আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের মহাসমাবেশ গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নিতে পারত কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের ভুল, অদূরদর্শিতা ও সমন্বয়ের অভাবে তা সফল হয়নি।’

আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। সেখানেই মজিবুর রহমান মঞ্জু এ কথা বলেন।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৩ সালে আলেম সমাজের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজস্ব খরচে লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় সমবেত হয়েছিল। সেদিন হাসিনার মসনদ কেঁপে উঠেছিল কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বয়হীনতা ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই সেটা গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নিতে পারেনি। নাহয় সেদিনই ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতে পারত।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, শাপলা চত্বরের ঘটনার পরে অনেক মিডিয়া কর্মীকে চাকরি হারাতে হয়েছে, অনেককে আত্মগোপনে চলে যেতে হয়েছে। সেদিন শহীদ পরিবারের সদস্যরাও পরিচয় দিতে ভয় পেতেন, কারণ পুলিশ গিয়ে তাঁদের হুমকি দিত।

খুনিদের বিচারের দাবি জানিয়ে এবি পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, বিচার সম্পন্ন করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সাক্ষ্য দেওয়া। তিনি ন্যায়বিচারের জন্য সবাইকে এগিয়ে এসে সাক্ষ্য দেওয়ার এবং দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হাসান।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকসহ জাতীয় নেতারা অনুষ্ঠানে বক্তব‍্য দেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান শেষে নিহত ব্যক্তিদের প্রতিটি পরিবারের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ালেন ম্যাক্সওয়েলও

দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে শেষপর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এক আবেগঘন বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, আইপিএল ২০২৬ নিলামে তিনি নিজের নাম রাখেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সেই দীর্ঘ পোস্টে ম্যাক্সওয়েল লিখেছেন, আইপিএল তাকে বদলে দিয়েছে ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেও।’

প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটারদের একজন ছিলেন তিনি। কিন্তু পাঞ্জাব কিংস তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর এ বছর নিলামে নাম তালিকাভূক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার।

আরো পড়ুন:

শেষ ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে তিন পরিবর্তন

মেঘ বর্ষণের পর ক্রাইস্টচার্চে উইকেট বৃষ্টি

ম্যাক্সওয়েল লিখেছেন, “আইপিএলে এত বছর অবিস্মরণীয় সময় কাটানোর পর এ বছর নিলামে না ওঠার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লিগটি আমাকে যে সম্মান, ভালোবাসা আর অভিজ্ঞতা দিয়েছে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”

তিনি আরও যোগ করেছেন, “আইপিএল আমাকে গড়ে তুলেছে। অসাধারণ সব সতীর্থ পেয়েছি, দুর্দান্ত সব ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছি, আর এমন সব দর্শকের সামনে খেলেছি যাদের আবেগের তুলনা নেই। ভারতের স্মৃতি, চ্যালেঞ্জ আর উন্মাদনা সারাজীবন থেকে যাবে।”

শেষে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ম্যাক্সওয়েলের বার্তা, “এত বছর পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আশা করছি আবারও কোথাও দেখা হবে।”

এর আগে ফাফ ডু প্লেসিস ও মঈন আলির মতো বড় নামও আইপিএল ২০২৬ মিনি নিলামে না ওঠার ঘোষণা দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় ম্যাক্সওয়েল কি তাদের পথ ধরে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৬ মৌসুমে নাম লেখান কি না।

আইপিএলে ১৪১ ম্যাচে ২,৮১৯ রান করেছেন ম্যাক্সওয়েল।  স্ট্রাইক রেট ১৫৫ এরও বেশি। সবচেয়ে বেশি খেলেছেন পাঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে। পাশাপাশি অল্প সময়ের জন্য মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়েও খেলেছেন তিনি।

তবে আইপিএলে তার ক্যারিয়ার ছিল উত্থান-পতনে ভরা। একদিকে বিস্ময়কর সব পারফরম্যান্স, অন্যদিকে অনেক মৌসুমেই হতাশা। একমাত্র আইপিএল শিরোপা জিতেছিলেন ২০১৩ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে, তাও মূল স্কোয়াডে খুব বেশি সুযোগ না পেয়ে।

আইপিএল ২০২৫-এ পাঞ্জাব কিংস ৪.২ কোটি রুপিতে তাকে দলে নিলেও চোটে ভরা এক অনুজ্জ্বল মৌসুম শেষে তাকে আর ধরে রাখেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

অর্থমূল্যে আইপিএলের অন্যতম ‘হট প্রপার্টি’ ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তার সবচেয়ে বড় চুক্তি ছিল ২০২১ সালে। সেবার আরসিবি তাকে কিনেছিল ১৪.২৫ কোটি রুপিতে। ২০১৩ সালের নিলামেও তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ মূল্য পাওয়া খেলোয়াড়, যখন মুম্বাই তাকে দলে ভেড়ায়।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ালেন ম্যাক্সওয়েলও