২০০ বছর পর বন্ধ হচ্ছে ‘বেকার অ্যান্ড টেইলর’
Published: 18th, October 2025 GMT
প্রায় দুই শতাব্দী পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন লাইব্রেরিতে বই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘বেকার অ্যান্ড টেইলর’ বন্ধ হতে যাচ্ছে। কোম্পানিটির সিইও আমান কোচার ১২ অক্টোবর কর্মীদের জানান, সম্প্রতি রিডারলিংকের সঙ্গে তাঁরা অধিগ্রহণ চুক্তি করতে পারেননি। তাই কোম্পানির সামনে আর কোনো টেকসই পথ খোলা নেই।
ফলে প্রায় ৫২০ কর্মীকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের কোনো সেভারেন্স (অবসর ক্ষতিপূরণ) দেওয়া হয়নি। তাঁরা আগামী বছরের শুরুতেই কোম্পানিটির কার্যক্রম বন্ধের পরিকল্পনা করছেন।
বেকার অ্যান্ড টেইলর বহুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন লাইব্রেরি ও বিদ্যালয়ে প্রিন্ট ও ডিজিটাল বই সরবরাহে কাজ করছে। এছাড়া রিডারলিংক ওয়ালমার্ট, টার্গেট, স্যামস ক্লাব, বিজেস হোলসেল ক্লাব ও হাডসন নিউজের মতো বড় বিক্রেতাদেরও বই সরবরাহ করে। তারা বেকার অ্যান্ড টেইলর ও তার প্রায় সব সম্পদ অধিগ্রহণের জন্য একটি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ সই করেছিল। কিন্তু গত মাসে সেই চুক্তি ভেস্তে যায়। এটিই বেকার অ্যান্ড টেইলরের জন্য আঘাত হয়ে আসে।
কোম্পানিটি আর্থিক সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল। ফলে আগেই কিছু কর্মী ছাঁটাই করেছিল। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এর কর্মীর সংখ্যা ছিল প্রায় এক হাজার ৫০০ জন।
সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
• গ্রন্থনা : রবিউল কমল
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ক র অ য ন ড ট ইলর
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় আছেন উদ্যোক্তারা: জিইডির প্রতিবেদন
নতুন ব্যবসা চালু করতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় আছেন বহু উদ্যোক্তা। সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সর্বশেষ মাসিক অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
জিইডির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচন যদি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক গতিপথ ঠিক করে এবং নতুন সরকার এসে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা, আর্থিক ও ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা, জ্বালানি নিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন সংস্কারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখে, তাহলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ফিরে পাবে।
জিইডির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় অর্থনীতি নিয়ে সতর্ক আশাবাদ দেখিয়েছে জিইডি। জিইডি বলছে, একদিকে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে স্থায়ী মূল্যস্ফীতি, ব্যবসায়িক আত্মবিশ্বাস ও দুর্বল ব্যাংকিং খাত স্থানীয় চাহিদা ও বেসরকারি বিনিয়োগকে সীমিত করতে পারে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ভালো অবস্থায়
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আগের তুলনায় ভালো হয়েছে বলে মনে করছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। এ ছাড়া প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিক প্রবাহ বেড়েছে, যা দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অবস্থান ভালো হওয়ার বড় কারণ।
জিইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে চলতি বছরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বা বহির্বাণিজ্যের সূচকে অস্থিরতা ছিল। রপ্তানি আয়ের সূচকও ওঠানামা করেছে। বিশেষ করে ২০২৫ সালের এপ্রিল ও জুনে রপ্তানি আয়ে পতন দেখা যায়। তবে অক্টোবরে এই সূচকের অবস্থানে উন্নতি দেখা যায়। তৈরি পোশাকশিল্পের রপ্তানির সূচকে বছরের অর্ধেক সময় পর্যন্ত ধীরগতি দেখা গেলেও পরবর্তী সময়ে উন্নতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে মোট রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৫ সালের অক্টোবরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার।
প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে। এর কারণ খাদ্যের দাম স্থিতিশীল হচ্ছে ও সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ সরবরাহের শৃঙ্খলে স্থিতিশীলতা ও আমদানি করা পণ্যের চাপ কম থাকায় চলতি বছরের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমার বড় কারণ হচ্ছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরের ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবরে ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান ৪৭ শতাংশ
খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে চাল। জিইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান ছিল ৪৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য কম। আর মাছ ও মাংসের ভূমিকা ছিল যথাক্রমে ৩৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। তবে পর্যাপ্ত মৌসুমি সরবরাহ ভালো থাকায় সবজির দাম কম ছিল। তাই সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে সবজি।