজানা আকতার ও আনজারা রহমান প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথিসহ অতিথিদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা দেয়া হয় এবং কিউট বেবী কম্পিটিশনে বিজয়ী প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী, সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে স্কুলের পক্ষ থেকে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

পরে অতিথিদের উপস্থিতিতে কেক কেটে ক্লাস পার্টি উদ্বোধন করে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, অথ, জাতীয় সংগীত, ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল চোখে পড়ার মতো।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ক ল র উপদ ষ ট আল হ র সন ত ন রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ধরন বুঝে কেন টিভি কেনা জরুরি

ঘরে আর যা-ই থাকুক না কেন, একটি টেলিভিশন না থাকলে কি চলে? যতই আমরা আজকাল মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপে সিরিজ বা সিনেমা উপভোগ করি না কেন, টিভি দেখার ব্যাপারটিই যেন ভিন্ন। আয়োজন আর আয়েশ করে কিছু দেখতে গেলে টিভির কোনো জুড়ি নেই বললেই চলে।

তবে টিভি কিন্তু এখন আর একমুখী কোনো যন্ত্র নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি হয়ে উঠেছে একেবারে স্মার্ট, মাল্টি-ফাংশনাল ও ইন্টারঅ্যাকটিভ। তাই টিভি কেনার সময় শুধু ব্র্যান্ড বা দাম নয়, খেয়াল রাখতে হবে চাহিদা, ফিচার, প্রযুক্তি ও পারফরম্যান্সের সঠিক ভারসাম্য।

বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের টিভি—এলইডি, কিউএলইডি, মিনি-এলইডি ও ওএলইডি। এ ছাড়া আধুনিক স্মার্ট টিভিতে যুক্ত হয়েছে এআই প্রসেসিং, ভয়েস কন্ট্রোল, স্মার্ট হাব ও গেমিং ফিচারের মতো বৈশিষ্ট্য। তাই টিভি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা জরুরি।

স্ক্রিন প্রযুক্তি

স্ক্রিনের ওপর ভিত্তি করে এখন বিভিন্ন ধরনের টিভি পাওয়া যায়—এইচডি/এফএইচডি, ইউএইচডি, কিউএলইডি, ওএলইডি ও নিও কিউএলইডি এইটকে। এফএইচডি ও ইউএইচডি টিভি হলো সবচেয়ে প্রচলিত ও বাজেট-বান্ধব অপশন। এতে লাইট এমিটিং ডায়োড ব্যাকলাইট হিসেবে কাজ করে, ফলে বিদ্যুৎ খরচ কম হয় এবং স্ক্রিনের আয়ুষ্কাল তুলনামূলক বেশি থাকে। খবর, টক শো, সিনেমা বা দৈনন্দিন সিরিজ দেখার জন্য এটি যথেষ্ট ভালো। তবে কালার ও নিখুঁত কনট্রাস্টের দিক থেকে এলইডি কিছুটা পিছিয়ে।

আর কিউএলইডি টিভি কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তিভিত্তিক। এর ফলে এই টিভিগুলোতে ছবির উজ্জ্বলতা ও পারফরম্যান্স অনেক উন্নত। এতে যেকোনো আলোতেই টিভি দেখা যায় স্বাচ্ছন্দ্যে। এ ছাড়া স্পোর্টস, গেমিং ও অ্যানিমেটেড সিনেমা উপভোগের জন্যও কিউএলইডি হতে পারে আদর্শ বিকল্প।

ওএলইডি টিভি এক ধাপ উন্নত। এখানে প্রতিটি পিক্সেল নিজেই আলো দেয়, তাই ব্ল্যাক লেভেল থাকে গভীর এবং কালার ও ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল হয় অসাধারণ। সিনেমাটিক এক্সপেরিয়েন্স, গেমিং বা গ্রাফিক্সভিত্তিক কনটেন্ট দেখার জন্য ওএলইডি টিভি সেরা। তবে এর দাম তুলনামূলক বেশি।

স্ক্রিন সাইজ, সাউন্ড ও রেজল্যুশন

টিভির আকার বাছাই করার সময় ঘরের আয়তন ও দেখার দূরত্ব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ছোট রুমের জন্য ৩২ থেকে ৪৩ ইঞ্চির টিভি যথেষ্ট, যেখানে বড় ড্রয়িংরুমের জন্য ৫৫ থেকে ৮৫ ইঞ্চি বেশি উপযুক্ত। এখানে রেজল্যুশনের পাশাপাশি ব্যবহারকারীর পছন্দও বড় ভূমিকা রাখে।

এইচডি টিভিগুলো এখন অনেক পুরোনো ধরা হয়, তবে ফুল এইচডি এখনো ভালো মানের ভিউ দেয়। কিন্তু ফোরকে টিভিই এখন মূলধারায় রয়েছে। এতে ছবির ডিটেইল ও শার্পনেস অনেক বেশি। তবে ভালো ছবি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ভালো সাউন্ডও।

টিভির বিল্ট-ইন স্পিকারে যদি ডলবি অ্যাটমস বা ডিটিএস এক্স সাপোর্ট থাকে, তাহলে সাউন্ড হয় আরও ইমার্সিভ। তবে বড় ঘরে সিনেমা হলের মতো এক্সপেরিয়েন্স পেতে সাউন্ডবার বা হোম থিয়েটার সিস্টেম যুক্ত করা যেতে পারে।

প্রযুক্তির জন্য স্যামসাংয়ের টিভিগুলোতে ভিউইং এক্সপেরিয়েন্স অনেক বেশি আরামদায়ক ও স্বস্তিকর

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাহিদুল নাকি শামীম?
  • শামীমকে নিয়ে, ‘নো কমেন্টস’
  • ধরন বুঝে কেন টিভি কেনা জরুরি
  • ৫২ ম্যাচে ১৪৫ গোল, বার্সেলোনা একাডেমির ১২ বছর বয়সী বিস্ময়বালকের সঙ্গে চুক্তি নাইকির