‘সি দ্য সায়েন্স, বি দ্য চেঞ্জ’ স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী সপ্তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলা।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ফেস্টিভালের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে এবারের আয়োজনের পর্দা নামে। ফেস্টিভালে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

আরো পড়ুন:

জাবিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি

সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জাবিতে শোক

আয়োজকবৃন্দ জানান, বিজ্ঞান চর্চায় তরুণদের উৎসাহিত করতে উৎসবে মোট আটটি সেগমেন্টে ৩৭ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়। সেগমেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে- গণিত অলিম্পিয়াড, বায়োলজি অলিম্পিয়াড, সায়েন্স কুইজ, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, রুবিক্স কিউব, চার মিনিট প্রেজেন্টেশন, প্রজেক্ট শোকেসিং, লাইন ফলোয়ার রোবট। বিজয়ীদের মোট ১ লাখ টাকার পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া ফেস্টিভালে অংশগ্রহণকারীদের টি-শার্ট, ই-সার্টিফিকেট ও প্রাইজমানি প্রদান করা হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, “বিজ্ঞান আমাদের গভীরভাবে চিন্তা করার সুযোগ করে দেয়। সায়েন্স ক্লাবের সপ্তম বিজ্ঞান উৎসবে বিজয়ী সবার জন্য শুভকামনা রইলো। বিজ্ঞান চর্চা ও আগামী বিজ্ঞানী তৈরিতে এই প্রতিযোগিতা ভূমিকা রাখবে।”

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “সায়েন্স ক্লাব শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, পুরো বাংলাদেশেও পরিচিত করিয়েছে। সৃষ্টিকর্তার দুটি জিনিস সবচেয়ে বড় উপহার হিসেবে দিয়েছেন। একটি জীবন এবং অপরটি প্রযুক্তি। যারা বিজ্ঞান চর্চা করে তাদের কার্যক্রম সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধিত্ব করে। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রযুক্তি আবিষ্কার করার মাধ্যমে আমাদের সেবা করেন। এই ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের ধন্যবাদ জানাই। জাবি সায়েন্স ক্লাবের সঙ্গে আছি এবং থাকব।”

জাবি সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মো.

সৌরভের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রব, প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম, ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ফজলুল করিম পাটুয়ারিসহ সায়েন্স ক্লাবের সাবেক নেতৃবৃন্দ ও বর্তমান সদস্যবৃন্দ।

এর আগে, শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে সপ্তম জেইউএসসি ন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল ২০২৫ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাবি সায়েন্স ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক শফি মোহাম্মদ তারেক, উপদেষ্টা অধ্যাপক ফজলুল করিম পাটুয়ারিসহ ক্লাবের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ। 

দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনের প্রথম দিন শুক্রবার (১৭অক্টোবর) গণিত অলিম্পিয়াড, রুবিকস কিউব কম্পিটিশন, ৪ মিনিট প্রেজেন্টেশন, বিজ্ঞানবিষয়ক উপস্থিত বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়।

দ্বিতীয় দিন শনিবার (১৮ অক্টোবর) সায়েন্স কুইজ, বায়োলজি অলিম্পিয়াড, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, প্রজেক্ট শোকেসিং প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য প রস ক র অল ম প অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

দিনভর আনন্দ উৎসবে ‘সোনার মানুষ’ হওয়ার প্রত্যয়

জেরিন, নিশাত ও নুসরাত তিনজনই ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতির পড়াশোনার চাপে ফলাফলের পর তিন বান্ধবীর আর দেখা হয়নি। আজ বুধবার কৃতী শিক্ষার্থী উৎসবে দেখা হওয়ায় তাঁরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন।

নিশাত তাসনিম বলেন, ‘পড়াশোনার চাপে অনেক দিন বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা হয়নি। আজ দেখা হয়ে খুব ভালো লেগেছে। শুধু আড্ডা নয়, সবার ভর্তি প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

আজ ময়মনসিংহে ‘প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি–প্রথম আলো জিপিএ–৫ কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব ২০২৫’–এ যোগ দিয়ে এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন কৃতী শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম। ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত উৎসবে নিবন্ধন করেন প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী। উৎসবে সহযোগিতা করে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা।

‘স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে, একসাথে’ প্রতিপাদ্যে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এবারই প্রথম এই উৎসবের আয়োজন করেছে প্রথম আলো। চট্টগ্রাম, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীর পর আজ ময়মনসিংহে হলো ষষ্ঠ এ আয়োজন। অন্য বিভাগগুলোয়ও এমন আয়োজন হবে। উৎসবের পৃষ্ঠপোষক প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি।

সকাল থেকেই কৃতী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে টাউন হল মাঠ। নির্ধারিত বুথ থেকে ক্রেস্ট, স্ন্যাকস ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। জীবনের লক্ষ্য লেখার বোর্ডে অনেকে লিখছিলেন নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। এসব লেখায় মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, বৃত্তি নিয়ে বিদেশ গমন কিংবা ভালো মানুষ হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তাঁরা।

অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন অতিথিরা। বুধবার ময়মনসিংহ টাউন হল মিলনায়তনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দিনভর আনন্দ উৎসবে ‘সোনার মানুষ’ হওয়ার প্রত্যয়
  • বাউল–বিরোধিতার আড়ালে চলছে গ্রামের অর্থনীতি দখলের লড়াই
  • ময়মনসিংহে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি–প্রথম আলো কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব
  • ময়মনসিংহে ভোরের কুয়াশা মাড়িয়ে স্বপ্নবাজদের ভিড়
  • আমার বাবা শিল্পী কামরুল হাসান
  • শরীয়তপুরে রাতের আঁধারে আওয়ামী লীগের মশালমিছিল