জাবি সায়েন্স ক্লাবের সায়েন্স ফেস্টিভালের সমাপনী
Published: 18th, October 2025 GMT
‘সি দ্য সায়েন্স, বি দ্য চেঞ্জ’ স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী সপ্তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলা।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ফেস্টিভালের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে এবারের আয়োজনের পর্দা নামে। ফেস্টিভালে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
আরো পড়ুন:
জাবিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি
সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জাবিতে শোক
আয়োজকবৃন্দ জানান, বিজ্ঞান চর্চায় তরুণদের উৎসাহিত করতে উৎসবে মোট আটটি সেগমেন্টে ৩৭ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়। সেগমেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে- গণিত অলিম্পিয়াড, বায়োলজি অলিম্পিয়াড, সায়েন্স কুইজ, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, রুবিক্স কিউব, চার মিনিট প্রেজেন্টেশন, প্রজেক্ট শোকেসিং, লাইন ফলোয়ার রোবট। বিজয়ীদের মোট ১ লাখ টাকার পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া ফেস্টিভালে অংশগ্রহণকারীদের টি-শার্ট, ই-সার্টিফিকেট ও প্রাইজমানি প্রদান করা হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, “বিজ্ঞান আমাদের গভীরভাবে চিন্তা করার সুযোগ করে দেয়। সায়েন্স ক্লাবের সপ্তম বিজ্ঞান উৎসবে বিজয়ী সবার জন্য শুভকামনা রইলো। বিজ্ঞান চর্চা ও আগামী বিজ্ঞানী তৈরিতে এই প্রতিযোগিতা ভূমিকা রাখবে।”
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “সায়েন্স ক্লাব শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, পুরো বাংলাদেশেও পরিচিত করিয়েছে। সৃষ্টিকর্তার দুটি জিনিস সবচেয়ে বড় উপহার হিসেবে দিয়েছেন। একটি জীবন এবং অপরটি প্রযুক্তি। যারা বিজ্ঞান চর্চা করে তাদের কার্যক্রম সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধিত্ব করে। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রযুক্তি আবিষ্কার করার মাধ্যমে আমাদের সেবা করেন। এই ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের ধন্যবাদ জানাই। জাবি সায়েন্স ক্লাবের সঙ্গে আছি এবং থাকব।”
জাবি সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মো.
এর আগে, শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে সপ্তম জেইউএসসি ন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল ২০২৫ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাবি সায়েন্স ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক শফি মোহাম্মদ তারেক, উপদেষ্টা অধ্যাপক ফজলুল করিম পাটুয়ারিসহ ক্লাবের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ।
দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনের প্রথম দিন শুক্রবার (১৭অক্টোবর) গণিত অলিম্পিয়াড, রুবিকস কিউব কম্পিটিশন, ৪ মিনিট প্রেজেন্টেশন, বিজ্ঞানবিষয়ক উপস্থিত বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় দিন শনিবার (১৮ অক্টোবর) সায়েন্স কুইজ, বায়োলজি অলিম্পিয়াড, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, প্রজেক্ট শোকেসিং প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য প রস ক র অল ম প অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী দোসররা দাবি আদায়ের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে: শিক্ষক–কর্মচারী ঐক্যজোট
আওয়ামী দোসররা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবি আদায়ের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষক–কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মো. সেলিম ভূঁইয়া।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ঐক্যজোট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেলিম ভূঁইয়া এই মন্তব্য করেন। চাকরি জাতীয়করণ, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতাসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন সেলিম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ের নামে বর্তমানে একটি সংগঠন রাজপথে নানা কর্মসূচি পালন করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে কোটি কোটি শিক্ষার্থীর লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে তারা সরকারকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। যিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ের আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন করছেন, তিনি একজন আওয়ামী দোসর। তার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষক-কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বলে উল্লেখ করেন সেলিম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, বর্তমানে অর্থ উপদেষ্টা দেশে না থাকায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। বাস্তবতার নিরিখে সরকারকে কিছুটা সময় দেওয়া যৌক্তিক। তবে অর্থমন্ত্রী দেশে ফিরলে দ্রুততম সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও শিক্ষকনেতাদের সমন্বয়ে যৌথ সভা আহ্বানের মাধ্যমে সমস্যা নিরসনের জোর দাবি জানান তিনি।
দাবি আদায় না হলে দুপুরে ‘মার্চ টু যমুনা’ করবেন শিক্ষক-কর্মচারীরাশিক্ষক–কর্মচারী ঐক্যজোটের এই নেতা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেই শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আলোচনার টেবিলে তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও আর্থিক সক্ষমতা অনুযায়ী সবার কাছে গ্রহণযোগ্য পরিমাণে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির প্রত্যাশা শিক্ষকসমাজের।
অতীতে অবসরসুবিধা আদায়ের বিষয়টি উল্লেখ করেন সেলিম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি আলোচনার মাধ্যমে অবসরসুবিধা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রদান করেছিলেন। ইতিহাস সাক্ষী দেয়, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ৫০ শতাংশ বেতন প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। সেখানেও আন্দোলনের প্রয়োজন পড়েনি কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করার দরকার পড়েনি।
আরও পড়ুন:
রাস্তায় শিক্ষকেরা, সিদ্ধান্তহীন সরকার