রাজনৈতিক নেতাদের ভুল ও সমন্বয়ের অভাবে ৫ মে গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নিতে পারেনি: মঞ্জু
Published: 18th, October 2025 GMT
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের মহাসমাবেশ গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নিতে পারত কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের ভুল, অদূরদর্শিতা ও সমন্বয়ের অভাবে তা সফল হয়নি।’
আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। সেখানেই মজিবুর রহমান মঞ্জু এ কথা বলেন।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৩ সালে আলেম সমাজের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজস্ব খরচে লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় সমবেত হয়েছিল। সেদিন হাসিনার মসনদ কেঁপে উঠেছিল কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বয়হীনতা ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই সেটা গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নিতে পারেনি। নাহয় সেদিনই ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতে পারত।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, শাপলা চত্বরের ঘটনার পরে অনেক মিডিয়া কর্মীকে চাকরি হারাতে হয়েছে, অনেককে আত্মগোপনে চলে যেতে হয়েছে। সেদিন শহীদ পরিবারের সদস্যরাও পরিচয় দিতে ভয় পেতেন, কারণ পুলিশ গিয়ে তাঁদের হুমকি দিত।
খুনিদের বিচারের দাবি জানিয়ে এবি পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, বিচার সম্পন্ন করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সাক্ষ্য দেওয়া। তিনি ন্যায়বিচারের জন্য সবাইকে এগিয়ে এসে সাক্ষ্য দেওয়ার এবং দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হাসান।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকসহ জাতীয় নেতারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান শেষে নিহত ব্যক্তিদের প্রতিটি পরিবারের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অনিবন্ধিত এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন কিংবা ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সনদ ছাড়া ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে সরকার। আগামী ৬ নভেম্বর মধ্যেই নিবন্ধন আবেদন দাখিল করতে হবে। এরপরে লাইসেন্স ছাড়া কার্যক্রম চালালে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে আটাবসহ সংশ্লিষ্টদের চিটি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে দেশে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন বা ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সনদ ছাড়া ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার ফলে আকাশপথে পরিবহন সংক্রান্ত অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি ও প্রতারণা সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইতঃপূর্বে মন্ত্রণালয় হতে বিভিন্ন সময়ে অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সিসমূহকে আইন ও বিধি অনুযায়ী নিবন্ধনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলেও যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩, বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০২১ এবং বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী নিবন্ধন সনদ গ্রহণ ছাড়া এবং মেয়াদোত্তীর্ণ নিবন্ধন সনদ নবায়ন ছাড়া ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনা করা আইনের লঙ্ঘন ও অপরাধ।
এ অবতাবস্থায়, অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনাকারী সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (www.regtravelagency.gov.bd) আগামী ৬ নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন আবেদন দাখিল করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
নির্ধারিত তারিখ অতিক্রান্তের পর নিবন্ধন ছাড়া কোনো ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা পরিচালনা করলে বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩, বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০২১, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এবং মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ অনুযায়ী কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি